ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা দিবসে শহরজুড়ে সংস্কৃতির বিজয় নিশান

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২৭ মার্চ ২০১৮

স্বাধীনতা দিবসে শহরজুড়ে সংস্কৃতির বিজয় নিশান

মনোয়ার হোসেন ॥ দিগন্তজুড়ে ভেসে বেড়ায় গানের সুর। কবিতার শিল্পীত উচ্চারণে ব্যক্ত হয় দেশমাতৃকার বন্দনা। নৃত্যের মুদ্রায় মুদ্রায় প্রকাশিত হয় স্বাধীন বাংলার গৌরবগাথা। পূর্বপুরুষের আত্মত্যাগের প্রতি জানানো হয় শ্রদ্ধা-ভালবাসা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজারও মানুষকে উদ্দীপ্ত করে শেকড়সংলগ্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বিজয় নিশান উড়ছে শীর্ষক অনুষ্ঠানটি শ্রোতা-দর্শকের মাঝে ছড়ায় উদ্দীপনা। শিল্পের আলোয় জেগে ওঠে দেশাত্মবোধ। এভাবেই সোমবার সংস্কৃতির বহুমুখিতায় উদ্যাপিত হয়েছে সাতচল্লিশতম স্বাধীনতা দিবস। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনটি বিকেল থেকে রাত অবধি শহরে ছড়িয়েছে প্রাণের প্রবাহ। একইভাবেই স্বাধীনতা দিবসের নানা আয়োজনে মুখরিত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। সংস্কৃতির বিজয় নিশান ছড়িয়েছে নগরের নানা প্রান্তে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে নৃত্য-গীত কবিতায় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সুরের আশ্রয়ে বসন্ত সন্ধ্যায় স্বাধীনতার বন্দনা করেছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্বাধীনতা উৎসবে উপস্থাপিত হয়েছে শিশু-কিশোর পরিবেশনা, যাত্রাপালার মঞ্চায়নসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজয় নিশান উড়ছে ওই ॥ স্বাধীনতা দিবসের বিকেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদানে শুরু হয় বিজয় নিশান উড়ছে ওই শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত অবধি চলা এ আয়োজনে বিশাল প্রান্তরে বয়ে যায় প্রাণের উচ্ছ্বাস। একক ও সম্মেলক গানের সঙ্গে ছিল কবিতার আবৃত্তি। পরিবেশিত হয় তারুণ্যের জোয়ার তোলা ব্যান্ডসঙ্গীত। নাচের ভাষায় মেলে ধরা হয় বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত বাঙালী জাতিসত্তার ক্রমবিকাশের ধারা। আয়োজনের সূচনায় সম্মেলক সঙ্গীত নিয়ে মঞ্চে আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিল্পীরা। প্রথমেই গাওয়া হয় বাঙালীর প্রাণের গান ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি ...’। এরপর রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় ‘সংকোচের বিহ্বলতায় নিজেরই অপমান/সঙ্কটের কল্পনায় হয়ো না ম্রিয়মাণ ...’। এরপর অধিকারের লড়াইয়ের প্রত্যয়ে গীত হয় ‘যায় যদি যাক প্রাণ/তবু দেবো না গোলার ধান ...’। নজরুলের শক্তিসঞ্চারী সুরে শিল্পীরা গেয়ে ওঠে ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার হে/লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার’। এরপর স্বদেশের কথা বলা সৈয়দ শামসুল হকের কবিতাকে কণ্ঠে তুলে নেন বাচিকশিল্পী মাহিদুল ইসলাম। ভরাট কণ্ঠে পাঠ করেন ‘আমার পরিচয়’। কবিতার পর নাচ নিয়ে মঞ্চে আসে নৃত্যদল স্পন্দন। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির প্রকাশে বর্ণিত হয় বায়ান্ন থেকে একাত্তরের বীরত্বগাথা থেকে শুরু হাজার বছরের বাঙালীর সমৃদ্ধ জীবনকথা। নাচের সঙ্গে ভেসে বেড়ায় ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’, ‘মাঝি বাইওয়া যাও রে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, ‘জনতার সংগ্রাম চলছে চলবেই’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’সহ একাধিক গানের সুর। অনেকের মতোই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকের এ আয়োজনটি আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিবেদন করেছি। বাংলাদেশ সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছে। স্বাধীনতার বিজয়ের সোপান বেয়ে এসেছে আরেকটি বিজয়। এ বিজয়কে আমরা ধরে রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধু এনেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনেছেন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। বিকেল গড়ানো সন্ধ্যায় গান শোনান গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর। একইসঙ্গে ব্যথাতুর ও তেজোদ্দীপ্ত কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘এই সূর্যের উদয়ের পথ শহীদের খুনে লাল’ ও ‘মুজিব আমার স্বপ্ন সাহস’ শিরোনামের দুটি গান। