ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় নক্সা পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ॥ উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩০ মার্চ ২০১৮

পটিয়ায় নক্সা পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা ॥ উত্তেজনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২৯ মার্চ ॥ নক্সা পরির্তন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগে পটিয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকালে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম মাদ্রাসার ইসলামপুর এলাকায় দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশে কাজ বন্ধ রাখা হয়। মূলত বেড়িবাঁধের নক্সা পরিবর্তন করে মানুষের চলাচলের রাস্তা ও বসতভিটা নষ্ট করার প্রতিবাদে এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় এলাকার পোল্ডার নং-৬২ (পতেঙ্গা), পোল্ডার নং- ৬৩/১এ (আনোয়ারা), পোল্ডার নং-৬৩/১বি (আনোয়ারা এবং পটিয়া) পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চট্টগ্রাম পওর বিভাগ-১ এর অধীনে পতেঙ্গা, আনোয়ারা, পটিয়া এলাকার আল জামেয়াতুল হেমায়তুল ইসলাম কৈয়গ্রাম নামক স্থানে শিকলবাহা খালের পশ্চিম তীরে ১.৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়। প্রাক্কলিত ব্যয় ১৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৬ টাকা। ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম এলাকায় নক্সা পরিবর্তনের কারণে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এসএ-এসআই এবং ইসরাত এন্টারপ্রাইজ (জেবি) প্রতিষ্ঠান যৌথ ঠিকাদারি কাজ করছে। এটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড। পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রাম ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজী ফকির মোহাম্মদ জানিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নক্সা পরিবর্তন করে নিরীহ মানুষের বসতভিটের ওপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছে। যার কারণে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে তাদেরকে কোন ধরনের ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়নি। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বেড়িবাঁধ এলাকায় নক্সা মতে এলাকায় নিশান গেড়ে দিয়েছে। কৈয়গ্রাম এলাকার ২৮৯৯ নম্বর হয়ে ইসলামপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের কাজ যাওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে এলাকার মানুষের বসতি ও চলাচলের রাস্তা দখল করে বেড়িবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছে। তাছাড়া নক্সা পরিবর্তন করে বেড়িবাঁধের কাজ করা হলে ওই এলাকার অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসতঘর বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা। গ্রামবাসী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মনজুরুল আলম বলেন, তাকে যেভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে সেভাবে বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। নক্সা পরিবর্তনের বিষয়টি সত্য হয়। তারপরও বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্টদের জানাবেন। বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (আনোয়ারা) জহির উদ্দিন বলেন, নক্সা পরিবর্তন করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যেখানে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে সাময়িক কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে পরবর্তীতে কাজ শুরু করা হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
×