ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সত্যেন সেন সম্মাননা পেলেন আলী যাকের

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৩১ মার্চ ২০১৮

সত্যেন সেন সম্মাননা পেলেন আলী যাকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলা রঙ্গমঞ্চের বর্ণিল এক চরিত্র আলী যাকের। অভিনয় থেকে নির্দেশনায় রেখেছেন আপন প্রতিভার স্বাক্ষর। টিভি নাটক কিংবা চলচ্চিত্রের অভিনয়েও তার জুড়ি মেলা ভার। বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পীকে প্রদান করা হলো সত্যেন সেন সম্মাননা পদক। সে আয়োজনে পরিবেশিত হলো তার পছন্দের গান। উচ্চারিত হলো শিল্পীর ভাললাগা কিছু কবিতা। ছিল নৃত্য পরিবেশনা। সব মিলিয়ে আয়োজনটি ছিল দারুণ রূপময়। শিল্পী-সংগ্রামী সত্যেন সেনের জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। আলী যাকেরকে সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উদ্্যাপিত হয় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর একাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। শুক্রবার বসন্ত সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সত্যেন সেন সম্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করেন আলী যাকের। ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গানের সুরে স্পন্দনের নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা গেয়ে শোনান ‘আজ সপ্ত সাগর’। সাজেদ আকবর ও সালমা আকবার গেয়ে শোনান আলী যাকেরের পছন্দের দুটি গান। গানগুলো হলো ‘কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন দিয়ে যাও’ ও ‘হৃদয় নন্দন বনে’ । আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আজকে মঞ্চে যেসব বিদগ্ধ গুণীজন ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন, তারা সকলেই মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে চলেছেন। তারা যে পথে হাঁটছেন, এর কোন শেষ নেই। অনন্তকাল ধরে এ পথে চলতে হবে। আর নিজেকে সংস্কৃতিকর্মী দাবি করলে ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ’ তাড়াতে হবে আরো বহুদিন। নইলে সাম্প্রদায়িক ও অপশক্তি বাংলাদেশ নামক ফুলের বাগানকে তছনছ করে দেবে। অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ, নায়লা তারান্নুম কাকলি চৌধুরী ও কোলকাতার সম্ভুনাথ লাহা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন কোলকাতার শিল্পী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে কণ্ঠশীলন। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, পঞ্চভাস্কর ও কোলকাতার এসটিএম সঙ্গীত দল। স্বাধীনতার গান-কবিতার যুগলবন্দী ॥ স্বাধীনতার মাস মার্চে অনুষ্ঠিত হলো একাত্তরের প্রেরণাদায়ী গান ও কবিতার যুগলবন্দী পরিবেশনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন জাতীয় জাদুঘর। সন্ধ্যায় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে গান শোনালেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী শাহীন সামাদ ও আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। শাহীন সামাদ গেয়ে শোনান ‘বাংলা ভাষা রাখতে মাগো’, ‘ওরে বিষম দৈরার ঢেউ’, ‘বাংলা আমার জন্মভূমি’, ‘মোরা ঝর্ণার মতো উদ্দাম’, ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’, ‘স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে’ ইত্যাদি। বাংলাদেশ-ভারত আবৃত্তি উৎসব ॥ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো দুই বাংলার বাচিকশিল্পীদের যৌথ পরিবেশনা। বাংলাদেশ-ভারত আবৃত্তি উৎসব শিরোনামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। বিমল দে’র গণসঙ্গীতে মুগ্ধ শ্রোতা ॥ গণমানুষের গান গেয়ে মুগ্ধতা ছড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত গণসঙ্গীত শিল্পী বিমল দে। শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার একক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত তিন দিনের সত্যেন সেন গণসঙ্গীত উৎসব। ‘ঐক্যের সুরে বাঁধো সাম্যের গান’ প্রতিপাদ্যে বুধবার শুরু হয় এ আয়োজন। প্যাপিরাসের পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য বইয়ের হাট ॥ গত বছর প্রথমবারের মতো প্যাপিরাস আয়োজন করেছিল বুক হান্ট উইথ প্যাপিরাস। যাতে পুরনো ও দুষ্প্রাপ্য বইয়ের হাট বসেছিল সেখানে।
×