ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অনুসন্ধান

ফেস আইডি, কখনও চেনে কখনও চেনে না

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৩১ মার্চ ২০১৮

ফেস আইডি, কখনও চেনে কখনও চেনে না

আইটি ডটকম ডেস্ক ॥ বাজারে এসেছে এ্যাপলের আইফোন ঢ। সর্বশেষ এই আইফোনের ফেস আইডি জায়গা করে নিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোর আলোচনায়। চেহারা শনাক্ত করতে এই ফেস আইডির ক্ষমতা কতটুকু? একই রকম চেহারার জমজদের ক্ষেত্রে এটি চেহারা আলাদা করতে পারে কিনা, এমন সব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে চালানো হচ্ছে নানা পরীক্ষা। পিপা আর জারা, এই দুই অভিন্ন চেহারার যমজ বোনকে নিয়ে আইফোন ঢ-এর ফেইস আইডির কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে সিএনএন। প্রথমে ফেস আইডির মাধ্যমে একটি আইফোন ঢ আনলক করার জন্য পিপার চেহারা শনাক্ত করিয়ে নেয়া হয়। এর মানে হচ্ছে আইফোনটিকে পিপার চেহারার সামনে ধরলে তা আনলক হয়ে যাবে, অন্য কারও ক্ষেত্রে হবে না। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যায় ওই আইফোন জারার চেহারার সামনে ধরলেও এটি আনলক হয়ে যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডারের পরীক্ষায় আবার ভিন্নধর্মী ফলাফল পাওয়া গেছে। এই সাইটের ভিডিওতে দেখা যায়, দুই অভিন্ন চেহারার যমজ ভাইয়ের মধ্যে একজন প্রথম তার চেহারা ফেস আইডিতে নিবন্ধন করেন। এরপর তিনি প্রথমে হ্যাট, তারপর চশমা ও শেষে ওড়না পরে এই সিস্টেমকে বোকা বানানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু ফেস আইডি প্রতিবারই তাকে শনাক্ত করে ফেলে ও আইফোনটি আনলক হয়ে যায়। এরপর অন্য ভাইয়ের চেহারার সামনে ওই আইফোন ঢ নিয়ে গেলে ডিভাইসটি আর আনলক হয়নি, এর মানে হচ্ছে ফেস আইডি এই দুই ভাইয়ের চেহারা আলাদা করতে সক্ষম হয়েছে। এ নিয়ে তাদের একজন অবাক হয়ে বলেন, ‘আমাদের পরিবারেরই কিছু সদস্য যেখানে আমাদের আলাদা করতে পারে না, সেখানে আইফোন ঢ আমাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য শনাক্ত করতে পেরেছে, আমি ভালই বিস্মিত।’ প্রযুক্তি সাইট সিনেটের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ফেস আইডি নিয়ে বলেছেন, ‘ফেস আইডি অধিকাংশ সময়ই আমাকে শনাক্ত করতে পারে, কিন্তু মাঝে মধ্যে এটি পারে না।’ মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জেফরি ফাওলার বলেন, ‘১০ বারের মধ্যে নয়বার ফেস আইডি কাজ করেছে। অন্ধকারে বা সানগাস পরা অবস্থায়ও এটি আমাকে শনাক্ত করেছে- কিন্তু আগ্রহবশত আমি যখন নকল দাড়ি লাগাই তখন আর এটি আমাকে শনাক্ত করতে পারেনি।’ মার্কিন প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রধান সম্পাদক নিলায় প্যাটেল ফেস আইডি ব্যবহারে আইফোন আর চেহারার মধ্যকার দূরুত্ব নিয়ে সমস্যার কথা বলেন। এই দূরুত্ব ১০ থেকে ২০ ইঞ্চি রাখতে এ্যাপল পরামর্শ দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্যাটেল বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমি যখন কিছু দেখার জন্য পকেট থেকে আমার ফোন বের করে ধরি, ফেস আইডির জন্য তার চেয়ে আরও কাছে ধরতে হয়। এর মানে হচ্ছে আমি এখন পর্যন্ত অন্য যত ফোন ব্যবহার করেছি, তার চেয়ে আমার আইফোন ঢ চেহারার আরও কাছে ধরার বিষয়টি আমার মাথায় রাখতে হয়।’ প্রযুক্তি রিভিউদাতা সাইট টম’স গাইডের প্রধান সম্পাদক মার্ক স্পুনআওয়ার বলেন, ‘আলো কম থাকলে বা রাতে পুরো অন্ধকারেও আমার চেহারার সামনে ধরে আইফোন ঢ আনলক করতে কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু কোন কারণে এটি লিফটে কাজ করেনি। এক্ষেত্রে আমাকে ফেস আইডি চালু করতে আমার পাসওয়ার্ড দিতে হয়েছে যদিও আমি এটি বন্ধ করিনি।’ ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের প্রযুক্তিবিষয়ক লেখক ডেভিড ফেলান বলেন, ‘এটি কি শতভাগ নির্ভরযোগ্য? না, তবে কাছাকাছি। একবারই এটি আমাকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যখন এটি একটি টেবিলে শোয়ানো ছিল আর আমি এর দিকে ঝুঁকেছিলাম। ঠিকঠাক কাজ করতে এটিকে আপনার চোখ, নাক আর মুখ দেখতে হয়।’ মার্কিন দৈনিক ইউএসএ টুডে’র প্রযুক্তি কলাম লেখক এডওয়ার্ড সি বেইগ একাধিক পরিস্থিতিতে ফেসআইডি নিয়ে পরীক্ষা করেছেন। হ্যাট পরে, সানগাস পরে আর অন্ধকারে চালানো হয় পরীক্ষা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকবার চেষ্টার পর আমি যা করতে ব্যর্থ হই তা হচ্ছে, পর্দার সামনে আমার চেহারার একটি ছবি বা ভিডিও ধরে একে প্রতারিত করা।
×