ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আলুর সরকারী মূল্য নির্ধারণের দাবি চাষীদের

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৮ মার্চ ২০১৮

আলুর সরকারী মূল্য নির্ধারণের দাবি চাষীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে জেলার চাষীরা ব্যাপক জমিতে আলু চাষ করলেও চলতি মওসুমে আলুর দাম না থাকায় চাষীরা বিপাকে পড়েছেন। আলুর লোকসান কমাতে বিদেশে রফতানির পাশাপাশি সরকারীভাবে ধান চাল গমের মতো আলুর দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বত্র আলুর ব্যাপক আবাদ হয়ে থাকে। চলতি বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৩ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু গত বছরও চাষীরা আলু উৎপাদন খরচ তুলতে পারেনি। লোকসান কমাতে অনেকে হিমাগারে আলু মজুদ করে রাখে। কিন্তু শেষের দিকে আলুর দামে আরও ধ্বস নেমে আসলে অনেকে হিমাগার থেকে আলু তোলেনি। এ অবস্থায় গত বছর আলু মজুদকারী অনেক চাষী মোটা অঙ্কের লোকসান দেয়। গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি জমিতে আলু আবাদ করে চাষীরা। কৃষি বিভাগের মতে, এ বছর ২৩ হাজার ৭শ’ ৪২ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা মওসুমের শুরুতে বীজ ও সার এবং কীটনাশকের সরবরাহ ভাল থাকায় এবং আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ২০ মেট্রিক টন হিসেবে অর্জিত জমিতে ৪ লাখ ৯১ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হবে বলে কৃষি বিভাগ আশা করছে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা এলাকার আলু চাষী মাজেদুর রহমান বলেন, গত বছর আলু উৎপাদন মওসুমে দাম পাইনি। তাই ৫শ’ বস্তা আলু হিমাগারে রাখি। ৩শ’ বস্তা সামান্য লাভে বিক্রি করলেও ২শ’ বস্তা হিমাগার থেকে না তুলে ছেড়ে দিই। কারণ শেষের দিকে প্রতি বস্তা আলুর দাম উঠে ২শ’ টাকা। অথচ হিমাগার ভাড়া ৩শ’ ৬০ টাকা।
×