ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নুভিস্তা ফার্মার শেয়ার অধিগ্রহণ করবে বেক্সিমকো

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৩০ মার্চ ২০১৮

 নুভিস্তা ফার্মার শেয়ার অধিগ্রহণ  করবে বেক্সিমকো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা হরমোন ওষুধের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান নুভিস্তা ফার্মা লিমিটেডের অধিগ্রহণ করছে। আগামী ২ এপ্রিল মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে প্রতিষ্ঠানটি। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর উপস্থিতিতে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হবে। আর এটি হলে ওষুধ খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে অধিগ্রহণের ঘটনা ঘটবে। জানা গেছে, এর আগে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠান দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। যা চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি চূড়ান্ত হয়। দেশীয় ওষুধ শিল্পের ইতিহাসে কোম্পানি অধিগ্রহণের এটাই প্রথম ঘটনা। বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি এবং নুভিস্তা ফার্মার চেয়ারম্যান আখতার মতিন চৌধুরী নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ চুক্তির ফলে নুভিস্তার শতকরা ৮৫ দশমিক ২২ ভাগের মালিকানা লাভ করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। বাকি অংশের মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নুভিস্তা ফার্মা আগে অর্গানন বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিল। অর্গানন বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডসভিত্তিক অর্গানন ইন্টারন্যাশনালের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৬৪ সালে। ২০০৬ সালে কোম্পানিটি বাংলাদেশী মালিকানায় হস্তান্তরপূর্বক নুভিস্তা ফার্মা নামে কার্যক্রম শুরু করে। টঙ্গীতে কোম্পানিটির কারখানা রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মার্ক শার্প এ্যান্ড ডোমের (এমএসডি) সঙ্গে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদন ও বিপণনের কোলাবরেশন রয়েছে। কুইন্টাইলস আইএমএসের সমীক্ষা অনুসারে বর্তমানে দেশে ওষুধ সরবরাহের পরিমাণের দিক থেকে কোম্পানিটির অবস্থান ২১তম। কর্পোরেট বিশ্বে মার্জার এবং একুইজিশন ব্যবসায় সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভের জন্য কার্যকরী কৌশল হিসেবে স্বীকৃত। এর মাধ্যমে নতুন কারখানায় বিশাল মূলধন বিনিয়োগ না করে একটি প্রতিষ্ঠান অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মেধা, প্রযুক্তি এবং বিদ্যমান পরিকাঠামোর সর্বোত্তম ব্যবহারে কৌশলগত সুবিধা অর্জন করতে পারে। এরই অংশ হিসেবে নুভিস্তা ফার্মার মালিকানা নিচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মা। বেক্সিমকো ফার্মার জন্য নুভিস্তা ফার্মা অধিগ্রহণ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কেননা হরমোন ও স্টেরয়েডসের বাজারে নুভিস্তার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এ জাতীয় ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন পৃথক ফ্যাসিলিটি যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। নুভিস্তার অর্ধশতাধিক জেনেরিক ওষুধ বাজারে রয়েছে, যা বেক্সিমকো ফার্মার বাজার সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর ফলে নতুন ফ্যাক্টরি নির্মাণে বড় বিনিয়োগ ছাড়াই বেক্সিমকো ফার্মা হরমোন ও স্টেরয়েডসের বাজারে বড় অংশীদারিত্ব লাভ করতে সক্ষম হবে।
×