ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৩১ মার্চ ২০১৮

ঝিনাইদহ পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ের দেয়ালে আছে তিনটি বিকাশ নম্বর। তার অধীনস্থ কর্মচারী অফিসে বসেই নিচ্ছেন অতিরিক্ত টাকা। এভাবেই চলছে ঝিনাইদহের পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম। অফিস জুড়ে দালালের দৌরাত্ম্য আর হয়রানিতে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। সহকারী পরিচালকের দাবি, সেবার মান আগের চেয়ে বেড়েছে। ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পার্সপোট অফিসে এভাবেই প্রকাশ্যে, এক গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন অফিস সহকারী মেহেদি হাসান। এছাড়া, অফিসের দেয়ালেই দেয়া আছে তিনটি বিকাশ নম্বর। যার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হয় অতিরিক্ত টাকা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পাসপোর্ট করতে গেলে টাকা ছাড়া কাজই হয় না। নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ পাসপোর্ট ১৫ ও জরুরী পাসপোর্ট ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ায় কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দালাল চক্রের হাতে যেন জিম্মি তারা। যদিও এসব অভিযোগ মানতে নারাজ পাসপোর্ট অফিসের কর্তাব্যক্তিরা। দাবি করেন, প্রিন্টিং সমস্যা ও জনবল সঙ্কটের কারণে পাসপোর্ট দিতে দেরি হয়। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালেও, কমছে না পাসপোর্ট করতে আসা গ্রাহকদের দুর্ভোগ।
×