ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সোনার বাংলা গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৭ মার্চ ২০১৮

সোনার বাংলা গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দেশব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে। এতে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম আনন্দঘন পরিবেশ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সোমবার পালিত হয়েছে ৪৮তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষে সরকারী-বেসরকারী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচী গৃহীত হয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, উত্তর-দক্ষিণ ও মহানগরী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে চসিকের বিভিন্ন কাউন্সিলরবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার মোঃ সাহাব উদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস এম মনির-উজ-জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, শিল্প পুলিশের এএসপি মোঃ কামরুল হাসান, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আজিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাশহুদুল কবির, জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মমিনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করছে। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাসমারোহে উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচী উদযাপন হয়। এ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। রাজশাহী একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, স্মরণ ও দেশকে আরও এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে রাজশাহীর সর্বত্র মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে রাজশাহীর রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় দিনের কর্মসূচী। একই সঙ্গে সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী ভবনসমূহে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের। নগরীর লক্ষ্মীপুরে জেলা ও কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল ১০টায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। একইসময় কোর্ট শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারও এখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদদের প্রতি। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহবুবর রহমান, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারী বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এর আগে রাজশাহীর ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে রাত ১২টা এক মিনিটে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। খুলনা প্রত্যুষে নগরীর বয়রাস্থ পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএিনপি, সিটি কর্পোরেশন, খুলনা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের কেন্দ্র্রীয় শহীদ মিনারে এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সকাল আটটায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে সেখানে বিভিন্ন বাহিনী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়। বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বরিশাল রাত ১২টা এক মিনিটে নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, নগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন শেষে অভিবাদন গ্রহণ করেন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন। এর আগে রাত ১১:১০ মিনিটে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন করে নগরীতে আলোর মিছিল বের করে সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদসহ প্রগতিশীল নয়টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এর আগে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ লাইন্সে একত্রিশবার তোপধ্বনি করা হয়। সকাল আটটায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের অভিবাদন গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহীদুজ্জামান। সিলেট ভোর থেকেই নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ঢল নামে সবস্তরের মানুষের। অনেকের হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি সকাল ৮টায় সারাদেশের মতো সিলেটেও একযোগে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন। বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্যোগে পৃথকভাবে পালন করা হয নানা কর্মসূচী। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমিটি, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, এসএমপি পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, জেলা পরিষদ প্রশাসক, আর আর এফ কমান্ড্যান্ট, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, আনসার ভিডিপি, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, জনতা পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ময়মনসিংহ রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয় ময়মনসিংহের পাটগুাদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে। ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সোমবার সকালে ময়মনসিংহে মরহুম রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে নানা আয়োজনের উদ্বোধন করে ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ শিশু কিশোরদের শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। গাইবান্ধা কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা, গাইবান্ধা শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, হাসপাতাল, জেলখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। শেরপুর সোমবার ভোরে শহরের মাধবপুর এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে হুইপ আতিউর রহমান আতিক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ওইসময় পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) রফিকুল হাসান গনি, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, জেলা আইনজীবী সমিতি, শেরপুর প্রেসক্লাবসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি। দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক। জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম জিয়াউল ইসলাম, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার এ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান আকন্দ। নরসিংদী সোমবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৭টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে মোসলেহ্ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম নরসিংদীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্যারেড কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন। এ সময় পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন। স্টেডিয়ামে বিভিন্ন সংগঠনসহ শিশু-কিশোরদের ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, প্রামান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, খেলাধুলার আয়োজনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। কুষ্টিয়া ভোর ৬টা ২ মিনিটে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনিসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। এরপর দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বিভিন্ন সরকারী, আধা সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনাসভা, শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ ও বিশেষ মোনাজাত। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান, পুলিশ সুপার এসএম মেহেদী হাসানসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, কুষ্টিয়া পৌরসভা, সাংবাদিক, বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। সকালে কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শিশু কিশোরদের এক মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ এবং জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের পতাকা র‌্যালি। কিশোরগঞ্জ সোমবার সকালে গুরুদয়াল সরকারী কলেজ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনীতে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেলে মহিলাদের অংশগ্রহণে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে আলোচনাসভা ও পুরাতন স্টেডিয়ামে রাইফেল শূটিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাটোর সোমবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের নেতৃত্বে¡ পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবশেন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ও পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ শহরের কাঁদিভিটা দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি। এরপর জেলা প্রসাশক, জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজার পৌরসভা, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা বিএনপি, মৌলভীবাজার টিভি জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, সিভিল সার্জন, চেম্বার অব কমার্স, পৌরসভা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সরকারী কলেজ, আইনজীবী পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত ও পুরস্কার বিতরণী, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কেন্দ্রে ও পৌরসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শন, হাসপাতাল, জেলখানা, এতিখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা, ক্রিকেট ও প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং সর্বশেষ ছিল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেহেরপুর সোমবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সমাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। জামালপুর সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম হীরা, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জামালপুর পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ জামালপুর জেলা শাখা, সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ, শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, সরকারী জাহেদা সফির মহিলা কলেজ, জামালপুর জিলা স্কুল, জামালপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, জামালপুর প্রেসক্লাবসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দফতর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারের পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। সকাল সাড়ে আটটা থেকে জামালপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকীম স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীনতা দিবসের কুজকাওয়াজ এবং স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস ও ঐহিত্যভিত্তিক বিভিন্ন শারীরিক কসরত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শিত হয়। নেত্রকোনা সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিপিবি, জাতীয় পার্টি, উদীচী, স্বাবলম্বী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল ৮টায় মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ, শরীরচর্চা ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ১১টায় পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনÑ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল আমিন, রেডক্রিসেন্টের সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকু প্রমুখ। লক্ষ্মীপুর সোমবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটের সময় ৩৩ বার তপোধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসের সূচনা করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এরপর পর্যায়ক্রমের কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে চত্বরে পুষ্পস্তপক অর্পণের মধ্যে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, জেলা আ’লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার কাজল কান্তি দাস, সদর উপজেলা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা কমান্ডার মাহবুবুল আলম, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, জাপা (এ), বিএনপি, জাসদ, জেএসডি, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্নস্তরের হাজারও মানুষ। খাগড়াছড়ি সোমবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। এ উপলক্ষে ভোরে চেঙ্গী স্কোয়ার সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর পর প্রতিমন্ত্রী মর্যদাপ্রাপ্ত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান, প্রেসক্লাব, শিল্পকলা একাডেমি, সাংবাদিক ইউনিয়ন, পৌরসভা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে ফুল দেন। সকাল ৮টায় খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। হবিগঞ্জ এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আলহাজ মোঃ আবু জাহিরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠন, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ ও পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরার নেতৃত্বে স্ব স্ব বাহিনী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের কমান্ডার এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাগণ, উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহার নেতৃত্বে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক-দুপ্রক), সভাপতি এ্যাড. নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু ও সেক্রেটারি ইয়াসিন খাঁ’র নেতৃত্বে খোয়াই থিয়েটার, সভাপতি সাংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিনের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও ব্যাংক-বীমা-এনজিও এবং সরকারী- বেসরকারী নানা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সাতক্ষীরা সোমবার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করা হয়। সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বেলুন , ফেস্টুন ও কবুতর অবমুক্ত করে সালাম গ্রহণ করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান । এরপর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে দেশব্যাপী একযোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে পুলিশ, বিএনসিসিসহ ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমম্বয়ে দৃষ্টিনন্দন মার্চপাস্ট, শরীরচর্চা, ডিসপ্লে করা হয় এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ২’শ ৫০ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বগুড়া সোমবার ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনার পরই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সকল সরকারী-বেসরকারী ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই সময়ে মুক্তির ফুলবাড়ি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। সকালে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শিশু কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক। এরপর পরিবেশিত হয় শিশু ও কিশোরদের ডিসপ্লে। এ ছাড়াও দিনভর অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল ঃ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। দুপুরে জিলা স্কুল মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। যশোর সোমাবার ভোর ৬টায় শহরের মনিহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিজয় স্তম্ভে ফুল দেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। এরপর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম মিলন, সম্পাদক শাহিন চাকলাদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সকাল ৯টায় যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোমবার ভোরে স্থানীয় ফারুকী পার্কে স্মৃতিসৌধে তপোধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। প্রথম প্রহরে সংসদ সদস্যর, আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পৌরসভা ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে স্থানীয় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে একই সময়ে দেশব্যাপী জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া কর্মসূচী পালিত হয়। মাগুরা সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের নোমানী ময়দানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারী দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা আইনজীবী সমিতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় । সকাল ৮টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট, গার্লগাইড ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার খান মোঃ রেজোয়ান। ভোলা সোমবার ভোলায় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক প্রথম পুষ্পমাল্য দিয়ে শহীদের প্রতি সম্মান জানান। এরপর ভোলা পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অপরদিকে সকাল ৮টায় ভোলা গজনবী স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও শিশু কিশোরদের নানা রকম শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়াও দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোমবার প্রত্যুষে শ্র্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম, হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম বিপিএম-পিপিএম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ গোলামুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, জেলা প্রশাসকের বাসভবনস্থ শহীদ জেলা প্রশাসক সামসুল হক খান মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও টাউন হলের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মঞ্চে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শহীদ স্মৃতিস্তম্বে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ, মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়। এছাড়া মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ও অতিরিক্ত ডিআইজি সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীরের (পিপিএম) নেতৃত্বে স্থানীয় শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ (ট্রেনিং) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (প্রশাসন)সহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ঠাকুরগাঁও সোমবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ছয়টায় অপরাজেয়’৭১ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, জাসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারী বেসরকারী অফিস ও বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল আটটায় শহীদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, গার্লস গাইড, বয় স্কাউট ও রোভারদের কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান। নওগাঁ সোমবার দিবসের শুরুতেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। সকালে নওগাঁ স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন। পরে বিজয়ী ও বিজিতদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিটির নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বাগেরহাট সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টায় শহরের দশানীর স্বাধীনতার শহীদ বেদিতে জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক করা অর্পণ করা হয়। পরে পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন, প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, পি.সি. কলেজ, এলজিইডি, সচেতন নাগরিক কমিটি, বিএমএ, চেম্বারসহ বিভিন্ন সরকারী- বেসরকারী দফতর, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তি শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি, এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ অরুণ চন্দ্র ম-লসহ উর্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ, মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি সোমবার প্রত্যুষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়েছে। ভোরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এর পর পর পুলিশ সুপার , মোঃ আলমগীর কবির , জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ডঃ প্রদানেন্দু পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন । জেলা আওয়ামী লীগ , মুক্তিযোদ্ধা , বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকাল আটায় রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে পুলিশ, আনসার ও ছাত্র /ছাত্রী কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। কুড়িগ্রাম ৩১ বার তোপধ্বনির পর সকাল ছয়টায় স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক সংগঠন। এরপর সারাদেশের ন্যায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একযোগে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। ফরিদপুর ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় কবি জসীম উদ্দীন হল মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার জামিল হোসেন খান, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, যুদ্ধকালীন কমান্ডার কবিরুল আলম, সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ প্রমুখ। কক্সবাজার প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শনের মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারী-বেসরকারী নানা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা দিবস পালন করেছেন। জানা গেছে, প্রথম প্রহরে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ড. একেএম মোঃ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমূল হক ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে জেলা জাসদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়াও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সিরাজগঞ্জ ভোরে ২১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করা হয়। বাজার স্টেশন মুক্তির সোপানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুন নাহার সিদ্দিকা। এরপর পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ বিভাগ, আওয়ামী লীগ জাসদ বাসদ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়াও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকালে শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াচ, র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এদিকে সকালে সারাদেশের সঙ্গে এক যোগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা। নীলফামারী সোমবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্যমে দিবসের সূচনায় স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যান্য রাজনৈতিক দল। সকাল ৮টায় নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সারা দেশের সঙ্গে পাঁচ সহ¯্রাধিক মানুষের অংশগ্রহণে সমবেত কণ্ঠে উচ্চারিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে সেখানে সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত প্রদর্শন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, কারাগার, হাসপাতাল এবং সরকারী শিশু পরিবারসহ এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাঢ়ার বিজয়স্তম্ভে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সোমবার ভোরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোঃ রাব্বী মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ শরফুদ্দীন, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন। এছাড়াও বিজয় স্তম্ভে ফুলের শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল হোসেন। এদিকে সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন- সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহীনুর ইসলাম ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ। ঝালকাঠি ৩১ বার তোপধ্বনির পরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুলিশ ও আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঈশ্বরদী, রূপগঞ্জ, মীরসরাই, ফটিকছড়ি, আমতলী, কলাপাড়া, কেরানীগঞ্জ, সৈয়দপুর, সান্তাহার, শাহজাদপুর, কালকিনি ও মির্জাপুর উপজেলায় অনুরূপ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
×