ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ল্যাবে তৈরি মাংস

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২৭ মার্চ ২০১৮

ল্যাবে তৈরি মাংস

বিতর্কিত বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্সের মতে, স্বজাতির মাংস ভক্ষণের বিরুদ্ধে যে ট্যাবু রয়েছে তা ভাঙতে সাহায্য করতে পারে গবেষণাগারে তৈরি মাংস। তিনি আশাবাদী যে, পৃথিবীর কোন প্রাণী হত্যা ব্যতীত স্টেম সেল বা আদি কোষ ব্যবহার করে মাংস তৈরি করা সম্ভব। যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। ব্রিটিশ এই জীববিজ্ঞানী বলেন, ‘তৈরিকৃত মানুষের মাংস খাওয়া স্বৈরশাসননীতি বনাম আত্মগরিমাপূর্ণ নৈতিকতার জন্য একটি আকর্ষণীয় পরীক্ষা ক্ষেত্র হতে পারে।’ বর্তমান সময়ে আলোচিত কৃত্রিম মাংসের উৎপাদন নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ অধ্যাপক বলেন, ‘কৃত্রিম মাংসের বার্গার অর্থাৎ সিন্থেটিক বার্গার আমাদের চিন্তার চেয়েও দ্রুত বিক্রয় সম্ভব। এই বার্গার এবং অন্যান্য কৃত্রিম অর্থাৎ পরিচ্ছন্ন মাংস গবেষণাগারে তৈরি করা যায় জীবিত প্রাণীর পেশি টিস্যু থেকে স্টেম কোষ ব্যবহার করে। এ কোষটির চিনি ও খনিজের মিশ্রণে পুনোৎপাদনের ক্ষমতা আছে। তাই এই কোষ কঙ্কাল পেশির মধ্যে বায়োরিএ্যাক্টর ট্যাংকের ভিতরে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করা যেতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক কৃত্রিম মাংস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জাস্টের প্রধান নির্বাহী জোশ টেট্রিকের মতে, ২০১৮ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার বাজারে গবেষণাগারে তৈরি সসেস, চিকেট নাগেট এবং ফো গ্রেস বাজারজাত করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানী ডকিন্সের বক্তব্য, অন্যান্য প্রাণীর কৃত্রিম মাংসের পাশাপাশি গবেষণাগারে মানুষের মাংস উৎপাদন করা হলে তা বহু পুরনো ট্যাবু ভাঙতে ভূমিকা রাখবে। তবে ডকিন্সের এই ধারণাটির সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করেননি। অনেকে মন্তব্য করেন, ট্যাবু সাধারণত সেসব জিনিসকে বিবেচনা করা হয় যা নৈতিক এবং নৈতিকতার কারণগুলোর জন্য আমরা ভাঙতে রাজি না। -ডেইলি মেইল
×