ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প

ক্রসড্যাম নির্মাণ না করায় ফের ৬০ কিমি ভরাট

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২ এপ্রিল ২০১৮

ক্রসড্যাম নির্মাণ না করায় ফের ৬০ কিমি ভরাট

মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত আড়াই শ’ কোটি টাকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্পে টিআরএম এলাকায় যথাসময়ে ক্রসড্যাম নির্মাণ না করায় ফের ৬০ কিলোমিটার খনন করা এলাকা পলিতে ভরাট হয়েছে। উজানে পলিভরাট বন্ধ রাখার জন্য তালার পাখিমারা টিআরএম প্রকল্প এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে ক্রসড্যাম দেয়ার নির্দেশ থাকলেও এই নির্দেশ মানা হয়নি। ডিসেম্বরে এই কাজ শুরু করে দ্রুত শেষ করার কথা থাকলেও মার্চের শেষেও দায়িত্বরত ঠিকাদার সময়মতো কাজ শেষ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রবিবার দুপুরে তালা পাইকগাছা সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে পানি কমিটি ও তালা প্রেসক্লাব। অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কপোতাক্ষ খনন না করায় ২শ’ ৬১ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি ভেস্তে যেতে বসেছে। কপোতাক্ষের নাব্য বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে ২০১১ সালে সরকারের ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ খনন প্যাকেজ শুরু হয়। প্রকল্পে তালার পাখিমারা বিলের টিআরএম এলাকার ক্রসড্যাম ও পেরিফেরিয়াল ডাইক স্থাপনের কথা থাকলেও এটি নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ফের নদীতে পলি জমতে শুরু করেছে। স্থানীয় পানি কমিটি ও পানি বিশেষজ্ঞদের অভিমত, টিআরএম এলাকায় ক্রসড্যাম না থাকায় পলিযুক্ত জোয়ারবাহিত প্রতিলিটার পানিতে প্রায় ৫০ গ্রাম পলি নদীতে ঢুকছে। এই পলি জমা হচ্ছে নদীর তলদেশে। কপোতাক্ষ নদের নাব্য বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে সরকার ২০১১ সালে ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পে (১ম পর্যায়)’ পাখিমারা বিলে টিআরএম চালু করে। একই সঙ্গে প্রায় ৯০ কিমি. নদী খনন করা হয়। টিআরএম চলাকালে মূল নদের ওপর ক্রসড্যাম দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম প্রকল্পের বিলে ঢোকানো হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে বিস্তীর্ণ জনপদের পানি নিষ্কাশনের জন্য কেটে দেয়া হয় ক্রসড্যাম। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬-১৭ সালে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পায় কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
×