ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মানুষ জঙ্গীবাদ পছন্দ করে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ৩১ মার্চ ২০১৮

মানুষ জঙ্গীবাদ পছন্দ করে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর মতো গুরুতর কোনও সমস্যার কথা শোনেননি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার গুরুতর এমন কোনও সমস্যার কথা শুনিনি, যে কারণে তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। বিদেশে পাঠানোর মতো অসুস্থ তিনি হননি।’ আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জেল কোড অনুযায়ী তার যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া দরকার সব দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানিয়েছিলেন অসুস্থ বোধ করছেন। তার অনুরোধে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। ডাক্তার জানিয়েছেন তিনি আগের রোগে ভুগছেন, নতুন কোনও রোগ তার মধ্যে পাওয়া যায়নি।’ বাংলাদেশে যড়যন্ত্রের অভাব নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কখনও বলিনি জঙ্গী একেবারে নির্মূল করেছি। যড়যন্ত্র এখনও চলছে। অনেকে জঙ্গীবাদের উত্থানের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু এ দেশের মানুষ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ পছন্দ করে না। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। সেজন্য আর কখনও জঙ্গীবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় তৎপর রয়েছে।’ গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছে। শিগগিরই মাদক আইন সংশোধন করা হবে। গণমাধ্যমে মাদকবিক্রেতা ও গডফাদারদের ছবি প্রকাশ করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কটের ব্যবস্থা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবনে দস্যুতা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একাধিক দস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। পর্যায়ক্রমে সব বাহিনীকে আত্মসমপর্ণ করিয়ে সুন্দরবনে পুরোপুরি শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি ডা. আফম রুহুল হক, সাতক্ষীরা ২ আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা ৪ আসনের এমপি এসএম জগলুল হায়দার, খুলনা বিভাগীয় রেঞ্চ ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ।
×