ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জেলে মাসে দুবার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন বন্দীরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৯ মার্চ ২০১৮

জেলে মাসে দুবার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন বন্দীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৮ মার্চ ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শান্তিপ্রিয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মকা- চালানোর জন্য কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তার জন্য একস্থান থেকে অন্যস্থানে বা অন্যদিন কর্মসূচী পালন করার জন্য বলা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার সবারই রয়েছে। সবাই যদি শান্তিপূর্ণ অবস্থায় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করে , তাহলে আমাদের করার কিছুই নেই। তাহলে আমরাও শান্তিতে থাকতে পারি। শুধু বিএনপি নয় সব দলের রাজনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে যাবে বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল কারাগার প্রাঙ্গণে জেলা কারাগারের বন্দিরা আত্মীয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার জন্য ‘স্বজন’ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এটুআই কর্মসূচীর মাধ্যমে এ কার্যক্রম সফল হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারাগারে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যাসহ সব হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আইন সবার জন্য সমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ। এ সময় জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, উদ্বোধনী দিনে কারাগারের চার বন্দী তাদের স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কারা মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে উদ্বোধনের পরই চালু হয় এই সেবা। পাইলট প্রকল্প হিসেবে দেশের টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে প্রথম চালু হচ্ছে এই সেবা। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সার্ভার স্থাপনসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের সপ্তম পর্বে কারাবন্দীদের ফোনে কথা বলা সংক্রান্ত ‘প্রিজন লিংক’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এটুআইয়ের সহযোগিতায় একটি সফটওয়্যার সাজানো হয়েছে। এর মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের বন্দীরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। মাসে দু’বার করে পাঁচ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট কথা বলতে পারবেন একজন কারাবন্দী। কারাগারে ডেভেলপ করা সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভেরিফায়েড হওয়ার পর ওই দুটি নম্বরে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যাবে।
×