স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আশা করছি, এ লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে। আগামী অর্থবছর অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে টার্গেট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চিন্তা করছি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। তিনি বলেন, বিগত সরকারগুলোর আমলে শিল্পের সংযোজন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। মৌলিক কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। আর এখন মৌলিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও মৌলিক শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে হবে। মন্ত্রী শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা ইকোনমিক জোন, মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে মেঘনা গ্রুপের আটটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, এফবিসিসিআইর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিজেএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার, ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের পরিচালক তানজিমা মোস্তফা। এর আগে মন্ত্রী সকালে সোনারগাঁয়ের ত্রিবর্দী এলাকায় মেঘনা গ্রুপের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নতির জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল বলে দেশে আজ উন্নয়ন দৃশ্যমান। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি চেষ্টা করেছে। পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। কিন্তু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৫ সালে ৯৩ দিন হরতালের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় চেষ্টায় তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। এখনও তারা ষড়যন্ত্র করবে। তিনি জানান, এ বছরের শেষেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা বাংলাদেশকে বলেছিল তলাহীন ঝুড়ি আজকে তারাই বলছে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের বাজেট ছিল ৭৮৭ কোটি টাকা। আর গত বছর দেশের বাজেট ছিল চার লাখ কোটি টাকা। আগে দেশে সিমেন্ট উৎপাদন হতো মাত্র ৯ লাখ টন। এখন সিমেন্টের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি টন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্যবান্ধব, শিল্পবান্ধব নীতির কারণে দেশের বাণিজ্য বাড়ছে। শিল্পকারখানা বাড়ছে। দারিদ্র্যের হার কমছে। দারিদ্র্যসীমা চল্লিশ ভাগ থেকে বাইশ ভাগে নেমে এসেছে। আশা করছি, তা শতকরা তিনভাগে নামবে।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের রেকর্ড পরিমাণ উন্নতি হয়েছে। পৃথিবীর মানুষ অবাক হয়ে যায় এত অল্প সময়ে আমাদের এ বিস্ময়কর উন্নতি দেখে। তিনি দেশের উন্নয়নে বেকারত্ব দূর করতে বেশি বেশি শিল্পকারখানা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: