ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

থমকে আছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার খাস জমি উদ্ধার কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩১ মার্চ ২০১৮

থমকে আছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার খাস জমি উদ্ধার কার্যক্রম

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩০ মার্চ ॥ কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার সরকারী খাস জমি উদ্ধার কার্যক্রম থমকে আছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রায় সাত বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র কমিটি গঠন করে আট শতাধিক বন্দোবস্ত কেস যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর থমকে আছে। এমন দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে ভূমি দস্যুরা দখল করা জমি হস্তান্তরসহ ধরন পাল্টে ফেলছে। ফলে পর্যটন এলাকার খাসজমি শনাক্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হু হু করে জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থায়ীভাবে বেহাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে শত কোটি টাকার সরকারী কৃষি খাস জমি। সরকারী হিসেবে ২০০৮ সালে কুয়াকাটায় এক শতক জমির মূল্য ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা থেকে ২০১৮ সালে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে অন্তত দেড় লাখ টাকা অথচ এত মূল্যবান খাস জমি উদ্ধার প্রক্রিয়ায় নেই কোন গতি। তবে সম্প্রতি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর রহমান কুয়াকাটা পৌরসভা এলাকায় সরকারী দেড় একর খাস জমি উদ্ধার সেখানে সরকারের মালিকানার সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন। তবে মূল কাজ যেন থমকে আছে। সূত্রমতে, কবুলিয়তের শর্ত ভঙ্গ করে বন্দোবস্ত পাওয়া খাস জমি হস্তান্তর এবং জাল কাগজপত্র বানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির অভিযোগে কুয়াকাটার খাস জমি বন্দোবস্তের সকল রেকর্ডপত্র যাচাইয়ের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১১ সালের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ নির্দেশনা দেয়। তৎকালীন ভূমিসচিব মোখলেছুর রহমান স্বাক্ষরিত একই চিঠিতে পর্যটন এলাকা কুয়াকাটার লতাচাপলী, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর ও চরচাপলী মৌজার বন্দোবস্ত দেয়া সকল কেসসমূহ যাচাই-বাছাইসহ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া বন্ধের আদেশ দেন।
×