ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভিয়েনায় গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২৭ মার্চ ২০১৮

 ভিয়েনায় গণহত্যা  দিবস  পালিত

গণহত্যা ও জাতীয় দিবসে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার হউফসাইলস্থ বাংলাদেশ দূতালয়ে ২৫ মার্চ বিকেল ৫টায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও আলোচনা সভার অয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর। সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর ও চ্যান্সারী প্রধান রাহাত বিন জামান। শুরুতে ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যার শিকার সব শহীদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ ও গণহত্যায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর গণহত্যা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ-অস্ট্রিয়া সমিতির সহ-সভাপতি বখতিয়ার রানা, ইয়াসিম মিয়া বাবু প্রমুখ। এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একাত্তর সালের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানীদের সেই পৈশাচিক বর্বতা গণহত্যার ইতিহাসে এক ভয়াবহতম ঘটনা। আজকের বিশ্বমানবতার অগ্রযাত্রার স্বার্থে গণহত্যার মতো নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদের এই দাবির প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন জানাবে ও জাতিসংঘ পদক্ষেপ নেবে আজকের দিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ ড. মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, একাত্তর সালের পঁচিশে মার্চের ভয়াল নিষ্ঠুরতার স্মৃতি আমাদের এখনো কাঁদায়। পাকিস্তানীদের ঐ বর্বরতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে নতুন করে জানানো প্রয়োজন। সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, একাত্তরের ৯টি মাস পাকিস্তানীরা বাংলাদেশে যে গণহত্যা করেছে তার বিচার এক দিন হবেই। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির অব্যাহত সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার জুবায়দুল হক চৌধুরী। ভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। -বিজ্ঞপ্তি
×