ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বোল্ট তোপে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৭ মার্চ ২০১৮

বোল্ট তোপে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৩ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করা ইংলিশদের ইনিংস হার এড়াতে প্রয়োজন ছিল আরও ২৩৭। না সেটি পারল না জো রুটের দল। ট্রেন্ট বোল্ট ও সতীর্থদের বিধ্বংসী পেস তান্ডবের মুখে অলআউট ৩২০ রানে। ইনিংস ও ৪৯ রানের জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। স্কোরÑ ইংল্যান্ড ৫৮/১০ ও ৩২০/১০, নিউজিল্যান্ড ৪২৭/৮ (ডিক্লেঃ)। প্রথম ইনিংসে ৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টিসহ মোট ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বোল্ট। ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার শুরু সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানকে (২৩) শুরুতেই ফিরিয়ে দেন টিম সাউদি। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে জমে উঠছিল বেন স্টোকসের জুটি। দু-জনে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। সম্ভাবনাময় জুটি শেষ হয় বেয়ারস্টোর বাজে শটে। লেগ স্পিনার এ্যাস্টলকে পুল করে উড়াতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন বেয়ারস্টো (২৬)। দ্রুত রান তোলা মঈন আলিকে (২৮) রিভিউ নিয়ে ফেরায় নিউজিল্যান্ড। বোল্টের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপরই নিজেদের সেরা জুটি পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। এই পর্যায়ে স্টোকসের সঙ্গে ক্রিস ওকসের ৮৩ রানের জুটিতে জেগে উঠেছিল অতিথিদের ম্যাচ বাঁচানোর আশা। তবে বোল্টের লম্বা স্পেলের পর বোলিংয়ে ফিরে সেই আশা গুঁড়িয়ে দেন ওয়াগনার। দ্রুতগতির এই পেসার পান টড অ্যাস্টলের যোগ্য সঙ্গ। লম্বা সময় ধরে টিকে থাকা বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙেন ওয়াগনার। ১৮৮ বলে ৬ চারে ৬৬ রান করে ফেরেন অনেক বিতর্কের পর এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট দলে ফেরা তারকা অলরাউন্ডার। এর পর বেশিদূর এগোয়নি ইংল্যান্ডের ইনিংস। জয়ের জন্য শেষ সেশনে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল প্রতিপক্ষের শেষ তিনটি উইকেট। এ্যাস্টল ও ওয়াগনার মিলে দ্রুত তুলে নেন সেই ৩ উইকেট। ৮ চারে ৫২ রান ওকসকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন ওয়াগনার। এ্যাস্টলের শিকার ক্রেইগ ওভারটন ও জেমস এ্যান্ডারসন। ৩২০ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ॥ ৫৮/১০ (২০.৪ ওভার; কুক ৫, স্টোনম্যান ১১, রুট ০, মালান ২, স্টোকস ০, বেয়ারস্টো ০, মঈন ০, ওকস ৫, ওভারটন ৩৩*, ব্রড ০, এ্যান্ডারসন ১; বোল্ট ৬/৩২, সাউদি ৪/২৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৩২/৩ (৪৬.৫ ওভার; কুক ২, স্টোনম্যান ৫৫, রুট ৫১, মালান ১৯*; বোল্ট ২/২৪, সাউদি ০/৪০, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৩১, ওয়াগনার ১/৩২) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৩২০ (১২৬.১ ওভার; কুক ২, স্টোনম্যান ৫৫, রুট ৫১, মালান ২৩, স্টোকস ৬৬, বেয়ারস্টো ২৬, মইন ২৮, ওকস ৫২, ওভারটন ৩, ব্রড ১*, অ্যান্ডারসন ১; বোল্ট ৩/৬৭, সাউদি ১/৮৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৪০, ওয়েগনার ৩/৭৭, এ্যাস্টল ৩/৩৯, উইলিয়ামসন ০/১)। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ॥ ৪২৭/৮ ডিক্লেঃ (১৪১ ওভার; রাভাল ৩, লাথাম ২৬, উইলিয়ামসন ১০২, টেইলর ২০, নিকোলস ১৪৫*, ওয়াটলিং ৩১, ডি গ্র্যান্ডহোম ২৯, অ্যাস্টল ১৮, সাউদি ২৫, ওয়াগনার ৯*,; অ্যান্ডারসন ৩/৮৭, ব্রড ৩/৭৮, ওভারটন ১/৭০, ওকস ০/১০৭, মইন ০/৫৯, রুট ১/১৩)। ফল ॥ নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৪৯ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)। সিরিজ ॥ দুই টেস্টের সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০ তে এগিয়ে।
×