ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কে হুমকিতে পড়েছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েল

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ২৭ মার্চ ২০১৮

ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কে হুমকিতে পড়েছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চুপ থাকার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে বলছেন প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রের তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। পর্ন চলচ্চিত্রে এই নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম স্টিফানি ক্লিফোর্ড। বিবিসি। সিবিএস নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে স্টর্মি বলেন, ২০১১ সালে লাস ভেগাসের একটি গাড়ির পার্কিংয়ের একজন ব্যক্তি তার কাছে এগিয়ে এসে বলেন, ‘ট্রাম্পকে ঘাঁটিয়ো না।’ এরপর ওই ব্যক্তি তার সঙ্গের ছোট মেয়ের দিকে বলে, ‘এটা খুব দুঃখজনক হবে যদি তার মায়ের কিছু ঘটে যায়।’ তবে স্টর্মির সঙ্গে কোন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই পর্ন তারকার বিরুদ্ধে ২০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণের দাবি করছেন। তাদের মতে, স্টর্মি ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তথ্য প্রকাশের একটি চুক্তি ভঙ্গ করেছেন। স্টর্মি দাবি, ওই দাবির মূল্য নেই। মিজ ক্লিফোর্ড বলেছেন, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। তার আগের বছরই ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ে করেন। এ সপ্তাহ জুড়ে ফ্লোরিডায় ছুটিতে রয়েছেন ট্রাম্প। স্টর্মি বলেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্প তার হোটেলে স্যুইটে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ জানানোর পর ওই শারীরিক মিলন ঘটে। তিনি বলেন, ট্রাম্প তাকে তার ছবি ছাপানো একটি ম্যাগাজিনের কভার দেখান। এ সময় তিনি মজা করে ম্যাগাজিনটি দিয়ে ট্রাম্পের পশ্চাদ্দেশে বাড়ি দেন। এ সময় ট্রাম্প স্টর্মির দিকে ঘুরে তার প্যান্টটি একটু নিচে নামিয়ে দেন। স্টর্মি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার মিলন হলেও তার প্রতি কোন আকর্ষণ ছিল না। তার কাছে মনে হয়েছিল এই সম্পর্ক একটি বাণিজ্যিক সম্পর্কের মতো। সিবিএস টেলিভিশনকে স্টর্মি বলছেন, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীর কাছ থেকে তিনি মুখ না খোলার জন্য অর্থ নিয়েছিলেন। কারণ তিনি নিজের পরিবারের বিষয়ে চিন্তা করছিলেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এজন্য তিনি ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেনের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার পান। কোহেন স্বীকার করেছেন যে, তিনি স্টর্মিকে অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু কি জন্য সেই অর্থ দেয়া, সেটা তিনি জানাতে রাজি হননি। ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক বা যৌনতা হয়রানির বিষয়ে যে তিন নারী আইনী পদক্ষেপ নিয়েছেন, স্টর্মি তাদের একজন। তার আইনজীবী মাইকেল এ্যাভেনাত্তি বলেছেন, অন্যদের তুলনায় তার মক্কেলের বিষয়টি একটু ভিন্ন, কারণ তাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে বা চুপ রাখার জন্য কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা শুধুমাত্র আমেরিকান জনগণের জন্যই নয়, বরং পশ্চিমা সভ্যতার জন্য বড় ধরনের একটি সমস্যা এবং উদ্বেগজনক ঘটনা। ক্ষমতায় থাকা মানুষজনের আচরণ এমন হওয়া উচিত নয়।’
×