ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠক ॥ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

গাজায় ইসরাইলী হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১ এপ্রিল ২০১৮

গাজায় ইসরাইলী হামলার  নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নাগরিকদের ওপর শুক্রবার ইসরাইল যে গণহত্যা চালিয়েছে সে বিষয়ে জরুরী বৈঠক করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস গাজার গণহত্যার ঘটনায় নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৯৪৮ সালে হঠাৎ ফিলিস্তিনের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয় লাখ লাখ ফিলিস্তিনী। এ ভূমি পুনরুদ্ধারে দিনের পর দিন নানা আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে ফিলিস্তিনী জনগণ। ১৯৭৬ সালের মার্চে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন ছয় ফিলিস্তিনী। ইসরাইলের দখলকৃত এলাকায় ফিরতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে ৭৬ সালের নিহতদের স্মরণে ৩০ মার্চ শুক্রবার সীমান্ত বরাবর গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন নামে বিক্ষোভের আয়োজন করে ফিলিস্তিনীরা। এদিন সীমান্ত বেষ্টনী বরাবর ৫টি জায়গায় সমবেত হয় তারা। ছয় সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সেখানে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নেন বলে জানিয়েছে। প্রথম দিনের বিক্ষোভে অন্তত ১৭ হাজার ফিলিস্তিনী অংশ নিয়েছে বলে ধারণা ইসরাইলী সেনাবাহিনীর। ফিলিস্তিনীদের আয়োজিত এ বিক্ষোভ-মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী মোকাবেলায় ইসরাইল গাজা সীমান্তে ট্যাঙ্ক এবং অন্তত ১০০ স মোতায়েন করে। এসব সেনাকে তাজা গুলি চালানোসহ হত্যার মতো যেকোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কর্তৃত্ব দেয়া হয়। শুক্রবার বিক্ষোভ কর্মসূচী বানচালে এক পর্যায়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় ইসরাইল। এতে অন্তত ১৬ জন নিহত ও ১,৫০০ ফিলিস্তিনী আহত হন। গাজায় ইসরাইলের এহেন রক্তক্ষয়ী পাশবিক হামলায় কুয়েতের অনুরোধে শুক্রবার জরুরী বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মানসুর আল-ওতাইবি গাজা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেন। শুক্রবারের বৈঠকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ বলেছেন, তিনি আশা করেন গাজার অধিবাসীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-কর্মসূচীতে ইসরাইল যে ঘৃণ্য গণহত্যা চালিয়েছে সে বিষয়ে জাতিসংঘ তার দায়িত্ব পালন করবে। -বিবিসি।
×