ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কিত চট্টগ্রাম নগরবাসী

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৩১ মার্চ ২০১৮

জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কিত চট্টগ্রাম নগরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১৬টি খাল খননের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। অন্যদিকে বরাদ্দ না থাকায় এবারও খাল খনন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা কতটুকু নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ। বর্ষায় নগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানির সঙ্গে জোয়ারের পানি মিলিয়ে নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি পানির নিচে তলিয়ে যায়। আর এতে প্রতি বছর চরম দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএর মধ্যে রশি টানাটানি চলেই আসছে। এ অবস্থায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্প গত আগস্টে অনুমোদন পায় সিডিএ। দীর্ঘ ৭ মাস পর অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাল খনন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম বলেন, আমরা শুধু খাল খনন ও পরিষ্কার এবং ড্রেন খনন ও পরিষ্কারের কাজে হাত দিব। এদিকে খাল খনন ও সংস্কার কার্যক্রম প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশন করে এলেও এবার পৃথক বরাদ্দ না থাকায় খনন কার্যক্রম থেকে সরে আসতে হয়েছে তাদের। মেগা প্রকল্প সিডিএ অনুমোদন পাওয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল দায়িত্ব ও তাদের বলে জানায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, বাজেট দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে আমরা সহযোগিতা করব। বর্ষা শুরু হওয়ার বাকি কয়েক মাস। এখনও জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি না থাকায় পানি জমে থাকা নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কোন পরিকল্পনা কার্যকর হয় না। খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয় না। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো সেবাধর্মী সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান। তিনি বলেন, অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি পরিষ্কার নয়। সিটি করপোরেশন অর্থ বরাদ্দ না পেলে কাজ কীভাবে করবে? আলোচনা সাপেক্ষে দুটো সংস্থা একটা সমাধান নিয়ে আসতে পারে। উল্লেখ্য, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালে ৪৮টি গার্ডার ব্রিজ ও কালভার্ট, তিনটি জলাধার ও খালের উভয় পাশে ১৫ ফুট চওড়া সড়ক নির্মাণ করা হবে।
×