ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২ এপ্রিল ২০১৮

কুতুপালং ক্যাম্পের  রোহিঙ্গাদের  সরিয়ে নেয়া  হচ্ছে

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাহাড় ধস, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় তাদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী আরও ৫শ’ একর সরকারী জমিতে নতুন ক্যাম্প করা হচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি হতে পারে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা- ইউএনডিপির পক্ষ থেকে রিপোর্ট দেয়ার পরই রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সামান্য বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ধসে যেতে পারে কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প। তাই বর্ষার আগেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। কুতুপালং এলাকার পাহাড়ে গাছের পরিমাণ ৭২ শতাংশ থেকে কমে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়গুলোর ভূমি ৬৭ শতাংশ কাদা ও বালুময়। এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের নতুন কোন তৎপরতা লক্ষণীয় নয়। ইতোপূর্বে প্রত্যাবাসনের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তাতেও কোন অগ্রগতি নেই। অপরদিকে মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট সে দেশের সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবিধান সংশোধন হলে ইতিবাচক ও কার্যকর আইন প্রণীত হতে পারে। রোহিঙ্গা যুবককে হত্যা ॥ কক্সবাজার সদর ঝিলংজা দক্ষিণ ডিককুল গয়ামতলী এলাকায় মাস্টার নেজামের বসতবাড়ির দক্ষিণের রাস্তায় স্থানীয় দিনমজুর আবদুচ্ছবিরের পুত্র খোকনকে (১৭) জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ হাজিপাড়ার মৃত দানু মিয়ার পুত্র জাকারিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হত্যাকা- ঘটায়। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। জিরো লাইনে বার্মিজ গণমাধ্যমকর্মীর ভিড় ॥ মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের খবরা-খবর সংগ্রহের জন্য কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন এলাকায় বার্মিজ গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় জমিয়েছে। শনিবার দুপুরে দেশটির গণমাধ্যমকর্মীরা কাঁটাতার সংলগ্ন এলাকায় যায় বলে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা জানায়, কয়েকটি সাদা পাজেরো গাড়ি যোগে গণমাধ্যমকর্মীরা নো-ম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছে। ওই সময় সামরিক বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও ছিল। সীমান্ত এলাকার রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাঁটাতার সংলগ্ন এলাকায় রোহিঙ্গারা অবস্থান করলেও তাদের থেকে কিছুই জিজ্ঞাসা করেনি সংবাদকর্মীরা। হাতে থাকা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের লোগো চিহ্নিত বোম, স্টিকার যুক্ত গাড়ি ও টি-শার্টে চ্যানেলের লোগো থাকায় ১৩টি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের চিহ্নিত করে রোহিঙ্গারা। স্কাই নেট, এমআরটিভি-৪, মিয়ানমার টাইম্স, মিজিমা, ইরাবতী, ইলেভেন, দ্য ভয়েস, ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার, হট নিউজ, মিয়ানমার প্রেস ফটো এজেন্সি, এমআরটিভি, এমআইটিভি এবং এমএনএর ১৪ জন সংবাদকর্মীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা আরও জানিয়েছে, সংবাদকর্মীরা ফুটেজ নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে স্থান ত্যাগ করেন।
×