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের আরেক কণ্ঠযোদ্ধা তিমির নন্দী গেয়েছেন ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’ ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’ শীর্ষক সঙ্গীত। ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’ গেয়ে শ্রোতাকে আনন্দে ভাসিয়েছেন দিতি সরকার। সংগ্রামী সুরের আশ্রয়ে রথীন্দ্রনাথ রায় গেয়েছেন ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে’। লোকসঙ্গীত শিল্পী চন্দনা মজুমদার শুনিয়েছেন ‘একবার ভেবে দেখ মনপাখি/জন্মভূমির মায়ের কাছে দেনা আছে নাকি’সহ ফকির লালন সাঁইয়ের গান। পারভেজ গেয়েছেন ‘মাগো ভাবনা কেনো’সহ বেশ কিছু গান। এছাড়া একক কণ্ঠে শুনিয়েছেন আবু বকর সিদ্দিক। সুরে সুরে শ্রোতার হৃদয়ে আলোড়ন তুলেছেন লোকগানে বাংলার অহংকার মমতাজ। কবিতা পাঠ করেছেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ। তারুণ্যে ভরপুর আয়োজনে শ্রোতার হৃদয় রাঙিয়েছে ব্যান্ডদল চিরকুটের পরিবেশনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচী। সাংস্কৃতিক জোটের স্বাধীনতা উৎসব ॥ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ প্রতিপাদ্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত তিন দিনের স্বাধীনতা উৎসব শেষ হলো সোমবার। সমাপনী দিনে গান-কবিতায় মুখরিত হয়েছেন উৎসবের দুই আঙিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মঞ্চে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে আনন্দন, ভিন্নধারা, দৃষ্টি ও খেলাঘর। একক কণ্ঠে গান শোনান কানন বালা সরকার, আকরামুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী ও অলক দাস গুপ্ত। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরচিত্র, স্বরকল্পন ও চারুকণ্ঠ। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাসান আরিফ ও গোলাম সারোয়ার। শিশু সংগঠন পরিবেশনায় ছিল মৈত্রী শিশুদল। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বহ্নিশিখা ও নৃত্যম। পথনাটক পরিবেশন করে আরণ্যক নাট্যদল। রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমি ও সঙ্গীত ভবন। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন আঞ্জুমান ফেরদৌসী কাকলী, প্রলয় সাহা, বুলবুল মহলানবীশ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী ও মারুফ হোসেন। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বনন টিএসসি, ঢাকা স্বরকল্পন ও স্রোত। শিশু সংগঠন পরিবেশনায় ছিল মন্দিরা সাংস্কৃতিক পাঠশালা। ছায়ানটের স্বাধীনতা দিবস ॥ সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। ছিল নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশুদের পরিবেশনা। কচি কণ্ঠগুলো এক সুরে গেয়েছে ‘এই তো আজ মোরা মিলেছি সব’ ও ‘আমরা মিলেছি’ আজকে দু’টি দলীয় সঙ্গীত। ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনের শিশু শিল্পীরা পরিবেশন করেছে ‘লাখো লাখো শহীদের রক্ত মাখা’ ও ‘তিরিশ লক্ষ জীবন দিয়া আনছি স্বাধীনতা’ শিরোনামের সঙ্গীত। প্রদর্শিত হয়েছে বীরাঙ্গনাদের আত্মকথনে সেন্টু রায় নির্মিত তথ্যচিত্র ‘কোথায় তোমার আলোকধেনু’। জাতীয় সঙ্গীতের সুরে শেষ হয় এ অনুষ্ঠান। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সেগুন বাগিচার শিল্পকলা একাডেমিতে দুইটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্মৃতিসৌধের আয়োজনে ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’ ও ‘চলো এগিয়ে যাই’ গানের সঙ্গে পরিবেশিত হয় নাচ। