ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

একাত্তরের মার্চ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৩১ মার্চ ২০১৮

একাত্তরের মার্চ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ

আজ ৩১ মার্চ শনিবার। মার্চ মাস যেমন ঘটনাবহুল তেমনি বর্ণাঢ্য। এবারের মার্চ মাসে কতগুলো অর্জন একে আরও বর্ণাঢ্য করে তুলেছে। প্রথমত, এ মাসেরই ৭ তারিখ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) থেকে ১৩/১৪ লাখ লোকের উত্তাল মহাসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, যাতে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সামরিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও বিদেশনীতির সম্পূর্ণ রূপরেখা দিয়েছিলেন। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সেই ভাষণকে বিশ্বের ২৫০০ বছরের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে, স্বীকৃতি দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন এবং ওইদিনই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের সোপানে উন্নীত করে স্ট্যাটাস দিয়েছে এবং এই দুটি অর্জনও হয়েছে জাতির পিতার কন্যা ‘স্টার অব দ্য ইস্ট’ শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে। এ দুটিই দুর্লভ সম্মানের খবর। আজ বিশ্ববাসী জানল আমরা বাঙালীরা কত ঐশ্বর্যের অধিকারী। এর আগেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের রাষ্ট্রভাষা- শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করেছে। আজ জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলো আমাদের ভাষা দিবসকে তাদের মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে। যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিল, ‘স্বাধীন হলে কি হবে, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি হয়ে থাকবে’, আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি সেই বাংলাদেশই কিসিঞ্জারের গালে কষে একটা চপেটাঘাত করল। আজ বাংলাদেশ কেবল উপচেপড়া ঝুড়িই নয়, বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে, বলছে- Hwo Bangladesh could do this? বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা যখন বহির্বিশ্বে লাল গালিচার ওপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে অভিবাদন নেন, তখন অদূরে দ-ায়মান সাধারণ মানুষও তাকে একবার দেখে আত্মতৃপ্তি লাভ করে। বিদেশে অবস্থানকারী বাঙালীরা তখন বুক ফুলিয়ে বলে, ‘আমি বাঙালী, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি, আমার রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনা, আমার জাতির পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু বাংলাদেশে একটি বিষবৃক্ষ আছে যার নাম বিএনপি। এর ছায়ায় জীবনধারণকারী খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়া- অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি জিয়ার স্ত্রী ও পুত্র। এদের পক্ষে বর্ণাঢ্য মার্চের এই ঐশ্বর্য ধারণ করা ‘মুশকিলহি নেহি, না মুমকিন হায়।’ করবেইবা কি করে। ওরা তো তখন (১৯৭১-এ) ছিল না, কোন অবদানও রাখার সুযোগ ছিল না। সুযোগ পেলেও সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার মতো যোগ্যতা তাদের যে হতো না তা তো এখন ভালই বোঝা যায়। যোগ্যতা, আজও নেই। লেখাপড়া, মেধা যা মানুষকে যোগ্য করে তোলে, সে তো ‘আন্ডার ম্যাট্রিক গ্র্যাজুয়েট।’ ঢাকা দেয়ার জন্যে তাই মিলিটারি জিয়া উর্দি পরতেন কিংবা সাফারি নামক এক হাফ মিলিটারি হাফ দারওয়ানি পোশাক পরতেন। এভাবে স্ত্রী ইম্পেটেড শিপন এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিদেশে পলাতক পুত্র শ্যুট-টাই পরে ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছেন। এমনি এক পোজ দেয়া ছবি দেখলাম ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় বিএনপির ক্রোড়পত্রে। ওরা মনে করে শ্যুট-টাই পরলে লেখাপড়ার দৈন্য ঢাকা পড়ে যাবে এবং তিনি দিব্যি চরে বেড়াবেন। এই মিলিটারির সন্তান তাদের ক্রোড়পত্রে একখানা বাণী দিয়েছে, যাতে তিনি বলেছেন, তার বাপ নাকি একাত্তরের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানী মিলিটারির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। বাণী ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতেই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এবং নিজের ব্যাটেলিয়ানকে সাথে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। ... এবং পরদিন ২৬ মার্চ তারিখে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে নিজেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি (?) হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।’ তবে মনে হয় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কিছুটা হলে চক্ষুলজ্জা আছে। তিনি তার বাণীতে বলেছেন, ‘২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। মির্জা ফখরুল খুব কায়দা করে ‘জিয়ার ঘোষক পদবী’ যা সর্বৈর মিথ্যা, তাই তাকে এভয়েড করার জন্যে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ‘ঘোষিত হয়েছিল’ এই শব্দ ব্যবহার করে একটি চরম মিথ্যাকে আড়াল করতে চেয়েছেন। হয় তো তার মধ্যে এখনও কিছু চক্ষুলজ্জা বাকি আছে। অবশ্য পরক্ষণেই আবার চামড়া বাঁচানোর জন্যে বলেছেন, ‘তার স্বাধীনতার ঘোষণায় সেই সময়ে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং দিশেহারা জাতি পেয়েছিল পথের দিশা।’ কেননা তার মাথার ওপর রয়েছে তারেক রহমান। এই তারেককে খালেদা জিয়া এমন এক ডন বানিয়েছেন যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলার মুরদ বিএনপিতে কারও নেই, খালেদা জিয়ারও না। এবার ১৯৭১ সালের মার্চ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ওপর কিছু আলোচনা করতে চাই এ জন্য যে, আমার এ লেখা যেদিন (শনিবার, ৩১ মার্চ) ছাপা হবে সেদিন এই অগ্নিঝরা মার্চের শেষ দিন। এই মার্চ মাস পেতে হলে আবার এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে আমরা যারা ৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা, ১১ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, একাত্তরের ১ মার্চ মিলিটারি ইয়াহিয়া কর্তৃক জাতীয় সংসদের অধিবেশন বাতিল এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ; ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন এবং ওইদিন বঙ্গবন্ধু কর্তৃক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা, ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা; আমার সোনার বাংলা.... গানকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ; ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ও স্বাধীনতার প্রাথমিক ঘোষণা এবং একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের (গেরিলা যুদ্ধ) মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানী হানাদার মিলিটারি জান্তাকে পরাভূত করে কিভাবে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ করতে হবে তার সামরিক, প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও বিদেশনীতির দিকনির্দেশনা দিয়ে যান এবং দুনিয়া কাঁপানো অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার মিলিটারি জান্তা ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ ঘোষণা করে ট্যাংক-কামান নিয়ে আক্রমণ ও গণহত্যা শুরু করে, এই প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা দেন- This may be my last message. From today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved. আমরা যারা এই পুরো সময়টা দেখেছি, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি, তাদের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। তাই বিষয়গুলো বারবার তুলে ধরতে হবে, ’৭৫ পরবর্তী সামরিক স্বৈরাচারের ছায়ায় বড় হওয়া প্রজন্মের সামনে আরও বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। বিশেষ করে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের মতো অশিক্ষিত, দুর্নীতিপরায়ণ এবং সততা-নৈতিকতাবিবর্জিত নেতৃত্ব যখন রাজনীতিতে আছে। