ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাসের সন্ধানে শহীদ মিনার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৭ মার্চ ২০১৮

ইতিহাসের সন্ধানে শহীদ মিনার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে বাংলাদেশের নদীপথ। তখন গেরিলা যোদ্ধারা নৌকায় করে বহু পথ পাড়ি দিয়েছেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রণাঙ্গনে। শত্রুর মোকাবেলা করেছেন অংশ নিয়েছেন একের পর এক অপারেশনে। বধ করেছেন পাক সেনাসহ দেশীয় দোসরদের। সেসব যুদ্ধ দিনের স্মৃতি খুঁজে নিতে ‘দিয়াবাড়ি ঘাট’ থেকে নৌকায় চড়েন নতুন প্রজন্মের যোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় নানা ঘটনা বলতে বলতে ফুরিয়ে যায় তুরাগ নদের পথ। এরপর সাদুল্যাপুরের শতবর্ষী বটমূল প্রাঙ্গণ। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই বটবৃক্ষ। সেখান থেকে আকরাইন উচ্চ বিদ্যালয় আর গ্রামের মেঠো পথ... ধরে জাতীয় স্মৃতি সৌধ। পথে পথে মুক্তি সংগ্রামের জাগরনী গান, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের স্মৃতিবিজড়িত বদ্ধভূমি- স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানো, দেশ গড়ার শপথ গ্রহণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় স্বাধীনতা দিবসে তারুণের ব্যতিক্রমী আয়োজন। বলছি ‘অভিযাত্রী’ ক্লাবের পদযাত্রার গল্প। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্মরণে স্বাধীনতা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ‘শোক থেকে শক্তি’র মন্ত্রে উদ্দীপ্ত একদল অভিযাত্রীর অদম্য পদযাত্রার আয়োজন করে। সোমবার পায়ে হেঁটে পাড়ি দেন তারা ৩৮ কিলোমিটার পথ। পুরো পথ জুড়েই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের মিলনমেলা। এতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ অংশ নেন। ভাষা আন্দোলন থেকে যুদ্ধদিনের স্মৃতি স্মরণ, স্মৃতি বিজড়িত স্থান আর ইতিহাস সন্ধানের চেষ্টা চলে আয়োজনের মধ্য দিয়ে। পর্বতারোহীদের সংগঠন ‘অভিযাত্রী’ ২০১৩ সাল থেকে এই পদযাত্রার আয়োজন করে আসছে। ২০১৬ সালের সঙ্গে যুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। গতবার থেকে কর্মসূচীর অর্জিত অনুদান যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিলে। অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে ব্যক্তিক্রমী এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। শহীদ মিনার থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত দীর্ঘ এই পদযাত্রার পুরোটা পথ না হেঁটে প্রতীকীভাবে এক মাইল হেঁটে এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহায়তায় সাধ্য অনুযায়ী অনুদান দিতে পারে যে কেউ। সত্যিই আয়োজনে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল সব বয়সের মানুষের মধ্যে। তুরাগ নদ পেরিয়ে সাভারের মেঠো পথের গ্রাম ধরে যেতে ‘কলমা গ্রাম’। পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালীর সম্মুখ যুদ্ধের স্মৃতি ধারণ করে আছে এই গ্রামটি। এ গ্রামেই শহীদ হন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা টিটো। অভিযাত্রী দলের পদযাত্রা এ গ্রামেও থমকে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন যোগ দেন গ্রামবাসীও। শোনান সেদিনের যুদ্ধের গল্প। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিভৎসতা। তা-বের কাহিনী। আবার মুক্তিসেনাদের বীরত্ব গাঁথা ইতিহাসের কথাও ওঠে আসে গল্পে। আয়োজন সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলী জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে একদল অভিযাত্রী ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। বিশ্ব বিবেক জাগরণ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন তারা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে পরিচালিত হওয়া অভিযাত্রাটি আজ ইতিহাসের অংশ। চেতনার জায়গা থেকে দেখলে আজকের অদম্য পদযাত্রা একই অর্থবহন করে। উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আজকের তরুণরা আরও ভালভাবে মুক্তিযুদ্ধকে জানার সুযোগ পাচ্ছে। প্রতীকীভাবে এক মাইল হেঁটে এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহায়তায় সাধ্য অনুযায়ী অনুদান