ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিয়ের তথ্য গোপন করে নার্সিং কলেজে ভর্তি ॥ শোকজ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৯ মার্চ ২০১৮

বিয়ের তথ্য গোপন করে নার্সিং কলেজে ভর্তি ॥ শোকজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৮ মার্চ ॥ বিয়ের তথ্য গোপন করে রুকাইয়া আক্তার রুপালী নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রংপুর নাসিং কলেজে লেখাপড়া করার অভিযোগ উঠেছে। সে ওই কলেজে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং-এ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয়। রুপালী নিয়ামতপুর উপজেলার গুজিশহর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে ও মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ঘটনায় রংপুর নার্সিং কলেজ অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন নওগাঁ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বেলাল। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী রুকাইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, বিগত ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেড় লাখ টাকা দেনমোহরে মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে রুকাইয়া আক্তার রুপালীর বিয়ে হয়। সে সময় রুপালী দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। মেধাবী হওয়ায় বিয়ের পরেও রুপালীকে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে স্বামী রফিকুল ইসলাম। এসএসসি পাসের পর মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি করানো হয়। এ কলেজ থেকে ২০১৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৩ দশমিক ৬৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। এইচএসসি পাসের পর স্বামীকে না জানিয়ে ২০১৫ সালে নার্সিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় রুপালী। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিয়ের তথ্য গোপন করে ও স্বামীকে না জানিয়ে রংপুর নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়। বিষয়টি স্বামী রফিকুল ইসলাম জানতে পেরে নার্সিং কলেজে ভর্তি বাতিল করার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িকে অনুরোধ করেন। স্বামীর অনুরোধ উপেক্ষা করে রুপালী নার্সিং কলেজে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। এর কিছু দিন পর থেকে রফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় রুপালী। এ অবস্থায় গত ২২ জানুয়ারি রংপুর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিট ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাজী অফিসের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দেয় সে। স্বামী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর নিজ খরচে স্ত্রী রুপালীকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করিয়েছেন। লেখাপড়ার খরচে শ্বশুর পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা করা হয়নি। বাবার বাড়িতে অবস্থান করে তাকে না জানিয়ে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়েছে। স্ত্রীকে উচ্চ শিক্ষিত করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও উল্লেখ করে তিনি।
×