ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

মাথা নত করে নয়, বাঙালী জাতি মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলবে

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৭ মার্চ ২০১৮

মাথা নত করে নয়, বাঙালী জাতি মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজার হাজার শিশু-কিশোরের সামনে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীর বীরত্বের ইতিহাস তুলে ধরে বলেছেন, কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথা নত করে নয়, বাঙালী জাতি মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলবে, কারণ এ জাতি মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আর বিজয়ী জাতি হিসেবে আমি আমাদের ছোট্ট সোনামণিদের বলব, সব সময় নিজেদের সেইভাবে চিন্তা করবে যে তোমরা বিজয়ী জাতির উত্তরসূরি। তোমরাই এ দেশকে গড়ে তুলবে, এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব তখন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত। ২০২০ সালে আমরা আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করব, আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত- সমৃদ্ধ দেশ। আর সেই দেশ আমরা ইনশাল্লাহ গড়ে তুলব। শিশু-কিশোরদের দেশের প্রতি গভীর ভালবাসা ও মমত্ববোধ নিয়ে বেড়ে উঠে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় নিজেদের বিজয়ী জাতি হিসেবে চিন্তা করে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে চলবে। এই দেশকে গভীরভাবে ভালবাসবে। আগামী দিনে এই দেশকে তোমরা গড়ে তুলবে। আমরা যেখানে রেখে যাব সেখান থেকে তোমরাই দেশকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ তিনি শিশু-কিশোরদের লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করার এবং শিক্ষকদের কথা মেনে চলারও আহ্বান জানান। তিনি শিশু-কিশোর সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আদর, দোয়া এবং আশীর্বাদ জানিয়ে সকলের সুস্থ ও সুন্দর জীবন প্রত্যাশা করেন এবং দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অভিভাবক, শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম আছেন তারা সবসময় একটা বিষয় রক্ষ্য রাখবেন- আপনাদের সন্তানরা কোনভাবেই যেন সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং মাদকাসক্তিতে আসক্ত না হয়। তারা যেন মন দিয়ে লেখাপড়া শেখে। মানুষের মতো মানুষ হয়। এই প্রচেষ্টা প্রত্যেকটি অভিভাবক-পিতা-মাতাকেই করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্র্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। আজকের শিশু তোমরা, যারা এখানে উপস্থিত এবং যারা সারাদেশে রয়েছে- সবাইকে আমি এটাই বলব, আজকের শিশুইতো আগামীর দিনের ভবিষ্যত। সরকার প্রধান বলেন, তার মতো প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড়-বড় বিজ্ঞানী, খেলোয়াড়, সংস্কৃতিকর্মী- অনেক কিছুই এই শিশুরা হতে পারবে। আজকের শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যত যাতে সুন্দর হয় ও উজ্জ্বল হয় সেই কামনা করে তিনি বলেন, এটা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারও অন্যতম লক্ষ্য ছিল। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, এখন আমাদের লক্ষ্য এই বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে নিয়ে আসা। ইতোমধ্যে আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল, যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন- বাংলাদেশের সকল মানুষ উন্নত জীবন পাবে। সুন্দর জীবন পাবে এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় হাতে পেয়েছিলেন দেশ পরিচালনার। এই সময়ের মধ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়ে যান। কিন্তু আমাদের দুঃখের বিষয় জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি এবং ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে অবস্থান করায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যাই এবং ৬ বছর রিফিউজি হিসেবে বিদেশে কাটাতে হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাকে (শেখ হাসিনা) ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত করায় তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার লক্ষ্যই হচ্ছে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে নিয়ে আসা। ইতোমধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। আর বিজয়ী জাতি হিসেবে আমি আমাদের ছোট্ট সোনামনিদের বলব, সব সময় নিজেদের সেইভাবে চিন্তা করবে যে তোমরা বিজয়ী জাতির উত্তরসূরি। তোমরাই এ দেশকে গড়ে তুলবে, এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এ দেশের আগামী দিনের কা-ারীদের লেখাপড়া শিখে ‘মানুষের মতো মানুষ’ হতে, বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে, শিক্ষকদের কথা মেনে চলতে বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আসার পর বাংলাদেশের জনগণের দুঃখ-দুর্দশা ঘোচানো আর আমাদের ছোট্ট ছোট্ট শিশু-কিশোরদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলাই ছিল তার লক্ষ্য। যে লক্ষ্য বাস্তবায়নেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দেই। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। এ সময় শিশুদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ২ কোটি ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান, প্রাইমারি পর্যায়ে ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা মায়েদের মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেয়া, সারাদেশে নতুন-নতুন স্কুল কলেজ স্থাপন এবং পুরনোগুলোর সংস্কার ও আধুনিকায়ন, কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম স্থাপনসহ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় গ্যালারিতে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে শুদ্ধসুরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যেও পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আন্তঃশ্রেণী প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ। ৩ ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১১০ শিক্ষার্থীর মাঝে প্রধানমন্ত্রী দলগতভাবে স্বর্ণ, রোপ্য এবং ব্রোঞ্জপদক প্রদান করেন। প্রথম স্থান অর্জনকারী দলের প্রত্যেক সদস্যকে একটি করে স্বর্ণপদক, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলের প্রত্যেক সদস্যকে একটি করে রৌপ্যপদক এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলের প্রত্যেককে ব্রোঞ্জপদক দেয়া হয় অনুষ্ঠানে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম হয় ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজ, দ্বিতীয় হয় খুলনা বিভাগের সরকারী করনেশন বালিকা বিদ্যালয় এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় হয় চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান সদরের মেঘলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলা স্কুল। মাধ্যমিকে প্রথম হয় ময়মনসিংহ জেলা স্কুল, দ্বিতীয় হয় সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের সরকারী এস সি সরকারী বালিকা বিদ্যালয় এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় হয় রাজশাহী বিভাগ থেকে পাবনার স্কোয়ার স্কুল ও কলেজ ও ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে ময়মনসিংহের শহীদ নজরুল ইসলাম কলেজ, দ্বিতীয় হয়েছে চট্টগ্রামের কাপাসগোলা সিটি মহিলা কলেজ এবং তৃতীয় হয়েছে ঢাকা বিভাগের বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজ। পরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লে দেখেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে শিশু-কিশোর সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এরপরই সমবেত কণ্ঠে শুদ্ধসুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকবৃন্দ, সরকারের পদস্থ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে অন্য বছরের মতো এবারও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন, প্রটোকল অফিসার খুরশিদ-উল-আলম ও এ্যাসাইনমেন্ট অফিসার গাজী হাফিজুর রহমান সকালে উপহার সামগ্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করেন। মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো প্রত্যেক জাতীয় দিবস ও উৎসবে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা, মোহাম্মদপুরে ১৩ তলার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১সহ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনে নেয়া ব্যাপক পদক্ষেপের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার কারণেই তারা এই সম্মান পাচ্ছেন। তারা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেন।
×