প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যে কেউ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য সহযোগিতা করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ভোর ৬টায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পদযাত্রার শুরু“হয়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে সেখানে ভারতেশ্বরী হোমস স্কুল, মানিকনগর মডেল হাইস্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টুরিস্ট সোসাইটি, বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং এ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, হিমু পরিবহন, ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ-এর সদস্যরা প্রতিষ্ঠানিকভাবে মিলিত হন এই যাত্রায়। ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’, ‘এ মাটি নয় জঙ্গীবাদের’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’- গান গাইতে গাইতে পদযাত্রা এগোয় জগন্নাথ হল বধ্যভূমির দিকে। এরপর ২৫ মার্চ কাল রাতের ভয়াল স্মৃতি বিজড়িত এই বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভিসি চত্বরের স্মৃতি চিরন্তনের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত হয়ে কাঁটাবন, সায়েন্স ল্যাব, পিলখানা, জিগাতলা হয়ে তাজউদ্দিন আহমেদ-এর স্মৃতিধন্য তদানীন্তন বাসভবনের সামনে হাঁটেন অংশগ্রহণকারীরা। সেখানে তাদের সঙ্গে মিলিত হন বীর উত্তম কমল সিদ্দিকী। ছায়ানট, তক্ষশীলা বিদ্যালয় ও ব্রতচারী বিদ্যালয়ও যোগ দেয়। মুক্তিযুদ্ধের আট নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা কমাল সিদ্দিকী শোনান তার যুদ্ধ দিনের স্মৃতি। মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের বাংলার প্রতি ভালবাসা আর অনমনীয় মনোভাবের কথা বলেন তিনি। তাজউদ্দীন আহমেদের অনেক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ফাইল সংরক্ষিত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন এই মুক্তিযোদ্ধা। আট নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার কমল সিদ্দিকী ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জের পশ্চিমভাগে ও পরে মাগুরার দক্ষিণভাগে যুদ্ধ করেছেন। ১৫ ডিসেম্বর ভাটিয়াপাড়ায় সম্মুখ সমরে পাকিস্তানী বাহিনীর শেলে তিনি মাথায় আঘাত পান। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের ক্ষেত্র থেকে বড় আমার মনের ক্ষত। আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধের এত অবমূল্যায়ন হয়েছে, যে বলতে হয়, আর কোন কিছুর এত অবমূল্যায়ন হয়নি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, কতিপয় রাজাকার-আলবদর- আলশামস ছাড়া প্রতিটি মুক্তিকামী বাঙালীর সহযোগিতা প্রতি মুহূর্তে প্রয়োজন ছিল। তাদের সহযোগিতা ছাড়া একাত্তরে ষোলই ডিসেম্বর দেখা হত না কোনদিন। তাদের সেই অবদানের স্বীকৃতি কোথায় ?’ পরে পদযাত্রীদল পৌঁছায় মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে। সেখানে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের পক্ষে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা নূর। বাবার হারিয়ে যাওয়ার দিনটি স্মরণ করে তিনি পাকিস্তানের দোসর আলবদর, আলশামস বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনক্সা তৈরির কথা তরুণদের শোনান। শারীরিক শিক্ষা কলেজের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে কীভাবে স্বাধীনতার পক্ষের ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হত, সে কথাও বলেন। এই কলেজেই ধরে আনা হয়েছিল কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা রণদাপ্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানীপ্রসাদ সাহাকে। তাদের কথা স্মরণ করেন ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক এনা সুলতানা। অভিযাত্রীদল রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে পৌঁছায় সকাল ১০টা নাগাদ। