ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

খালেদার সাজা বাড়াতে আপীল করেছে দুদক

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৬ মার্চ ২০১৮

খালেদার সাজা বাড়াতে আপীল করেছে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়াতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপীল দাখিল করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আপীল আবেদন করার পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আপীল আবেদনটি আগামী মঙ্গলবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে। বুধবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখার আবেদনও করা হবে। তিনি আরও বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের যে সাজা দিয়েছে, তা ‘অপর্যাপ্ত’ বলে তাদের মনে হয়েছে। আমরা মনে করি খালেদা জিয়া মূল আসামি। অথচ তার চেয়ে সহযোগীদের বেশি সাজা দেয়া হয়েছে। সাজার এই অংশটুকু আমরা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছি। বিচারিক আদালত যদি সবাইকে ১০ বছরের সাজা দিত অথবা সবাইকে ৫ বছরের সাজা দিত, তাহলে আমরা আবেদন করতাম না। যদি খালেদা জিয়াকেও ১০ বছরের সাজা দিত, তাহলেও কোন আবেদন করতাম না। এটিকে আমরা আপীল গ্রাউন্ড হিসেবে দেখিয়েছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘অনেকে বলছেন, সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে দুদক এ আপীল আবেদন করেছে, এটা মোটেও ঠিক না। আপনারা জানেন, যখন আপীলে জামিনের শুনানি হয় তখন আমরা বলেছি জাজমেন্টের এই সাজায় আমরা সন্তুষ্ট না। এটা অপর্যাপ্ত সাজা। তো আদালত আমাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন আমরা কিছু করেছি কিনা। তখন আমরা আদালতকে বলেছিলাম, বিষয়টি দুদক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে। সেটিরই আজ এফিডেভিট সম্পন্ন করেছি। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয় রায়ে। কারাদন্ডাদেশ পাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারে বন্দী। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এনে তা দেখে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনে আপীল বিভাগে তা স্থগিত হয়ে যায়।
×