ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অভয়নগরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৩ এপ্রিল ২০১৮

অভয়নগরে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের অভয়নগরের বাশুয়াড়ি পুলিশ ক্যাম্পের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে আদালতে মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন এসআই ফরিদ আহম্মেদ ও এএসআই খাদেমুল গফফার। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মিজানুর রহমান অভিযোগ গ্রহণ করে ১০ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। সোমবার অভয়নগরের ইছামতি গ্রামের হাজী কাইয়ুম মোল্লার ছেলে আবুল কালাম এ মামলা করেন। জানা গেছে, আবুল কালাম মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা করতেন। গত ৩০ জানুয়ারি তিনি মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার জন্য যশোর পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। তার এ আবেদন গ্রহণ করেছে পুলিশ সুপার কার্যালয়। মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়ায় বাশুয়াড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাশিয়ার তাকে টাকার জন্য খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে কালাম মোল্লার কাছ থেকে মাসোয়ারা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার ভাই তরিকুল ইসলামকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায় এএসআই খাদেমুল গফফার। তরিকুলের কাছ থেকে ৩২ কেজি গাঁজা, ৫শ’ গ্রাম হেরোইন ও ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে আবুল কালামকে জানানো হয়। এএসআই খাদেমুল গফফার তাকে দ্রুত টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলে। এসআই ফরিদ আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনিও একই কথা বলেন। পরে তরিকুলের স্ত্রী রোকসানা খাতুন ক্যাম্পে গিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে। এএসআই খাদেমুল গফফার টাকা নেয়ার পর রোকসানা খাতুনের গলার সোনার চেইন ও কানের দুল খুলে নেন স্বামী তরিকুলের বিরুদ্ধে কোন মামলা দেবেন না বলে। টাকা গহনা নেয়ার পরও তরিকুল ইসলামকে মাদক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আরও জানা গেছে, পুলিশের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং করা হয়েছে। এ বিষয়টি জানতে পেরে ওই দুই কর্মকর্তা আবুল কালামকে হুমকি দিচ্ছে। আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাশুয়াড়ি পুলিশ ক্যাম্পের কর্মকর্তা এসআই ফরিদ আহম্মেদ ও এএসআই খাদেমুল গফফারের বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মোবাইল ফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং করায় তারা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছে। মোবাইলের কথোপকথনের রেকর্ডিং ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সোর্স ইমরুলকে বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা। ইমরুল বাড়িতে এসে রেকর্ডিং ফেরত ও ৩০ হাজার টাকা দিলে আর হয়রানি করবে না জানিয়ে দিয়ে যায়।
×