ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

রণদা প্রসাদ হত্যা মামলায় মাহবুবের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০১৮

রণদা প্রসাদ হত্যা মামলায় মাহবুবের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মোঃ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও গণহত্যার মতো তিনটি অপরাধের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে, মামলায় সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করার জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওইদিন মামলায় ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাব্যুনাল। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নড়াইলের আব্দুল ওয়াহারসহ ১২ আসামির মধ্যে পলাতক আসামি মোঃ খন্দকার শওকত আলী ওরফে বাবুল আমিনের বিষয়ে যশোরের এসপিকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য পলাতক ৬ আসামির বিষয়ে রিপোর্ট এসেছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা বেগম চমন। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। টাঙ্গাইলের দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা হত্যা মামলায় বিচার শুরুর আদেশ প্রদান করেছে ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ৯ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের অধীনে আসামি মাহবুবুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারেই আছেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বইরাতিয়াপাড়ায়। তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৭ মে আসামি মাহবুবুরের সহায়তায় পাকিস্তানী বাহিনীর সদস্যরা দানবীর রণদা প্রসাদ ও তার ছেলেকে নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজউদ্দৌলা সড়কের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। আসামি মাহবুবুরের বিরুদ্ধে সাহাপাড়া এলাকায় ৩৩ হিন্দুকে ধরে নিয়ে হত্যা ও মির্জাপুর থেকে ২৪ জনকে অপহরণের পর তাদের মধ্যে ২২ জনকে মধুপুরে নিয়ে হত্যার অভিযোগসহ অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে সমাজসেবক রণদা প্রসাদ সাহা হত্যাসহ অপহরণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। নড়াইলের ১২ রাজাকার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নড়াইনের আব্দুল ওয়াহারসহ ১২ আসামির মধ্যে পলাতক আসামি মোঃ খন্দকার শওকত আলী ওরফে বাবুল আমিনের বিষয়ে যশোরের এসপিকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য পলাতক ৬ আসামির বিষয়ে রিপোর্ট এসেছে।
×