সন্ত্রাস ও মৌলবাদ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী লর্ড আহমেদ অব উইম্বল্ডন।
এছাড়া তিনি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহসী এবং মানবতাবাদী ভূমিকার জন্য তাঁকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ মন্ত্রী এই প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের হাই-কমিশনার মোঃ নাজমুল কাউনাইন এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বাসসর।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ মন্ত্রী লর্ড আহমেদ সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও তার নিজের ঢাকা সফরের বিষয় তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকা-ে যুক্তরাজ্য অভিভূত। তিনি ব্রিটেনে কর্মরত বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মহান স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান স্টিফেন টুইগ এমপি, লিজ ম্যাকিনিজ এমপি, পল স্কালি এমপি, জিম ফিটজপ্যাট্রিক এমপি, লর্ড শেখ ও লর্ড বিলিমোরিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাই-কমিশনার মোঃ নাজমুল কাউনাইন বক্তৃতায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিশ্চিত করে উন্নয়নের মহাসড়কে আরোহণ করেছে।
তিনি গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের মধ্যে কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এর মাধ্যমে দু‘দেশের মধ্যে বিদ্যমান কূটনীতিক সম্পর্ক আরও গভীরতর, দৃশ্যমান ও উষ্ণতর হয়েছে।