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ আজিজের কাছে পাঠানো হয় এবং তিনি ঘোষণাটি চট্টগ্রাম বেতার থেকে পাঠ ও প্রচার করার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী প্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান ২৬ মার্চ বেলা দেড়টায়। তারপর থেকে এটি প্রচারিত হতে থাকে। তৎকালীন পাকিস্তান আর্মির মেজর জিয়াউর রহমান তখন চট্টগ্রাম বন্দরের সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানের আনা অস্ত্র খালাসের কাজ করছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব একজন আর্মি অফিসারকে দিয়ে পাঠ করানোর লক্ষ্যে প্রথমে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে আহ্বান জানান। তিনি সিনিয়র হিসেবে জিয়ার নাম বলেন। তখন নেতৃবৃন্দ তাকে এক রকম জোর করে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করান ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং জিয়ার ঘোষণাটি ছিল ও, Major Ziaur Rahman do hereby declare independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. বিএনপি দাবি করছে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক। তাহলে প্রশ্ন জাগে জিয়া ঘোষণা করলেন ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, তাহলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হয় কি করে! বস্তুত জিয়া ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠক ৫ নং ব্যক্তি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, তখনও আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মহসিন হলে থাকতাম। আমার এক বন্ধু ২৩ মার্চ হলে আসে এবং ২৪ মার্চ আমরা গ্রামের বাড়ি চলে যাই। তখন গ্রামে হাইস্কুলের ঘর বানছিলাম (আমি অবৈতনিক প্রধান শিক্ষক ও উদ্যোক্তা)। ২৬ মার্চ বেলা আড়াইটায় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার সাইক্লোস্টাইল কপি আমার হাতে আসে। এটি পাঠান তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা ও বিএএফ লিডার আবদুল মমিন খান মাখন। সঙ্গে সঙ্গে আমি বালিথুবা স্কুল মাঠে উপস্থিত অভিভাবক ও সমবেত এলাকাবাসীর সামনে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পড়ে শোনাই এবং দেশ শত্রুমুক্ত হওয়া পর্যন্ত স্কুলের ক্লাস বন্ধ করে দেই। এখানে বলতে হয়, জিয়া ঘোষণা পাঠ করেন ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, আর আমি ২৬ মার্চ বিকেল সাড়ে তিনটায়। বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানী জল্লাদ জেনারেল নিয়াজির জনসংযোগ কর্মকর্তা সিদ্দিক সালিক তার Withness to Surrender গ্রন্থে লিখেছেন ‘যখন প্রথম গুলিটি বর্ষিত হলো ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তান রেডিওর সরকারি তরঙ্গের (ওভেয়লেংথ) কাছাকাছি একটি তরঙ্গ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষীণ কণ্ঠস্বর ভেসে এলো। ঐ কণ্ঠস্বর মনে হলো তারই এবং আগেই রেকর্ড করা ছিল।’ একই তথ্য দিয়েছেন বিবিসির সাংবাদিক আতাউস সামাদ (মরহুম)। তিনি দৈনিক ভোরের কাগজে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে একটি কলামে বলেছেন, ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করলে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘I have given you independence, nwo go and preserve it।’ আমি জানি এরপরও খালেদা-তারেক এবং তাদের অনুসারীরা জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক (?) বলবেই। তাদের বলতে হবে, কারণ একটা খুঁটি তো লাগে গলায় দড়ি দেয়ার জন্যে। তাছাড়া বাংলাদেশের জনগণকে তারা বোকা ভাবে এবং একটি মিথ্যে বার বার বলে বলে সত্যে রূপ দিতে চাইছে। নইলে যে রাজনীতিতে এতিম হতে হবে। তারাও জানে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্যে গণম্যান্ডেট থাকতে হয় এবং সেই গণম্যান্ডেট ’৭০-এর নির্বাচনে বাঙালী জাতি বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছিল। সে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করেন অর্থাৎ বাঙালী জাতি পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির তৎকালীন পূর্ব বাংলায় ১৬৯টির মধ্যে আওয়ামী লীগকে ১৬৭ আসনে এমএনএ নির্বাচিত করেছিল, যা ছিল পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অর্থাৎ মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে স্বাধীনতার ঘোষণাসহ যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার কেবল বঙ্গবন্ধুরই ছিল। এই এখতিয়ার ভোটের মাধ্যমে তখনকার পূর্ব বাংলার তথা পাকিস্তানের জনগণ বঙ্গবন্ধুকেই দিয়েছিল, আর কাউকে নয়। তাছাড়া জিয়াকে? ২৭ মার্চ সন্ধ্যার আগে কেউ জানত না। তবু বিএনপি ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাবেই। চোর না শোনে ধর্মের কথা। ঢাকা ॥ ২৯ মার্চ ২০১৮ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×