ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের পর হত্যা ॥ পুলিশের এএসআই ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ২৫ মার্চ ২০১৮

ধর্ষণের পর হত্যা ॥ পুলিশের এএসআই ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ গৃহকর্মী মঞ্জিলা খাতুনকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগে পুলিশের এএসআই আলতাফ হোসেন ও সহযোগী তার স্ত্রী সালেহা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন রংপুরের একটি আদালত। রবিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জাবিদ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ ১৫ বছর আইনি লড়াইয়ের পর এই রায় ঘোষণা করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি রফিক হাসান জানান, ২০০৩ সালের ২৪ মে রাতে রংপুর নগরীর তালুকরঘু তামপাট (বর্তমানে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতায়) এলাকার পুলিশের এএসআই আলতাফ হোসেন এর বাড়ির গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন মঞ্জিলা খাতুন। ঘটনার রাতে মঞ্জিলাকে ধর্ষন করে হত্যা করে এএসআই আলতাফ হোসেন। এরপর ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এএসআই আলতাফ ও তার স্ত্রী সালেহা বেগম নিহত মঞ্জিলার লাশ বাড়ির অদুরে একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে রংপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ মঞ্জিলার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহেতর মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে ২৫ মে রংপুর কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামী আলতাফ হোসেন (এএসআই) ও তার স্ত্রী সালেহা বেগমের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিচারক দুই আসামীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদেকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। এদিকে, মামলার রায়ে অসেন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত মঞ্জিলার বাবা মমিন উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি । আমি গরীব হওয়ায় টাকা পয়সা খরচ করতে পারিনি। আসামীদের ফাঁসি না হওয়ায় তিনি এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। আসামী পক্ষের আইনজীবী জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
×