ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে জয়ে ফিরলো আবাহনী

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৩০ মার্চ ২০১৮

সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে জয়ে ফিরলো আবাহনী

অনলাইন ডেস্ক ॥ শেখ জামালের বিপক্ষে আগের ম্যাচে হেরেছিল আবাহনী, তবে পথে ফিরতে খুব একটা সময় নিলো না শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। শুক্রবার এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে পেয়েছে ২০ রানের জয়। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনের সুপার লিগে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী-দোলেশ্বর। ব্যাটসম্যানদের দাপটের ম্যাচে এনামুল হকের ১২৮ ও নাজমুল হোসেন শান্তর ১২১ রানের ওপর ভর দিয়ে আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে দাঁড় করায় ৩৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের স্কোর এটাই। আগের রেকর্ডটাও ছিল আবাহনীর, ২০১৬ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে করেছিল ৩৭১। এবার নিজেদের রেকর্ড ভেঙে আরও উঁচুতে আবাহনী। তাদের রান পাহাড় টপকানোর মিশনে মার্শাল আইয়ুবের হার না মানা ১০৮ রানের সঙ্গে ফজলে মাহমুদের ১০০ রানে দোলেশ্বর ৩৪.১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪৪ রান করার পর শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ডি/এল মেথডে ২০ রানের জয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর। এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষেই থাকলো তারা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহনীকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এনামুল-শান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ২৩৬ রান। ৩৬.৩ ওভারে আউট হওয়ার আগে এনামুল তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। ১২৬ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় খেলে যান ১২৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে গেছেন শান্ত। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূরণ করে ১০৬ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১২১ রান। দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটির পর হানুমা বিহারীর ৬৬ ও মোহাম্মদ মিথুনের হার না মানা ৪৭ রানের ইনিংস দুটির ওপর ভর দিয়ে আবাহনী ৪ উইকেটে করে ৩৯৩ রান। দোলেশ্বরের হয়ে সালাউদ্দিন সাকিল ৮১ রানে পান ২ উইকেট। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে দোলেশ্বরের শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। ৩৩ রান তুলতেই তারা হারায় দুই ওপেনার লিটন দাস (১৪) ও ইমতিয়াজ হোসেনের (১২) উইকেট। তবে ওই ধাক্কা কাটিয়ে দোলেশ্বরকে পথে ফেরান ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ২০৭ রান। দুজনই পূরণ করেন সেঞ্চুরি। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফজলে মাহমুদ আউট হন ১০০ রানে। তবে অপরাজিত ছিলেন মার্শাল। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান অবশ্য দলকে নিতে পারেননি জয়ের বন্দরে। খারাপ আবহাওয়া পুরো চেষ্টাই তো করতে দেয়নি। তাই ৮৮ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় খেলা ১০৮ রানের ইনিংস খেলার পরও হতাশায় ডুবেছেন মার্শাল। দোলেশ্বরের হারানো ৩টি উইকেটই পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তার সতীর্থ এনামুলের হাতে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ১. আবাহনী ৩৯৩/৪, প্রতিপক্ষ প্রাইম দোলেশ্বর ২. আবাহনী ৩৭১/৫, প্রতিপক্ষ মোহামেডান ৩. ইংল্যান্ড একাদশ ৩৭০/৭, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশ ৪. আবাহনী ৩৬৬/৫, প্রতিপক্ষ মোহামেডান ৫. লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩৫৭/৬, প্রতিপক্ষ ওল্ডডিওএইচ ৬. প্রাইম ব্যাংক ৩৫৩/৩, প্রতিপক্ষ কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাব
×