ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩০ মার্চ ২০১৮

ঝলক

মানব শরীরে নয়া অঙ্গের খোঁজ মানুষের শরীরে নতুন অঙ্গের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওই অঙ্গের নাম ‘ইন্টারস্টিশিয়াম’। মানব শরীরের অন্যতম বড় এই অঙ্গটি সম্পর্কে ঠিকমতো জানা গেলে হয়ত ক্যান্সার-রহস্যও সমাধান হবে এমনটাই বলেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্ট’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এই দাবি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সদ্য খোঁজ পাওয়া এই ‘ইন্টারস্টিশিয়াম’ হল ফ্লুইড বা দেহরস ও কলাকোষের সমষ্টি, যা সারা শরীরে জাল ছড়িয়ে রয়েছে। হৃৎপিণ্ড বা যকৃতের যেমন আলাদা আলাদা কাজ, এদেরও নির্দিষ্ট দায়দায়িত্ব রয়েছে। মানবদেহের দুই-তৃতীয়াংশই পানি। বেশিটাই কোষবন্দী অবস্থায়। বাকি তরলের কুড়ি শতাংশ ‘ইন্টারস্টিশিয়াল’। ‘ইন্টার’ শব্দের অর্থ ‘মধ্যবর্তী’। আর ‘স্টিশিয়াল’ বলতে ‘অবস্থান’। অর্থাৎ দু’টি অংশের মাঝখানে থাকা তরল। এই মধ্যবর্তী তরল ও কলাকোষকে একসঙ্গে বলে ‘ইন্টারস্টিশিয়াম’। গোটা দেহে ছড়িয়ে রয়েছে সেটি। পাকস্থলি থেকে শ্বাসযন্ত্র, এমনকি ত্বকের ঠিক নিচে এর অবস্থান। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ইন্টারস্টিশিয়াম’ যে সম্পূর্ণ আলাদা একটি অঙ্গ, তার প্রমাণ পেতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। গবেষক দলের প্রধান, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ল্যাঙ্গন মেডিক্যাল সেন্টার’-এর প্যাথোলজির অধ্যাপক নিল ডি থিস বলেন, একে বুঝতে হলে, মানবদেহের প্রতি অঙ্গ ও তাদের কাজকর্ম নতুন করে খতিয়ে দেখতে হবে। আর সেই কাজটা সফলভাবে করা গেলে, শরীরে একটি অংশ থেকে অন্যত্র ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে কীভাবে, সেটাও হয়ত স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিশেষ করে, ইন্টারস্টিশিয়াল ফ্লুইড বা মধ্যবর্তী তরলই যখন লিম্ফ বা লসিকার মূল উৎস। লসিকা থেকে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হয়। যা কি না যে কোনও রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে মূল হাতিয়ার। নতুন অঙ্গের আকৃতি সম্পর্কে থিসের ভাষ্য, ‘এর কোনও ছবি দিতে পারব না। শুধু বলতে পারি এটি রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশের ওই ‘ইন্টারস্টিশিয়াল’ বা ‘মধ্যবর্তী স্থান’ কেউ কখনও দেখেনি। কারণ বিজ্ঞানীরা যে পদ্ধতিতে কলা-কোষের পরীক্ষা করে থাকেন, তাতে অংশটি ধরা পড়া অসম্ভব।’ কোষগুলো পানি ভর্তি থলির মধ্যে থাকে। সবটা মিলিয়ে ইন্টারস্টিশিয়াম। কোষ পরীক্ষা করে দেখার সময় যখন শরীর থেকে বের করা হয়, তখন তরল অংশ বেরিয়ে যায়। মাইক্রোস্কোপের তলায় ওই কোষগুলোই শুধু ধরা পড়ে। ২০১৫ সালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এন্ডোস্কোপি করার সময় ইসরাইলের দুই চিকিৎসক এক রোগীর পিত্তথলির মধ্যে অদ্ভূত দর্শন কিছু দেখতে পান। ওই দুই চিকিৎসক দাবি করেন, সেটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চেনা জানা কোন দেহাংশের সঙ্গে মেলাতে পারেননি তাঁরা। রহস্যময় ওই অংশের ছবি তুলে সেটি ও ক্যান্সার রোগীটির বায়োপসি রিপোর্ট তাঁরা নিউইয়র্কে থিসের কাছে পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তী দীর্ঘ গবেষণায় এই নয়া অঙ্গ বিষয়ে একমত হন বিজ্ঞানীরা। -ওয়েবসাইট অবলম্বনে। . ১১০ বছরেও প্রাণোচ্ছল আলফ্রেড স্মিথ ও রবার্ট ওয়েটন। এই দুইজন বর্তমানে ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি বয়সী নাগরিক। এদের দু’জনেরই জন্ম ১৯০৮ সালের ২৯শে মার্চ। বৃহস্পতিবার তারা ১১০তম জন্মদিন পালন করেন। আলফ্রেড স্মিথ পার্থশায়ার শহরে বাস করেন। রবার্ট ওয়েটনের জন্ম হাল শহরে। তবে বর্তমানে হ্যাম্পশায়ারের এ্যাল্টন শহরে বাস করেন তিনি। এই দুইজন জীবদ্যশায় দুইটি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন। আবার ব্রিটেনে ২৯টি সাধারণ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছেন। তারপরও এখনও সমান প্রাণোচ্ছল আলফ্রেড স্মিথ ও রবার্ট ওয়েটন। ১১০তম জন্মদিনে সাংবাদিকরা তাদের এই দীর্ঘায়ুর রহস্য জানতে চান। এই প্রশ্নের উত্তরে তাদের জবাব ছিল, আমরা অল্পতে সন্তুষ্ট ও হাসিখুশি থাকতাম আর নরম খাবার খেতাম। রবার্ট ওয়েটন বলেন, অর্থকড়ি আমার কাছে কোন দিনই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমার মনে হয় জীবনে হাসিখুশি থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে আলফ্রেড স্মিথ বলেন, আমি সবসময় সংযত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তবে আমি মনে করি আমার মতো অন্যদেরও দীর্ঘজীবন লাভ করা সম্ভব।-বিবিসি অবলম্বনে।
×