ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেহালা ও পিয়ানোর যুগলবন্দী সুরসন্ধ্যা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১ এপ্রিল ২০১৮

বেহালা ও পিয়ানোর যুগলবন্দী সুরসন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেহালার সুরে উচাটন হয় সুররসিকের অন্তর। পিয়ানোর সুরেলা শব্দধ্বনিতে পুলকিত হয় হৃদয়। এমন করেই বেহালা ও পিয়ানোর যুগলবন্দী পরিবেশনা মুগ্ধতা ছড়াল শ্রোতার মাঝে। শনিবার চৈতালী সন্ধ্যায় শোনা গেল যন্ত্রসঙ্গীতের এই সম্মিলিত সুর। ভায়োলিন ও পিয়ানোর সুরে সাজানো কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হলো ধানমন্ডি আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশনাটি উপস্থাপন করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক একাডেমির শিল্পীরা। পিয়ানোয় সুর তুলেছেন জ্যানেট বাড়ৈ, সাজ্জাদুল ফেরদৌস, প্রকাশ সুর, রায়হান চৌধুরী ও নানঘি কিম। ভায়োলিন বাজিয়েছেন তানভির তরী। যন্ত্রসঙ্গীত আসরটির সূচনা হয় জ্যানেট বাড়ৈর হিউমোরেস্ক শীর্ষক পরিবেশনা দিয়ে। সাজ্জাদুল ফেরদৌসের পরিবেশনার শিরোনাম ছিল লা সিনকুয়ানটিন। বেহালায় স্যালুট ডি’আমর শীর্ষক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন তানভীর তরী। প্রকাশ সুরের পিয়ানো বাদনের শিরোনাম ছিল মার্সে মিলিটেয়ার। রায়হান চৌধুরী শুনিয়েছেন ট্রমেরি ও কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্টের সৃষ্ট পিয়ানো সোনাটা শীর্ষক পরিবেশনা। জ্যানেট বাড়ৈ ও প্রকাশ সুরের পিয়ানোর যুগলবন্দী পরিবেশনায় উঠে আসে বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী বেটোফোনের সৃষ্ট মিনুয়েট জি শীর্ষক পরিবেশনা। তানভীর তরীর বেহালায় বেজেছে কিস দ্য কিম নামের সুর। পিয়ানোয় বসন্তের সুর শুনিয়েছেন জ্যানেট বাড়ৈ। প্রকাশ সুর পিয়ানোয় শুনিয়েছেন এ্যালপেনাবেনডোরেট নামের পরিবেশনা। পিয়ানোর যুগলবন্দীতে সাব্রে ড্যান্স নামের সুর ছড়িয়েছেন সাজ্জাদুল ফেরদৌস ও রায়হান চৌধুরী। একই যন্ত্রে নানঘি কিম বাজিয়েছেন মুনলাইট নামের বেটোফোন সৃষ্ট সুর। শুরু হচ্ছে ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ ॥ নতুন প্রজন্মের মাঝে শুদ্ধ উচ্চারণ, বানানচর্চা ও ব্যাকরণের সঠিক ব্যবহার বাড়াতে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ প্রতিযোগিতা। অল্প সময়ে জনপ্রিয় হওয়া প্রতিযোগিতাটি ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’ স্লোগানে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে অনলাইনে প্রাথমিক নাম নিবন্ধনের কার্যক্রম। যা চলবে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিযোগিতার ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে বাংলাবিদ স্পেস নাম স্পেস বয়স স্পেস শ্রেণী জোনের নাম। এরপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ৬৯৬৯ নম্বরে। শনিবার সকালে চ্যানেল আই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আয়োজক সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তাব্যক্তিরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শান্তনু বিশ্বাস, ইস্পাহানি গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইদ হাসান, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান। আনিসুজ্জামান বলেন, অনেকেই মনে করেন বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, তাই এটি যত্ন করে শিখতে হবে না। এই ধারণা ভুল। শুদ্ধ করে বাংলা ভাষার ব্যবহার ও উচ্চারণের জন্য আমাদেরও তা যত্ন করে শিখতে হবে। এ আয়োজন তরুণদের যতœ করে বাংলা ভাষা শিখতে উৎসাহ ও সহযোগিতা করবে। শামসুজ্জামান খান বলেন, যখন ভাষার প্রয়োগ এবং ব্যবহারে অমনোযোগিতা প্রবল আকার ধারণ করেছে, ঠিক সেই সময় এই আয়োজনের প্রয়োজন ছিল। ভাষার ব্যবহারে আমাদের মধ্যে যে দুর্বলতা বিরাজ করছে বিশেষ করে দেশের গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে, আশা করছি এই আয়োজন কিছুটা হলেও সেই অবস্থা উত্তরণে সহযোগিতা করবে। এসব তিনি প্রথম তিন বিজয়ীকে বাংলা একাডেমির পক্ষ উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে মেধা ও মননের মিশেলে বাংলাবিদ খুঁজে বের করা। যারা বাংলা ভাষা, বানান এবং বাংলা শব্দের ব্যবহারে দক্ষতা দেখাতে পারবে তাদের নিয়েই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সাতটি বিভাগীয় শহর থেকে প্রাথমিক বাছাই পর্বে ৮০ জন ছাত্রছাত্রীকে মূল পর্বে নিয়ে আসা হবে। পরে ১৫টি স্টুডিও রাউন্ড পর্বে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং ভাষাবিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমন্ডলী বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবেন। প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক হিসেবে রয়েছে অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কথাশিল্পী আনিসুল হক ও অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার। দেশসেরা বাংলাবিদকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী পাবে ১টি ল্যাপটপ এবং ব্যক্তিগত লাইব্রেরি গড়ে তোলার জন্য ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের বাংলা বই ও বইয়ের আলমারি দেয়া হবে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মেধাবৃত্তি অর্জনকারীদের বৃত্তি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে প্রদান করা হবে। লেখিকা সংঘ সম্মাননা পেলেন তিন লেখক ॥ প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ। সাফল্যের এ উদ্্যাপন উপলক্ষে তিন লেখককে সম্মাননা জানিয়েছে সংগঠনটি। সাহিত্য পদকপ্রাপ্ত এই লেখকরা হলেন- সালেহা চৌধুরী, হরিশংকর জলদাশ ও লিপি মনোয়ারা। এছাড়াও ‘কবি তাইবুন নাহার রশীদ’ স্বর্ণপদক প্রদান করা হয় মীনা আজিজকে। একই অনুষ্ঠানে সংঘ কর্তৃক প্রকাশিত সংঘের সম্পাদনা পরিষদের ‘আমার ছোটবেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। শনিবার সকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও নাট্যজন মামুনুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন লেখিকা সংঘের সভাপতি দিলারা মেজবাহ্। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা খালেক। স্মরণে মিজারুল কায়েস ॥ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে স্মরণ করা হলো সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও শিল্পবোদ্ধা মিজারুল কায়েসকে। শনিবার বিকেলে কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে কেন্দ্রের চিত্রশালায় মিজারুল কায়েস সংগৃহীত উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মের সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীর সৃজিত ছাপচিত্র ঠাঁই প্রদর্শনীতে। স্মরণানুষ্ঠানে মিজারুল কায়েসের সহধর্মিণী নাঈমা কায়েসসহ তার পরিবারের সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কবি কামাল চৌধুরী ও রাজশাহী কলেজের অধ্যাপক গোলাম কবির। নাঈমা কায়েস বলেন, মিজারুল কায়েস সব সময় চিন্তা করত, হোয়াট ইজ পসিবল, হোয়াট ক্যান বি ডান। সজ্জন মানুষটি সব সময় চাইতেন নতুন প্রজন্ম তার চিন্তাধারা ব্যবহার করবে। সবার কাছে অনুরোধ, আপনারা সবাই কায়েসের মূল্যবোধ ও চিন্তাধারা ব্যবহার করবেন, কাজে লাগাবেন। মিজারুল কায়েসের সহপাঠী কামাল চৌধুরী বলেন, বহুমাত্রিক মানুষটি পরিপার্শ্ব সম্পর্কে ভালভাবে জানত। কূটনৈতিক দায়িত্বে বা শিল্প-সাহিত্যে তিনি তার মেধা ও সৃজনের ছাপ রেখে গেছেন। গণগ্রন্থাগারে দ্বৈত আবৃত্তিসন্ধ্যা অন্তর্দহন ॥ শনিবার সন্ধ্যায় সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অন্তর্দহন শীর্ষক দ্বৈত আবৃত্তিসন্ধ্যার আয়োজন আবৃত্তি সংগঠন চারুবাক। তরুণ আবৃত্তিশিল্পী শামীমা নাসরিন মিতু ও ছয়িমা ইসলাম নিঝুম পরিবেশিত আবৃত্তি-প্রযোজনার নির্দেশনা দিয়েছেন মীর বরকত। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহ্্কাম উল্লাহ্্ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগের পরিচালক কবি নাসির আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুবাকের সভাপতি দেবাশিস রূপন। সততা প্রতিদিন বইমেলার উদ্বোধন ॥ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জ্যোতিপ্রকাশের উদ্যোগে শুরু হলো ‘সততা প্রতিদিন বইমেলা’। রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাহান প্লাজার সামনে শনিবার এ মেলার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি মহসিন হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলম, ম্যাগনাম ওপাসের প্রকাশক আনোয়ার ফরিদী, বর্তমান চাকরির বাজারের সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বিউটিশিয়ান উম্মে সালমা, কবি হোসাইন মোবারক প্রমুখ। লেখক পরিষদ সদস্যদের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান ॥ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা টিসার্স ট্রেনিং কলেজে বাংলাদেশ লেখক পরিষদের আয়োজনে পরিষদের ২২ জন সদস্যের অমর একুশে বইমেলা-২০১৮ তে প্রকাশিত নতুন বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মাজহারুল পারভেজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সজীব কর্পোরেশনের জিএম (সেলস) নাইমুল হাসান বসির। অনুষ্ঠানে পরিষদের সিনিয়র সদস্য সদ্যসাবেক অতিরিক্ত সচিব কথাসাহিত্যিক মঈনুদ্দিন কাজল, সিনিয়র সদস্য সদ্যসাবেক অতিরিক্ত সচিব কবি খায়রুল আনাম, প্রিন্সিপাল মাসুদ আলম বাবুল, ড. ডি এম ফিরোজ শাহ, কবি ও কথাসাহিত্যিক বাদল মেহেদী, ছড়াকার আতিক হেলাল ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থতি ছিলেন অগ্রজ বাচিকশিল্পী বদরুল আহসান খান, বিশিষ্ট ছড়াকার এম আর মঞ্জু, ছড়াকার জগলুল হায়দার, কবি ও কথাসাহিত্যিক আবু হানিফ হৃদয়, লেখক সাঈদ আহমেদ আনীস প্রমুখ।
×