ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তালতলীতে ইউপি সচিবকে মারধর করলেন চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ২৬ মার্চ ২০১৮

 তালতলীতে ইউপি সচিবকে মারধর করলেন  চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৫ মার্চ ॥ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র দিতে অস্বীকার করায় তালতলীর শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ভবরঞ্জন হাওলাদারকে (৩৫) মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার ও তার ছেলে কাওসার আহম্মেদ এবং শ্যালক আলমগীর মুন্সি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ আহত সবিচকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনা ঘটেছে রবিবার বিকেল ৩টায়। জানাগেছে, তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বাবুল হাওলাদার রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে মুঠোফোনে সচিব ভবরঞ্জনকে ফোন দিয়ে তার অবস্থান জানতে চায়। মুঠোফোনে কথা বলার প্রায় এক ঘণ্টা পরে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে কাওসার আহম্মেদ এবং শ্যালক আলমগীর মুন্সি পরিষদে আসেন। পরে সচিবের কাছে গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন স্কিমের কাগজপত্র ও ক্যাশ বই দেখেন এবং মূল ফাইল নিয়ে যেতে চায়। এ সময় সচিব তার চাহিদামতো কাগজপত্র দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান তার ছেলে ও শ্যালক সচিবকে গলা টিপে ধরে বেধড়ক মারধর করে কক্ষে আটকে রাখে। পরে সচিবের চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে কক্ষে তালা দিয়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সটকে পড়ে। এ ঘটনা দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সচিবকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মংফ্রু বলেন, সচিবের গলা ফোলা রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী সফেজ প্যাদা বলেন, পরিষদের সচিবের কক্ষে চিৎকারের শব্দ শুনে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সচিবকে মারধর করছে। কড়াইবাড়িয়া কারিগরি ও টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ খবির উদ্দিন পনু তালুকদার বলেন, চিৎকার শুনে পরিষদে গিয়ে সচিবের কক্ষের কাগজপত্র তছনছ করা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পুলিশ এসে সচিবকে নিয়ে যায়। ইউপি সচিব ভবরঞ্জন হাওলাদার বলেন, চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বাবুল, তার ছেলে কাওসার আহম্মেদ ও শ্যালক আলমগীর মুন্সি অফিসে এসে গত ৫ বছরের বিভিন্ন স্কিমের কাগজপত্র ও ক্যাশ বই দেখে মূল ফাইল নিয়ে যেতে চায়। আমি এ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল দিতে অস্বীকার করায় আমাকে চেয়ারম্যান, তার ছেলে ও শ্যালক গলা চেপে ধরে বেধড়ক মারধর করেছে। পরে কক্ষে তালা লাগিয়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন চলে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বাবুল মুঠোফোনে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, স্কিমের কিছু কাগজপত্র চাইলে সচিব তা দেয়নি। এ নিয়ে সচিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
×