ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কালের পুতুল একটি ভিন্ন ধারার গল্প ফেরদৌস

প্রকাশিত: ০৭:১০, ২৯ মার্চ ২০১৮

কালের পুতুল একটি ভিন্ন ধারার গল্প ফেরদৌস

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। অভিনয় করে ঘরে তুলে নিয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই দুই বাংলাদেশ-ভারত সমানতালে কাজ করে চলছেন এই অভিনেতা। স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দুই বাংলাতেই অনেক অনেক ভালবাসা। ২০১৮ সাল শুরু হয়েছে তার ‘পুত্র’ ছবির মাধ্যমে এবং বছর শেষে হবে তার ‘পোস্ট মাস্টার ৭১’ ছবির মুক্তির মধ্য দিয়েই। বলা যায় এ বছর কাজের মধ্যে খুব ভাল সময় কাটবে তার। ফেরদৌস অভিনীত একাধিক ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। আগামীকাল শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে পর্দা উঠছে তার অভিনীত ‘কালের পুতুল’ শিরোনামের সিনেমাটি। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেনÑ রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন? ফেরদৌস : ‘গন্তব্য’ ছবির ডাবিং করলাম। আসলে গন্তব্য ছবির ডাবিং নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। সামনে দুটি শো আছে ৩০-৩১ তারিখ। প্রথম আলোর এবং চিটাগং একটি শো করব। আনন্দকণ্ঠ : ‘কালের পুতুল’ চলচ্চিত্র নিয়ে কিছু বলুন। ফেরদৌস : আকা রেজা গালিব পরিচালিত এ ছবিতে আমি একজন সাইক্রিয়াটিস্টের চরিত্রে অভিনয় করেছি। পুরো শূটিং হয়েছে বান্দরবানে। এর আগে মনে হয় এতবড় পরিসরে বান্দরবনে শূটিং হয়নি। গল্পের পরতে পরতে রয়েছে রহস্যের হাতছানি। যাকে বলে চেনা গল্পের অচেনা বাঁক। এ রকম গল্পে এবং চরিত্রে দর্শক এর আগে কখনও আমাকে দেখেনি। চরিত্রটা বেশ রোমাঞ্চকর! ছবিটিতে কাজ করে বেশ ভাল লেগেছে। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ একটি সিনেমা। আশা করি সকলের ভাল লাগবে। চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে, বিভিন্ন পেশার ১১ জন মানুষ এসে হাজির হন বাংলাদেশের পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে। চূড়ান্ত গন্তব্য নুলিয়াছড়ি পাহাড়। সেলফোনের নেটওয়ার্কবিহীন খুবই দুর্গম পাহাড় সারির কারণে এ দিকটা পর্যটকরা মাড়াবে কি, স্থানীয়রাই এড়িয়ে চলে। খাদের ওপর ঝুলন্ত পুল পার হয়ে অতিথিরা যেখানে পৌঁছায় সেখানে রশীদ চৌধুরীর বাড়িটাই সভ্যতার একমাত্র চিহ্ন। তাদের স্বাগত জানায় এক আদিবাসী, অতিথি আপ্যায়নের জন্য যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার কাছ থেকেই জানা যায়, রশীদ চৌধুরী সেদিন দুপুরে উপস্থিত হয়ে লাঞ্চে যোগ দেবেন এমনই একটি গল্পে এগিয়ে যাবে ‘কালের পুতুল’। আনন্দকণ্ঠ : মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কি কি সিনেমা? ফেরদৌস : আশা করছি, চলতি বছর আমার অভিনীত ছয়টি ছবি মুক্তি পাবে। এগুলো হচ্ছে- ‘পোস্ট মাস্টার ৭১’, ‘মেঘকন্যা’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘পবিত্র ভালবাসা’, ‘গন্তব্য ও শূন্য হৃদয়’। আনন্দকণ্ঠ: ‘গন্তব্য’ নিয়ে কিছু বলেন? কী ধরনের গল্পে গন্তব্য এগিয়ে যাবে? ফেরদৌস : এটা একটি ভিন্ন ধরনের গল্প। ছয় বন্ধু মিলে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং সেই চলচ্চিত্রটি সারা দেশে প্রদর্শন করানোর ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে গন্ত্যবের গল্প। গল্পের দুটি ভাগ- একটি শহরের, অন্যটি গ্রামের। গন্তব্য পরিচালনা করেছেন অরণ্য পলাশ। এখানে আমার বিপরীতে আইরিন অভিনয় করেছেন। আনন্দকণ্ঠ : সামনে নতুন কী ছবির কাজ শুরু করবেন? ফেরদৌস : এপ্রিলে দুটি নতুন ছবির কাজ শুরু করব। অঞ্জন আইচ পরিচালিত ‘রূপবতী’ আর আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’। আনন্দকণ্ঠ : ‘কালের পুতুল’ ছবিটি নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্য কি বলবেন? ফেরদৌস : একেবারেই ভিন্ন ধারার একটি থ্রিলার গল্পের ছবি। আশা করি দর্শকদের ছবিটি ভাল লাগবে। যারা মৌলিক গল্পের ছবি দেখতে চায় তাদের জন্য এটি বানানো হয়েছে। দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখলে ভাল লাগবে। -রুহুল আমিন ভূঁইয়া
×