ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান আর্থিক ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা নিয়োগে নীতিমালা জারি

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২৬ মার্চ ২০১৮

প্রধান আর্থিক ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা নিয়োগে নীতিমালা জারি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) ও প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিআইটিও) নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে এই দুই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা ও উপযুক্ততার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা হবেন ব্যাংকের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা। তাদের নিয়মিত অথবা চুক্তি ভিত্তিতে পদায়ন বা নিযুক্ত করা যাবে। তবে খন্দকালিনভিত্তিতে এসব পদে কোন কর্মকর্তাকে পদায়ন বা নিযুক্ত করা যাবে না। এছাড়া এ সকল পদে পদায়ন বা নিযুক্তির পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। রবিবার ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে; যা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন- ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে; যা অবিলম্বে কার্যক্রম হবে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক ব্যবসায়ে নতুন নতুন পণ্যের প্রচলন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তি ঝুঁকির আবির্ভাব হচ্ছে। নতুন ধরনের এই ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা। এতে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থায় সুশাষন বৃদ্ধির জন্য ইতোপূর্বে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, প্রধান নির্বাহী (এমডি), উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগের যোগ্যতা ও উপযুক্ততা নির্ধারণ করে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তার ন্যূনতম যোগ্যতা ও উপযুক্ততা নির্ধারণপূর্বক এ কল পদে পদায়ন, নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তির ক্ষেত্রে এই নীতিমালা জারি করা হলো। নীতিমালায় শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা পদায়ন বা নিযুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিস্ট ব্যক্তির ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংকের হিসাবায়ন ও কর সম্পর্কিত কার্যক্রমে ন্যূনতম ৩ বছরের অভিজ্ঞতা হতে হবে। চার্টাড এ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) বা কস্ট ম্যানেজম্যান্ট এ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএমএ) বা সার্টিফাইড ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট (সিএফএ) বা অনুরুপ পেশাগত ডিগ্রী বা কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যবসায় প্রশাসন (এমবিএ), ব্যাংক ব্যবস্থাপনা (এমবিএম), অর্থনীতি, ফিন্যান্স, হিসাববিজ্ঞান কিংবা ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হতে হবে। অন্যদিকে, প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা পদে পদায়ন বা নিযুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিস্ট ব্যক্তির তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কমপক্ষে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রকৌশল, পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান, গণিত, পরিসংখ্যান বা ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এ ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী অথবা আইসিটিতে ডিপ্লোমাসহ যে কোন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে বর্তমানে কোন ব্যাংকে এ সকল পদে নিয়োজিত কর্মকর্তার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ব্যর্তয় পরিলক্ষিত হলে তার পরিপালন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। চারিত্রিক সংহতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সংশ্লিস্ট ব্যক্তি কোন ফৌজদারি আদালত কর্তৃক কখনও দন্ডি হয়নি, তিনি কোন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কোন বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়মাচার কিংবা আইনের কোন বিধান লংঘনজনিত কারণে কখনও দ-িত হননি। এছাড়া তিনি অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি ও নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চাকরি হতে বরখাস্ত হননি। স্বচ্ছলতা ও আর্থিক সংহতির বিষয়ে বলা হয়, সংশ্লিস্ট ব্যক্তি কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপী নন। এছাড়া তিনি কোন সময় আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হননি।
×