ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে জমি জবরদখল করে বালু উত্তোলন ॥ সংঘর্ষের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ৩০ মার্চ ২০১৮

রূপগঞ্জে জমি জবরদখল  করে বালু উত্তোলন ॥ সংঘর্ষের আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৯ মার্চ ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সরকারী জমিসহ কৃষি জমি জবরদখল করে বালু ভরাটের অভিযোগ উঠেছে একটি ভুমিদস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে। প্রায় ১২ বিঘা জমি জবরদখল করে বালু ভরাটের ফলে স্থানীয় কৃষকরা ফুসে উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীসহ বেশ কয়েক বিঘা সরকারী জমি রয়েছে। বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় ওই ভুমিদস্যু বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় কৃষকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বেলদি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় এলাকায় এ্যানার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধভাবে এ বালু ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, স্থানীয় ভূমিদস্যু সুলতান, জামান, হাবিবুর, মোশারফ, হারুন, মফিজ, সিদ্দিকুরসহ একটি ভূমিদস্যুবাহিনী বেলদি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় এলাকায় এ্যানার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু অংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর ক্রয়কৃত জমির পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের জমিতে জবরদখল করে অবৈধভাবে বালু ভরাট কার্যক্রম শুরু করে। প্রায় ১৫ বিঘা জমি অবৈধভাবে বালু ভরাট করে জবরদখল করে নিয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষক সামাদের ১০ শতাংশ, ওবাইদুরের ১৫ শতাংশ, খোরশেদ মাস্টারের ১৮ শতাংশ, ইসমাইলের ২৫ শতাংশ, নাছিরের ১০ শতাংশ, সোবহানদেন ২০ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ার আতাউরের ১০ শতাংশ, ইমান আলীর ১০ শতাংশ, মতিউর রহমানের ২৫ শতাংশ, মোহাম্মদ আলীর ৫ শতাংশ, জহিরের এক বিঘা, চাঁন মিয়ার ১০ শতাংশ জমি বালু ভরাট করে জবরদখল করে নিয়েছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর প্রায় দুই বিঘা জমি জবরদখল করা হয়েছে। দখল করা হয়েছে সরকারী হালটের প্রায় আরও তিন বিঘা জমি। কৃষক ও এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালু ভরাটে বাধা দিলেও ভূমিদস্যুবাহিনী প্রভাব খাটিয়ে বালু ভরাট করেছে। এ সরকারী হালট দিয়েই শীতলক্ষ্যা নদীতে যাতায়াত করত এলাকাবাসী। জবরদখল করে বালু ভরাটের কারণে বেলদি এলাকার জনসাধারণ এখন আর নদীতে যাতায়াত করতে পারছে না। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীর। শুধু তাই নয়, এ্যানার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের সঙ্গে এলাকাবাসীর কোন প্রকার যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না ওই ভূমিদস্যুচক্র। জমি না কিনে অবৈধভাবে বালু ভরাট করার ফলে প্রতারিত হচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানটিও। জমি কেনার নাম করে হয়ত ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যুচক্রটি। বেলদি মাদ্রাসা হতে হাফিজি মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় দুই বিঘা সরকারী জমি কেটে বিভিন্ন ইটভাঁটায় বিক্রি করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাছিবুর রহমান বলেন, জমি না কিনে কৃষকদের জমিতে বালু ফেলতে নিষেধ করার পরও তারা বালু ফেলেছে। এছাড়া সরকারী জমির বিষয়েও তাদের নিষেধ করা হয়েছিল।
×