স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে শনিবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া। এ উপলক্ষে তিনি শনিবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তিনি দুপুর বারোটায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তাঁকে এ নিয়োগ দেন। ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁকে আগামী তিন বছর মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডাঃ সাহানা আখতার রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ, সাবেক উপ-উপাচার্য ও নবজাতক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ অসীম রঞ্জন বড়ুয়া প্রমুখ।
অধ্যাপক ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং চিকিৎসা সেবায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব। আমি নিজে একজন ক্লিনিশিয়ান হওয়ায় কিভাবে রোগীকে আরও অধিকতর উন্নতমানের সেবা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে আমার সম্যক ধারণা আছে।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিপুলসংখ্যক ডাক্তার বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীতে ভর্তি ও পড়াশোনা করছেন। শুধু সংখ্যায় কোর্স খুলে দিলেই হবে না, যথাযথ মনিটরিং করে ওই সকল কোর্সের শিক্ষার্থীরা উন্নততর প্রশিক্ষণ পেয়ে ও ভালভাবে পড়াশোনা করে ডিগ্রী লাভ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদেরকে দেশ-বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: