ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই পুলিশ সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২৮ মার্চ ২০১৮

যশোরে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই পুলিশ সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছায় আবারও ইয়াবা দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে দোকান থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামানসহ তিন পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, অভিযুক্ত রবিন সেন বাপ্পি একজন ইয়াবা সেবনকারী। তার পকেটেই ইয়াবা পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ২ পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের স্বর্ণপট্টিতে সেনকো জুয়েলার্সের মালিক রবিন সেনের ছেলে রাজন সেন ওরফে বাপ্পির (২৫) কাছে ‘ইয়াবা ট্যাবলেট আছে’ বলে দোকান থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক আকবর আলী এবং কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম। সে সময় চৌগাছা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি ইবাদত হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান এ্যাডমিরালের উপস্থিতিতে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এসআই কামরুজ্জামান নিজের পিস্তল বের করেন। এসময় উত্তেজিত ব্যবসায়ীরা দোকানের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে এসআই কামরুজ্জামানকে আটকে ফেলেন। অন্য দুইজন এএসআই আকবর এবং কনস্টেবল নাজমুল কোনক্রমে দোকান থেকে বের হয়ে পালিয়ে যান। ঘটনা শুনে বাজারের শত শত ব্যবসায়ী ওই দোকান ঘিরে বিক্ষোভ করতে থাকে। চৌগাছার ওসি শামিম খন্দকার বলেন, রাজন সেন বাপ্পি একজন ইয়াবাসেবী। মঙ্গলবার চৌগাছা বাজারের এক জায়গা থেকে ইয়াবা কিনে সে দোকানে যায়। এ সময় থানা পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে ইয়াবা এবং এক পুরিয়া হেরোইনসহ আটক করে। এ সময় সে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে দৌড়ে দোকানে চলে যায়। পুলিশ তার পিছু নিয়ে দোকানে গেলে চিৎকার করে বাপ্পি মিথ্যা কথা বলে লোকজন জড়ো করে। বাপ্পির বিরুদ্ধে থানায় এর আগেও ইয়াবার মামলা রয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেলের সহায়তায় থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসআই কামরুজ্জামানকে উদ্ধার করে চৌগাছা থানায় নিয়ে যায়। এদিকে, এঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে নিজেদের দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
×