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ ও ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস, আলম দেওয়ান, আবিদা রহমান সেতু, স্বরণ ও আশরাফ উদাস। সন্ধ্যায় একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান। এতে ‘চলো বাংলাদেশ’ ও ‘মুজিব মানে আর কিছু না’ গানের সুরে নাচ করে একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা। অন্তর দেওয়ানের পরিচালনায় চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরার শিল্পী নৃত্যের ছন্দে নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরেন। কবি আসাদ চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম কাকলী, আহাকাম্ উল্লাহ ও ঝর্ণা সরকার। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্বাধীনতা উৎসব ॥ বাইশতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী উৎসব আয়োজন করেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। সোমবার ছিল এ উৎসবের পঞ্চম দিন। সকালের আয়োজনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। শিশু-কিশোর আনন্দানুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নৃত্যজন, কল্পরেখা, ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্কুল (মোহাম্মদপুর), দনিয়া সবুজকুঁড়ি কচিকাঁচার মেলা, আলফ্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ ও বধ্যভূমির সন্তানদল। সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের জাদুঘর মিলনায়তনে যাত্রাপালা ‘আনারকলি’ পরিবেশন করে মানিকগঞ্জের লোকনাট্য গোষ্ঠী। মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ প্রাঙ্গণে বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন জল্লাদখানায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে চারুলতা একাডেমি, ঢাকা সিটি স্কুল, উদীচী (মিরপুর শাখা), কল্পরেখা, স্বপ্নবীণা শিল্পকলা বিদ্যালয়, উইলস্ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মিথস্ক্রিয়া আবৃত্তি পরিষদ, যুববান্ধব কেন্দ্র (বাপসা), বধ্যভূমির সন্তানদল ও বর্ণালী থিয়েটার। জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কবিতা ॥ দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সচল ছিল কবির কলম। সেই সুবাদে রচিত হয়েছে অনেক কালজয়ী কবিতা। স্বাধীনতা দিবসে সেই প্রেরণাদীপ্ত কবিতাগুলো উচ্চারিত হলো জাতীয় জাদুঘরের। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার কবিতা আবৃত্তি শীর্ষক অনুষ্ঠান। কবিতাপাঠ করেছেন নবীন ও প্রবীণ বাচিকশিল্পীরা। উচ্চারিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্্দীন, সুকান্ত ভট্টাচার্য, শামসুর রাহমান, সিকান্দার আবু জাফর, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, রফিক আজাদ, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ জনপ্রিয় কবিদের কবিতা। বরেণ্য কবিদের কবিতাগুলো আবৃত্তি করেছেন কাজী মদিনা, ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, কেয়া চৌধুরী, বদরুল আহসান খান, বুলবুল মহলানবীশ, গোলাম সারোয়ার, রূপা চক্রবর্তী, ডালিয়া আহমেদ, মীর বরকত, রফিকুল ইসলাম, জয়ন্ত রায়, শাহাদাৎ হোসেন নিপু, মাহিদুল ইসলাম, ইকবাল খোরশেদ, আফরোজা পারভীন, ঝর্ণা সরকার, অনিমেষ কর, নাইলা কাকলী, আহকাম উল্লাহ্, রেজিনা ওয়ালি লীনা, মাসুদুজ্জামান, শামীম আহসান, শিরিনা বিথী ও শামীমা আক্তার লুসি। কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার আয়োজন ॥ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা এদিন বিকেলে কচি-কাঁচা মিলনায়তনে আয়োজন করে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এতে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা শোনান ওয়ার ক্রাইমস্্ ফ্যাক্টস ফাউন্ডিং কমিটির সভাপতি ডাঃ এম এ হাসান। আলোচনা অংশ নেন মেলার সভাপতি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, মেলার ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য খোন্দকার মোঃ আসাদুজ্জামান, মেলার সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বারক্ আলভী এবং শিশুবক্তা তাসনুভা তাবাস্সুম অরিত্রী। শিশু সভাপতি ছিলেন ইসরাত জাহান দিবা।
×