অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। এই অসীম ত্যাগ আর তিতিক্ষার কতটাই বা জানে আজকের নতুন প্রজন্ম। স্বাধীনতার সেই বার্তা তরুণদের কাছে পৌঁছে দিতে গত ৪ বছর ধরে হেঁটে কাজ করছেন বর্তমান প্রজন্মের একদল অভিযাত্রী, যার নেতৃত্বে রয়েছেন এক মহীয়সী, বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল, সেই মেহেরপুর জেলা শহরের স্মৃতিসৌধ থেকে মহান স্বাধীনতার শপথভূমি মুজিবনগর পর্যন্ত ১৭ কিঃ মিঃ পথ অদম্য পদযাত্রা করল দলটি।
সকালে লাল সূর্যের উঁকিঝুঁকি। এরই মধ্যে মেহেরপুর শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীতের সুর। এরপরই মেহেরপুর-মুজিবনগর যাত্রা শুরু করে একদল তরুণ-তরুণী। তাদের হাতে হাতে লাল সবুজ পতাকা। আর চোখে মুখে তারুণ্যের আভা। তাদের সঙ্গে মাঝে অবস্থান করে নেন কয়েকজন প্রবীণও। তারা মেতে উঠছেন মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে। এভাবেই ছুটে চলে ওই অভিযাত্রী দল। লাল সূর্যের মাঝে ও বাতাসে পত্ পত্ করে উড়ছে দেশের জাতীয় পতাকা। সকাল থেকে প্রায় ১৭ কিঃমিঃ পদযাত্রা শেষে দুপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পৌঁছায় দলটি। স্বাধীনতার শপথভূমিতে সোনার বাংলা গড়ার শপথ।
মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিশান সাবের ও সমন্বয়কারী মাহবুব চান্দু জানান, মায়ের হাত ধরে অভিযাত্রীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ছোট্ট শিশুও। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতেই এ দলে অংশ নিয়েছেন তারা। আর অভিযাত্রার মধ্য দিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বললেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এর মাধ্যমে নিজে ও তরুণরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ইতিহাস তরুণদের কাছে তুলে ধরতে এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন বলে জানালেন সমন্বয়কারীরা।
অভিযাত্রী দলের প্রধান নিশাত মজুমদার জানান, যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই চেতনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তাদের এই পদযাত্রা। মেহেরপুর থেকে স্বাধীনতার প্রথম লাল সূর্য উদিত হয়েছিল বলে এখান থেকেই তারা এ পদযাত্রা ছড়িয়ে দিতে চান সারা দেশে...।
সংবাদদাতা, মেহেরপুর থেকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: