ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১ এপ্রিল ২০১৮

আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস-এই চারটি নাম প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে বিমানের নিজস্ব এয়ারক্রাফট বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের জন্য। নতুন প্রজন্মের এই চারটি এয়ারক্রাফটের মধ্যে দুটি আসছে আগামী আগস্ট ও নবেম্বরে। বাকি দুটি আগামী বছরে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত নামগুলোতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নামগুলো পৌঁছেও গেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দফতরে। বিমানের পরিচালক আলী আহসান বাবু জানান, বিমানে যোগ হওয়া অপর চারটি বোয়িং-এর মতোই এবারও নাম চূড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বিমান প্রথমে নিজস্ব উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ সার্কুলারের মাধ্যমে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে ড্রিমলাইনার বিমানের নাম সংগ্রহ করে। এ জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এরপর বিমানে বেশ কিছু নাম জমা পড়ে। সেখান থেকে ৪০টি নামের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। সেখান থেকে চারটি বিমানের জন্য চারটি নাম অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চারটি ড্রিমলাইনারের দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার চলতি বছরের আগস্ট ও নবেম্বরে দেশে আসবে। বাকি দুটি ড্রিমলাইনার বিমানের বহরে যুক্ত হবে ২০১৯ সালের নবেম্বরে। তিনি জানান, এ বছরেই দুটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের বহরে যুক্ত হবে। এজন্য বেশ কিছু রুটও চালু করার জন্য কাজ চলছে। যেগুলো অপারেট করা হবে এসব এয়ারক্রাফট দিযে। ইতোমধ্যে পাইলট, প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ দুটি উড়োজাহাজ বিমানবহরে যোগ হওয়ার পর সিডিউল ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মোসাদ্দিক আহমেদ। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার জন্য চুক্তি করে বিমান। ইতোমধ্যে ছয়টি বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সেগুলোর নামকরণ করেন- আকাশ প্রদীপ, অরুণ আলো, রাঙ্গাপ্রভাত, পালকি, মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী।
×