ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঞ্জীভূত মামলাজট নিরসনই লক্ষ্য

শীঘ্র সুপ্রীমকোর্টের উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১ এপ্রিল ২০১৮

শীঘ্র সুপ্রীমকোর্টের উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ

বিকাশ দত্ত ॥ উচ্চ আদালতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলা জট নিরসন ,আপীল বিভাগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তি ও বিচারপতি সঙ্কট দূর করতে শীঘ্র সুপ্রীমকোর্টের উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ করা হচ্ছে। বর্তমান আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ মোট ৮৪ বিচারপতি রয়েছেন। এর মধ্যে হাইকোর্টে ৮০ জন এবং আপীল বিভাগে ৪ জন। এর আগে আপীল বিভাগে ১১ জন বিচারপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোমধ্যে আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ থেকে বেশ কয়েকজন বিচারপতি অবসরে গেছেন। চলতি বছরসহ আগামী বছরে আরও কয়েকজন বিচারপতি অবসরে যাবেন। এদিক আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন শীঘ্র উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ বলেছেন বিচারপতি নিয়োগে আলোচনা চলছে , অতি শীঘ্রই উচ্চ আদালতের উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট ৭টি পর্যবেক্ষণ ও আইন কমিশন ছয়টি সুপারিশ দিয়েছিল সরকারের নিকট । এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ বলেছেন যারা নিয়োগ দেবেন তারা সব কিছু যাচাই-বাছাই করেই নিয়োগ দেবেন। এতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যদি সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি বিএনপির অংশ সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছে। দলীয়ভাবে আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগ হলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট বার। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ১০ জনকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়। তাদের মধ্যে গত ডিসেম্বরে একজন মারা যান। আর একজনকে বাদ দিয়ে বাকি ৮ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। বর্তমানে স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়া দুই বিচারপতির রিট আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে আপীল বিভাগে। ২০১৫ সালের পর গত আড়াই বছরেও উচ্চ আদালতে আর কাউকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। যদিও ২০১৬ সালের আগস্টে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে সেপ্টেম্বরে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় থেকে হাইকোর্টে নিয়োগের জন্য কয়েক জনের নাম প্রস্তাব করে সুপারিশ পাঠানো হয়। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগে ১২ থেকে ১৬ জন এমনকি ২০ জনও হতে পারে । একই সঙ্গে আপীল বিভাগে ৪ থেকে ৬ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে। উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলে মামলার জট অনেকাংশে কমে যাবে বলে জানা গেছে। আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, শীঘ্র উভয় বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে। তবে কত জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে তা বলা যাবে না। এর আগে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন , আমি মনে করি, আপীল বিভাগ তার কাজের যে ভার সেটার জন্য যে সংখ্যক বিচারপতি প্রয়োজন সেই দিকটা বিবেচনা করে আপীল বিভাগে সেই রকমভাবে বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। কতদিনের মধ্যে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলতে থাকবে । সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টে শীঘ্রই বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে। আপীল বিভাগের চার জন বিচারপতি থাকার কারণে ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আপীল বিভাগের মাত্র একটি বেঞ্চ রয়েছে। সেখানে প্রধান বিচারপতিসহ চার বিচারপতি কাজ করছেন। শীঘ্র আপীল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ করা হবে, তখন এ বেঞ্চ বাড়াবে এবং মামলার শুনানি হবে। তবে আমি আশা করি শীঘ্র আপীল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক বলেছেন, আপীল বিভাগের প্রায় ২১টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দুই বছর যাবত আপীল বিভাগের কোন মামলার শুনানি হচ্ছে না। এখানে ভিক্টিম, বিচারপ্রার্থী, অভিযোগকারীসহ আসামিদের বয়স হয়েছে। আসামিদের যদি ন্যাচারাল ডেথ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বিচারটার যুক্তিটা থাকে না। এই আইনের স্পিরিটটা হলো দ্রুত বিচার করা। শুনছি উচ্চ আদালত বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আপীল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাসহ অন্য মামলাতেও গতি ফিরে আসবে। এদিকে সুপ্রীমকোর্টের আইনবিদগণ মনে করেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হলে বিচারককে পাশাপাশি আইনজীবীদেরও ধ্যান-ধারণা পাল্টাতে হবে। তা না হলে যতই বিধি পরিবর্তন করা হোক না কেন কোন সুফল বয়ে আসবে না। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আরও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তা হলো মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এডিআর এর ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক। এ প্রসঙ্গে সুপ্রীমকোর্টের একাধিক সিনিয়র আইনজীবী বলেছেন, মামলা অনুপাতে বিচারপতি না থাকায় মামলা জটের অন্যতম কারণ। উপযুক্ত ও দক্ষতাসম্পন্ন বিচারপতির অভাব, বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার কম থাকায় মামলা জটের কারণ। সমস্যা উত্তরণে অধিক সংখ্যক উপযুক্ত সততা ও দক্ষতাসম্পন্ন বিচারক নিয়োগ দিতে হবে। বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। ব্রিটিশ আমলে যেভাবে রায় লেখা হতো এখনও সেই আঙ্গিকে রায় লেখা হচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মামলা দায়েরের সংখ্যাও। এজন্য বিচারপতি ও প্রয়োজনীয় জনবল বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে মেধা, দক্ষতা, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ॥ সুপ্রীমকোর্টে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নে বিচারক নিয়োগের দিকনির্দেশনা (গাইডলাইন) চেয়ে করা একটি রিট আবেদন কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল নিষ্পত্তি করে দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপর ২০১৭ সালের ২ মে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করে। ৪৬ পৃষ্ঠায় সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ওই রায়ে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার জন্য সাতটি শর্তসহ পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। সাতটি যোগ্যতা নির্ধারণসহ বেশ কিছু মতামত দিয়েছে আদালত। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সাতটি সুপারিশ দেয়া হয়েছে। (১) রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি, যেমন- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। (২) মেধাবী, প্রাতিষ্ঠানিক ও উচ্চতর পেশাগত যোগ্যতাসম্পন্ন, সৎ এবং আইনী জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। (৩) বিচারক হতে আগ্রহী প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। যাতে প্রধান বিচারপতি প্রার্থীর সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিতে পারেন। (৪) পেশাগত জীবনে একজন ব্যক্তির অর্জিত দক্ষতা ও পারদর্শিতাকে প্রথমত বিবেচনায় নেয়া উচিত। ভারতের আইন কমিশনের ৮০তম প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী একজন বিচারকের পরিপক্কতা পেশাগত অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে একটি বয়সসীমা ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে সুপ্রীমকোর্টের বিচারক মনোনয়নের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪৫ বছর হওয়া উচিত। (৫) প্রধান বিচারপতি আপীল বিভাগের নিবন্ধিত আইনজীবীদের অগ্রাধিকার ও সুপারিশ ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে উচ্চ আদালতের বৃহৎ পরিসরে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন নিবন্ধিত আইনজীবীর ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে। (৬) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তিন বছরের কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিচারককে উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা উচিত হবে না। (৭) অধস্তন আদালত থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান যোগ্যতা হওয়া উচিত সততা। তবে মনে রাখা উচিত যে, একজন ব্যক্তি উচ্চ মেধাসম্পন্ন কিন্তু তিনি সৎ নন। সেক্ষেত্রে তাকে যে কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হলে তা হবে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। সুপারিশকৃত ব্যক্তির মধ্যে দ্বিতীয়ত থাকতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ প্রোফাইল, পেশাদারিত্ব, সততা এবং দক্ষতা। আইন কমিশনের সুপারিশ ॥ এদিকে আইন কমিশন সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে ছয়টি বিষয়ে সুপারিশে বলেছে, সংবিধানের ৯৫(২) (খ)-এর অধীনে সুপ্রীমকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য অধস্তন আদালতে চাকরির অভিজ্ঞতা দশ বছর বিশেষভাবে বুঝতে ও গণনা করতে হবে। এই দশ বছর পুরোটাই বিচার কাজে নিয়োজিত অবস্থায় থাকতে হবে। কোন বিচার বিভাগীয় প্রশাসন যেমন আইন মন্ত্রণালয় বা অন্য কোন সরকারী সংস্থায় কর্মের সময় গণনায় আনা যাবে না। দ্বিতীয়ত: সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মকালের ১০ বছরও বিশেষভাবে বুঝতে ও পড়তে হবে। আদালতে ১০ বছরের জন্য নিছক অন্তর্ভুক্তি (এনরোলমেন্ট) যথেষ্ট বিবেচিত হবে না। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মামলা সফলভাবে পরিচালনাসহ তাকে নিয়মিত সক্রিয়ভাবে আইন পেশা (প্র্যাকটিস) করতে হবে, যা প্রধান বিচারপতি ও তার সহবিচারপতিরা নির্ধারণ করবেন। এ ছাড়া অন্তত দুই বছর আপীল বিভাগে মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। তৃতীয়ত: সংবিধানের ৯৫ (২) (ক) ও ৯৫ (২) (খ) উল্লেখ করে বলা হয়, এর অধীন আইনজীবী ও বিচারক ছাড়াও ৯৫ (২) (গ) এর অধীন কোন আইনজ্ঞ (যেমন আইনের অধ্যাপক বা আইনের গবেষক), যার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় রয়েছে তিনি সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তার বয়সের নিম্নসীমা হবে ৪৫ বছর। চতুর্থত: সুপ্রীমকোর্টে অধস্তন আদালত থেকে বিচারক নিয়োগের আনুপাতিক সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পঞ্চমত: সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে পঞ্চম সুপারিশে বলা হয়, এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে অস্থায়ী মেয়াদে অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ থেকে অস্থায়ী মেয়াদে কোন বিচারকের আপীল বিভাগে আসন গ্রহণের বিধান বোধগম্য কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বিধায় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তা বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। ষষ্ঠত: সুপারিশে বলা হয়েছে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ‘পরামর্শ’ নিছক আভিধানিক অর্থে নয়, বরং তা সাংবিধানিক ও বিচার বিভাগীয় ধ্যান-ধারণায় বিশেষ অর্থে পড়তে ও বুঝতে হবে। যার ফলে ‘পরামর্শ’ হয়ে উঠতে পারে অর্থবহ ও কার্যকর। এ জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান বিচারপতির পরামর্শ চাওয়া এবং প্রধান বিচারপতির পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও লিখিতভাবে। এদিকে সুপ্রীমকোর্ট বার সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , আপীল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগ দলীয় বিবেচনায় হলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তারা সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানান। জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি সরকার সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের পাঁয়তারা করছে। আমরা বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত সুপ্রীমকোর্টে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা বা নিয়োগের ব্যাপারে সুপ্রীমকোর্টের রায়ের নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই বলে নি।
×