ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হুন্ডি ব্যবসায়ীদের গডফাদার তাজিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় শুল্ক গোয়েন্দা

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ২ এপ্রিল ২০১৮

 হুন্ডি ব্যবসায়ীদের গডফাদার তাজিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় শুল্ক গোয়েন্দা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আটক হুন্ডি ব্যবসায়ী তাজিম আনোয়ার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা। তার অপর সহযোগীদেরকেও ধরার জন্য রবিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শুল্ক গোয়েন্দা অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউদ্দিন জনকণ্ঠকে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি লিখা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিনি দেশত্যাগ করলে তদন্ত কাজ ব্যাহত হবে। তিনি যাতে নতুন করে কোন পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারে সেজন্যও পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা দফতর। জানা গেছে, গত বুধবার ব্যবসায়ী তানজিম আনোয়ারের বাসার টয়লেট থেকে অন্তত ৫৮ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। একই দিন ওই ব্যবসায়ীর মতিঝিলের প্রতিষ্ঠান থেকে আরও নয় লাখ টাকা জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর পাঁচ সহযোগীকে। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, ওই ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অনেক দিন ধরে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচার করে আসছিল। পলাতক ওই ব্যবসায়ীর নাম তাজিম আনোয়ার। তিনি ‘তাজিম বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। গ্রেফতার পাঁচ জন হলেন জহিরুল ইসলাম (২১), তরুণ দত্ত (৪৮), মোঃ মাছুম (৩২), মোঃ আবদুর রহমান (৩৪) ও মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৮)। শুল্ক গোয়েন্দারা গত বুধবার মতিঝিলে তানজিম বাংলাদেশের কার্যালয় থেকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং সেগুনবাগিচায় তানজিম আনোয়ারের বাসার টয়লেট থেকে ৫৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা জব্দ করে। এ ঘটনায় তানজিম আনোয়ারকে প্রধান আসামি করে মতিঝিল থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, তানজিম আনোয়ার ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে অনেক আগে থেকে টাকা পাচার করে আসছিলেন। টাকার উৎস ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য গ্রেফতার পাঁচজনকে বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু মামলার কেস ডায়েরি না থাকায় আদালত রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি পিছিয়ে আজ সোমবার দিন ঠিক করেছে।
×