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর সন্তান আসিফ মুনীর। রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে এসে সোহান, দিদার, অনন্যা, রায়হানসহ অন্য সব শিক্ষার্থীরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত স্থানগুলো ঘুরে এসেছি এই পদযাত্রায়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালীর অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কিছুটা অনুভব করতে পারছি। কিন্তু তাদের যে ত্যাগ, তিতিক্ষা এটা কখনও ভুলব না। তাদের জন্যই তো আজ আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। অংশগ্রহণকারীরা জানান, শহীদ মিনার থেকে স্মৃতিসৌধ, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ধারাক্রম যেন উঠে আসছে চোখের সামনে। হাঁটতে হাঁটতে মনে হচ্ছে, যেন ইতিহাসের নানা অধ্যায় পেরিয়ে চলেছি। পরে সেখানে পুষ্পিত ভালবাসা অর্পণ করে মোহাম্মদপুর হয়ে মিরপুর মাজার রোডে পৌঁছায় অভিযাত্রী দল। ইউসেপ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীতের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অভিযাত্রী দল যায় দিয়াবাড়ি ঘাট। বেলা একটার দিকে ১৫ কিলোটিমার পথ পাড়ি দিয়ে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পদযাত্রা আসার পর বিপুলসংখ্যক মানুষ এতে যোগ দেয়। স্থানীয় প্রবীণ লোকজন ’৭১ সালে এই এলাকার পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরতার কথা তুলে ধরেন নতুন প্রজন্মের কাছে। সেখান থেকে নৌকায় তুরাগ নদ অতিক্রম করে দুপুর নাগাদ তারা পৌঁছান সাদুল্ল্যাপুরের শতবর্ষী বটমূলে। সেখানে সহস্র্র লাল গোলাপের সারি আর বেগুনবাড়ি স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকের মিলিত ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পদযাত্রা আকরাইনে পৌঁছায় দুপুর ২টার পর। আকরাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা সেখানে পদযাত্রায় যোগ দেয়। দুপুরে কিছুটা সময় বিরতির পর অভিযাত্রী দল ছুটে যায় কলমা গ্রামে। পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালীর সম্মুখ যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন কলমা গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর পদযাত্রীদল চলতে থাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে ডেইরি ফার্ম গেটে শহীদ টিটোর সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পদযাত্রা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, হিমু পরিবহন সাভার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অভিযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে দলটি যায় ক্যাম্পাসের অপর প্রান্তের স্কুল গেটে। ওই পথে গোকুলনগর গ্রামের পথ ধরে চলতে চলতে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সেখানে শপথ গ্রহণসহ বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। আয়োজকরা জানান, এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে মেহেরপুর জেলায় অদম্য পদযাত্রার আয়োজন করেছেন তারা। সকালে মেহেরপুরের গণকবরে (স্মৃতিসৌধ) শ্রদ্ধা জানিয়ে পদযাত্রা শুরু হয়। মুজিবনগর সড়ক ধরে প্রায় পনের কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পদযাত্রীদল পৌঁছায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে। মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমি, অরণী থিয়েটার, আমঝুপি মিলেনিয়াম, হিমু পরিবহন কুষ্টিয়া এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ নেয়। রোটারি ক্লাব অব কুষ্টিয়া যোগ দেয় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে। অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করা সবার হাতে জাতীয় পতাকা। সাদা টি-শার্টে স্মৃতিসৌধ অঙ্কিত। সবার হাতে হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। রোদ সামাল দিতে হাতে ছিল পানির বোতল আর পিঠে ঝোলানো বেগে ছিল খেজুর। ক্লান্তিতে শক্তি যোগান দেয়ার জন্য খেজুর ছিল সবার কাছেই। অভিযাত্রায় অংশগ্রহণ করা ইউসুফ বলেন, ১৯৭১ সালে ৩৮ জন বাঙালী তরুণ কলকাতাসহ ভারতবর্ষে পদযাত্রায় বের হন। মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বর্বরতার কথা জানান। আমরা সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আজকে আমরা পথে পথে সেই ইতিহাস স্মরণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও জানছি। এবং এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যেন আমরা এগিয়ে যেতে পারি।
×