ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডাক্তার কিছু ব্যায়াম দেখিয়ে দিয়েছেন

খালেদা জিয়ার শরীরে ব্যথা আগের থেকে বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ এপ্রিল ২০১৮

খালেদা জিয়ার শরীরে ব্যথা আগের থেকে বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শরীরের ব্যথা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডাঃ মোঃ শামসুজ্জামান। সোমবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে প্রশাসনিক কনফারেন্স রুমে তিনি সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার আগে থেকে ঘাড়ের ব্যথা ছিল। এজন্য তিনি নিয়মিত ওষুধ সেবন করতেন। কিন্তু এখন তার হাত ও পায়ে ব্যথা দেখা দিয়েছে। এসব উনি আমাদের নিজেই জানিয়েছেন। তাই আমরা উনার উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে রক্ত সংগ্রহ করেছি। পাশাপাশি তার এক্সরেও করানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে আসেনি। এরপর বলা যাবে তার সমস্যা কতটুকু। তবে সমস্যাগুলো বয়সের কারণে একটু হয়। নিয়মিত চিকিৎসা চললে ঠিক হয়ে যাবে। আগের চিকিৎসাপত্রের সঙ্গে আরও কিছু ওষুধ সংযুক্ত করেছি। ডাঃ শামসুজ্জামান জানান, আমরা আপাতত তাকে পরামর্শ দিয়েছি। নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে বলেছি। আমাদের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান সোহেলী রহমান উনাকে ব্যথা কমার কিছু ব্যায়াম দেখিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনে আবারও অবজারভেশন (পর্যবেক্ষণ) করা হবে উনাকে। এক প্রশ্নের জবাবে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডাঃ শামসুজ্জামান জানান, আজ (সোমবার) তারা আর কারাগারে যাচ্ছেন না। কারাগারের চাহিদানুসারে আমরা প্রয়োজন মতো খালেদা জিয়াকে দেখতে যাব। খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা। কনফারেন্স রুমে ঢাকা মেডিক্যালের উপ-পরিচালকের শাহ আলম তালুকদার এক প্রশ্নের জবাবে জানান, খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। মেডিক্যাল বোর্ড প্রতিবেদন দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগে রবিবার কারাগারে গিয়ে বোর্ডের সদস্যরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিলেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসায় অর্থোপেডিক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামসুজ্জামানকে প্রধান করে নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মনসুর হাবীব, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক টিটু মিয়া ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক সোহেলী রহমানসহ ৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়।
×