ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৩০ মার্চ ২০১৮

উবাচ

বেকায়দায়! স্টাফ রিপোর্টার ॥ সহজে সমাবেশের অনুমতি পেলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয় সরকার বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে সমাবেশ করার অনুমতি না পেলে বলেন গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। বিএনপির এই দ্বিমুখী অবস্থা নিয়ে সরকার বিপাকে রয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেকায়দায় থাকার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী বিএনপি নেতাদের লজ্জা নেই বলেই এমন কথা বলে বেড়াচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি কী মহাপ্লাবন ঘটিয়েছে রাজপথে, যে সরকার বাধ্য হবে? সেই সামর্থ্য, সক্ষমতা কি বিএনপি গত নয় বছরে নয় মিনিটের জন্যও দেখাতে পেরেছে? সামনে তো প্রশ্নই আসে না। মন্ত্রী বিএনপির শাসনামলের সময় ২১ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বা অফিসের বারান্দায় আওয়ামী লীগকে সভা করতে না দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন এসব সুযোগ সুবিধা তারা দেয়নি, বিরোধী দলের সমস্ত অধিকার হরণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তারা শোভাযাত্রা করল। যানজটের কথা চিন্তা করে রুলিং পার্টি যেখানে র‌্যালি করেনি, তারা (বিএনপি) তো জনদুর্ভোগের কথা ভাবেনি। তারা বিনা বাধায় র‌্যালি করল, তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার কিভাবে হরণ করা হলো? . দূরের তারা স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১২, ১৯ এবং ২৯ মার্চ বিএনপি রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে জামায়াত ঘনিষ্ঠ বিএনপিকে সমাবেশের অনুমোদন দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সে রকমই আভাস দিয়েছেন। এর মধ্যেই সরকারের সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন কেবল এমন দলের অংশগ্রহণেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। এতে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়টি মোটামুটি অনিশ্চিত। অনেকই প্রশ্ন করেছেন, যে দল একদিন সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে না, সেই দল কিভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের মতো বড় দায়িত্ব সামলাবে! বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী অবশ্য বলছেন, বর্তমান সংসদের প্রতিনিধিদের নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হলে সেটি সাম্প্রতিক কালের সেরা প্রহসন হবে বলেও মনে করেন রিজভী। বলেন, বর্তমান সংসদে তো জনগণের কোন প্রতিনিধি নেই। এরা গণতন্ত্রকে দূরের তারা বানিয়েছেন। . বাঁচা-মরার লড়াই স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপির শীর্ষ নেতারা দাবি করছিলেন তার জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। কারাগারে দিন, মাস যতই যাচ্ছে ততই নাকি বিএনপি নেত্রীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কিন্তু স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির সামনে এখন বাঁচা-মরার লড়াই। দিন দিন বিএনপি নেত্রীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে তো সাধারণ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে নামার কথা। কিন্তু এখন এই শঙ্কা কেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন বিএনপি সব থেকে সঙ্কটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। ইতোমধ্যে অনিশ্চিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বিএনপির মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্য হচ্ছে। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান লন্ডনে। কেউ কেউ বলছেন, টেলিফোনে পরিচালিত একটি রাজনৈতিক দল কতদিন এভাবে টিকতে পারবে এমন আশঙ্কাই কি তাহলে মির্জা ফখরুলের কণ্ঠে।
×