ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তি কমছে না

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ৩১ মার্চ ২০১৮

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ভোগান্তি কমছে না

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী ॥ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যানজটের কবলে পড়ে সরকারী , ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি কমপক্ষে অর্ধশতাধিক চাকুরী প্রার্থী। যানজটের মুলে রয়েছে মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান , ট্রাক আর পুলিশ। অবস্থা দেখে প্রতিয়মান হচ্ছে মহাসড়কের সম্প্রতিকালের ভয়াবহ যানজট সমস্যা নিরসনের বিষয় দেখার কেউ নেই। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফোর লেইন (চার লেইন) ব্যবস্থা চালু থাকলেও যানজটের কারনে যাত্রীদের দূর্ভোগ কমেনি। শুক্রবার সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সরকারী দপ্তরে, আধাসরকারী দপ্তরে , ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরীতে নিয়োগ পরীক্ষার দিন সময় ধার্য্য ছিলো। সে হিসাবে সংশ্লিষ্ট চাকুরী প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফেনী , কুমিল্লা, নোয়াখালী , লক্ষীপুর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন্ পরিবহনের বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ফেনী থেকে ঢাকার দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। ফেনী থেকে ঢার্কা এ দুরত্ব অতিক্রম করতে অতীতে সাধারনত সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লেগে থাকতো। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত যানজটের কারনে সময় লেগেছে ১২ থেকে ১৫ ঘন্টা। নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌছাতে পারবেনা এ কারনে শুক্রবার সকালে দুপুরে বিভিন্ন স্থানে অনেকে বাস থেকে নেমে দু:খ নিয়ে বাড়ী ফিরে যেতে হয়েছে। চাকুরী নামের সোনার হরিনটি পাওয়ার চেষ্টা মহাসড়কে যানজটের কারনে এ যাত্রায় হেরে গেছেন অনেকে। অনেকে হরিয়ে ফেলেছে চাকুরী পাওয়ার জন্য জীবন থেকে একটি বছর । আবার অনেকের শেষ হয়ে গেছে চাকুরীর যোগ্যতার নির্ধারিত বয়স সীমাটিও। অনূসন্ধানে জানা যায়- ঢাকা- চট্রগ্রাম মহাসড়কে ফোর লেইন চালু রয়েছে। চট্রগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক গুলি মহাসড়কের পুরো রাস্তা জুড়ে ধীর গতিতে চলতে থাকে। পেছনের যাত্রীবাহী বাস মাইক্রো বাস কার সহ অন্য গাড়ীকে সাইট দিয়ে যাওয়ার কাজটি করেনা। আবার অনেক কার্ভাড ভ্যান , ট্রাক রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে চালকরা বিশ্রাম নেয়। সে সময় মহা সড়কের এ অংশটি যান চলাচলের জন্য সরু হয়ে যায়॥ অবার অনেক গুলো ট্রাক কার্ভাড ভ্যান ও কয়েকটি পরিবহনের বাস উল্টো পথ দিয়ে (র্গং সাইট দিয়ে) দ্রতগতিতে আগে যাওয়ার চেষ্ট করে। সামনে গিয়ে বিপরিত দিক থেকে আসা গাড়ীর মুখোমুখি অবস্থায় পড়ে যায়। ফলে যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে দাড়ায়। মহা সড়কের ফেনীর ফতেপুর, মোহাম্মদ আলী বাজার, কুমিল্লার শুয়াগাজী, দাউদকান্দি, গৌরিপুর নারায়গঞ্জের ভবের চর , সোনর গাাঁ সহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে উল্টোপথে যানবাহন গুলি চলতে থাকে। দাউদকান্দি ও মেঘনার টোল প্লাজার আগ থেকে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার যানজট নিত্য দিনের দৃশ্য হয়ে দাড়িছে। এ ছাড়া মহা সড়কের ফোর লেইনের গাড়ী গুলো দাউদকান্দি ও মেঘনা টোল প্লাজা আগেই টু লেইনে( দুই লেইনে) এসে থাকে। তখন আগে যাওয়ার জন্য গাড়ী গুলো এলোপাতাড়ী চালিয় টোল প্লাজার আগ থেকে নুতন করে বাড়তি যানজট সৃষ্টি করে। টোল প্লাজায় বাড়তি যানজট আর টোল গ্রহনে ধীরগতি এবং সময়ক্ষেপনের কারনে যাত্রীদের হয়রানী মরার উপর খড়ার গার অবস্থা সৃষ্টি করছে॥ শুধু তাই নয় সেতুর উপর দিয়ে ওভার টেক করতে গিয়েও নুতন ভাবে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থা কাঁচপুর সেতুর ৪/৫ কিলোমিটার আগে থেকে বিরাজ করে আসছে। যা নিত্য দিনের দৃশ্য হয়ে দাড়িছে। শুধু যানজট নয় ঊল্টো পথে গাড়ী চলাতে গিয়ে ফেনীর বারাহীপুর সহ বিভিন্ন স্থানে রেল গেইটে ট্রেনের সাথে বাস ,ট্রাক , কাভার্ড ভ্যান দুঘটনায় কবলিত হয়ে যাত্রী , চালক সহ অনেক হাতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে পন্যবাহী কার্ভাড ভ্যান , ট্রাক চলাচলে উপর নজরদারী করে মহাসড়কের পুরো রাস্তা জুড়ে না চলার ব্যবস্থাসহ মহাসড়কের পাশে অবৈধ ট্রাক কার্ভাড ভ্যান পাকিং বা ষ্টান্ড বানানো বন্ধ করে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, কার সহ গন পরিবহন চলাচলে সুষ্টু সুযোগ সৃস্টি করে যাত্রীদের যথাসময়ে নির্ধারিত গন্তেব্য পৌছার ব্যাবস্থা করে যাত্রী হয়রানী ও জনদূর্ভোগ লাগব করতে সংষিøষ্ট কতৃপক্ষে আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা।
×