টেলিভিশনের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিজিটাল এন্টারটেইনম্যান্ট সাইট ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। একসময় যখন টেলিভিশন এবং পত্র পত্রিকা ছিল বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম আস্তে আস্তে সেই জায়গাটা নিয়ে গেছে ইউটিউব এবং ফেসবুক।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরির মাধ্যমে সেখানে নতুন নতুন শিল্পীদের শিল্পকর্ম উঠে আসছে। তবে মানের বিষয়টি অনেকরই নজর নেই। মানহীন অনুষ্ঠানও ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে যার ফলে দেশীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে বহিঃবিশে^র মানুষের মধ্যে ভুল ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। স্মার্ট ফোনের ক্রমবিকাশের মাধ্যমে ইউটিউবে এবং ফেসবুকে মানুষ তাদের বিভিন্ন ধ্যান ধারণা থেকে অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা করছেন। নাটক, শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিওসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান চোখে পড়ছে ফেসবুক এবং ইউটিউবে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো গভীর চিন্তাভাবনা এবং মান বজায় রেখে যে রকম অনুষ্ঠান আয়োজন হচ্ছে ঠিক তেমনি নি¤œ মানের অনুষ্ঠানও চোখে পড়ছে।
সেই নি¤œ মানের অনুষ্ঠানের প্রভাব ইউটিউব এবং ফেসবুকেও পড়ছে।
এসব নি¤œ মানের অনুষ্ঠান থেকে ভবিষ্যত প্রজন্ম কি শিখবে সেটাও ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বিগত কয়েক বছরে বিনোদন জগতে যে বিপ্লব ঘটে গেছে তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে তা অবশ্যই স্বীকার্য। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি বড় অংশের আয়ের উৎস হতে পারে ওয়েব ভিডিও কন্টেন্ট যা বেশিরভাগই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশে ইউটিউবে কোন অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে যদি মানটা ভাল বজায় রাখা যায় তাহলে এখানে বড় রকমের একটি পরিবর্তন আসতে পারে।
ঢাকা কলেজ, ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: