ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত তথ্য ॥ সিউলে জাপানী রাষ্ট্রদূতকে তলব

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৩১ মার্চ ২০১৮

পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত তথ্য ॥ সিউলে জাপানী রাষ্ট্রদূতকে তলব

জাপানের নতুন পাঠ্যক্রমে কয়েকটি অমীমাংসিত দ্বীপকে নিজেদের বলে দাবি করায় দক্ষিণ কোরিয়া শুক্রবার জাপানী রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রণীত এই পাঠ্যক্রম নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তাদের এখন থেকে এই শিক্ষা দিতে হবে যে, এগুলো মূলত জাপানের দ্বীপ।- এএফপি। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরীয় উপদ্বীপে জাপানের ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে। এর পরপরই জাপান সাগরের কয়েকটি দ্বীপ দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তখন থেকেই জাপান দ্বীপগুলোর ওপর তাদের মালিকানা ফিরে পাওয়ার দাবিতে সোচ্চার। এই দ্বীপ দুটির একটির নাম ডোকডো এবং অপরটি তাকেশিমা। বাজার অর্থনীতি, গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ হিসেবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মিল থাকলেও ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও ভূখ-গত বিরোধ নিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের মধ্যে দেশ দু’টি যেন ভুলেই যায় যে, তারা উত্তর কোরিয়ার মতো একটি পরমাণু অস্ত্র সজ্জিত দেশের অভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী। গত বছর থেকে জাপান তাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে নিজ দেশের ভৌগোলিক আয়তন নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এই পাঠ্যক্রম চালু করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর তারা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে এটি অন্তর্ভুক্ত এবং শিক্ষকদের প্রতি তা ছাত্রদের পড়ানোর নির্দেশনা জারি করে। শুক্রবার জাপান সরকার অনুমোদিত এই নিদের্শনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সিউল প্রশাসনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জাপানের এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ডোকডোকে দক্ষিণ কোরিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা তীব্রভাবে এই পদক্ষেপের নিন্দা এবং এ ধরনের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ আমাদের বদ্ধমূল ধারণা যে, টোকিও ইতিহাসকে বিকৃত করে ডোকডো যে আদিকাল থেকেই জাপানের ভূখন্ড ছিল এই ধারণা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চাচ্ছে’।
×