ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর্জেন্টিনাকে লজ্জায় ডুবাল স্পেন

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৯ মার্চ ২০১৮

আর্জেন্টিনাকে লজ্জায় ডুবাল স্পেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা যে কতটা বিশ্রি সে প্রমাণ আরেকবার মিলেছে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবলে স্পেনের কাছে হাফডজন গোল হজম করেছে দিয়াগো ম্যারাডোনার দেশ। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইস্কোর দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ভর করে আর্জেন্টিনাকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন। চোটের কারণে ম্যাচটি খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। এতে করে বরং সমালোচনাই বেশি সইতে হচ্ছে বার্সিলোনা তারকাকে। দু’টি ম্যাচই তিনি খেলতে না পারায় আরেকবার তার দেশাত্মবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার বিশাল এই হারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুমুল আলোচনা হচ্ছে। অনেকে ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের ৭-১ গোলে হারের সঙ্গে তুলনা করছেন। নেইমার বিহীন সেলেসাওদের ওই হারের পর ব্যঙ্গ করে অনেকে বলে থাকেন ‘সেভেন আপ’। এবার আর্জেন্টিনাকে শুনতে হচ্ছে ‘সিক্স আপ’। টানা আট আন্তর্জাতিক ম্যাচের পর প্রথমবারের মতো স্পেনের মূল একাদশে খেলতে নামেন ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত দিয়াগো কোস্টা। দলে ফিরেই প্রথম গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দিতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। এরপর দুই অর্ধ মিলিয়ে ইস্কো পরপর দুই গোল করেন। মাঝে নিকোলাস ওটামেন্ডির গোল আর্জেন্টাইনদের শুধু সান্ত¡না যুগিয়েছে। থিয়াগো আলকানটারা, বদলি খেলোয়াড় ইয়াগো আসপাস ও ইস্কোর তৃতীয় গোলে স্পেনের বড় জয় নিশ্চিত হয়। মেসি ছাড়াও ইনজুরির কারণে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারেননি সার্জিও এ্যাগুয়েরো ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। কিন্তু আর্জেন্টিনার সমস্যা ছিল তারা খুব বেশি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। অন্যদিকে কোস্তা, ইস্কো, মার্কো এ্যাসেনসিওরা সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছে। এ্যাসেনসিও থাকলেও কোস্তা আবারও প্রমাণ করেছেন তিনিই স্পেনের মূল স্ট্রাইকার। চেলসি ছাড়ার পরও অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার এখনও নিজেকে আগের মতোই প্রমাণ করে চলেছেন। তবে আসপাস নিজেও এক গোল করার পাশাপাশি আরও দুই গোলে সহায়তা করেছেন। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে কোচ লোপেতেগুইয়ের অধীনে স্পেন সবধরনের প্রতিযোগিতায় ১৮টি ম্যাচে গোল করেছে, এটা স্প্যানিশ কোচ হিসেবে একটি নতুন রেকর্ড। অন্যদিকে মেসির অনুপস্থিতিতে গঞ্জালো হিগুয়াইন সফরকারীদের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দেন। তবে এভার বানেগা, ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজা ও গিওভানি লো সেলসো ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে নিজেদের এগিয়ে রেখেছিলেন। স্পেন খেলেছে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। ম্যাচ শেষে স্পেন কোচ লোপেতেগুই বলেন, আগের বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে এই জয়টা দারুণ স্বস্তির। আর্জেন্টাইনদের ফুটবলীয় ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। তারপরও বলতে হয় এই জয় কিছুই না, এটা কোনকিছুই পরিবর্তন করে দিবে না। শূন্য থেকে আমরা বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব শুরু করব। এই জয়ের মাধ্যমে স্পেন যতটা এগিয়ে যাবে আর্জেন্টিনা কিছুটা হলেও পিছিয়ে যাবে। তবে বড় এই পরাজয়ের সব দায়ভার স্বীকার করে নিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ জর্জ সাম্পাওলি বলেন, আমি সব দায়িত্ব নিজের করে নিচ্ছি। মেসি আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করেছিল। তার ফিটনেসও ভাল পর্যায়ে ছিল। কিন্তু কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করায় আমি কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইনি। তবে এটা ঠিক, স্পেন আমাদের চপেটাঘাত করেছে। আমাদের পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। স্পেনের বিপক্ষে ৬-১ গোলে হেরে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড স্পর্শ করেছে আর্জেন্টিনা। এর আগে শেষবার আর্জেন্টিনা পাঁচ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। বলিভিয়ার মাঠে ৬-১ গোলে হেরেছিল তারা। ১৯৫৮ সালে তৎকালীন চেকোসেøাভাকিয়ার কাছে একই ব্যবধানে
×