ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সুপার লীগে বড় জয়ে শুরু আবাহনী-শেখ জামাল ধানমন্ডির

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৫ মার্চ ২০১৮

সুপার লীগে বড় জয়ে শুরু আবাহনী-শেখ জামাল ধানমন্ডির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের (ডিপিএল) সুপার লীগ শুরু হয়েছে শনিবার। রবীন লীগ থেকে শীর্ষস্থান নিয়ে ওঠা শিরোপার অন্যতম দাবিদার আবাহনী লিমিটেড প্রথম ম্যাচেই বড় জয় তুলে নিয়েছে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতীয় ব্যাটসম্যান হানুমা বিহারীর সেঞ্চুরিতে ৭৩ রানে তারা হারিয়ে দেয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শেখ জামাল ভারতীয় ক্রিকেটার উন্মুক্ত চাদের শতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। জামালের হয়ে ৫ উইকেট নেন রবিউল হক। তবে প্রথমবার সুপার লীগে ওঠা খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ফতুল্লায় হারাতে ঘাম ঝরেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা। দোলেশ্বরের হয়ে আরাফাত সানি ৫ উইকেট নেন। আবাহনী-গাজী গ্রুপ ম্যাচ ॥ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদে পড়েছিল আবাহনী। দারুণ খেলতে থাকা ওপেনার সাইফ হাসান ৩০ রানে বিদায় নেন। এরপর পঞ্চম উইকেটে বিহারী ও মোহাম্মদ মিঠুন দ্রুতগতির ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। বিহারী ১২৪ বলে ১০ চার, ১ ছক্কায় ১০৯ রানে সাজঘরে ফিরলেও ততক্ষণে ভাল অবস্থানেই যায় আবাহনী। মিঠুন মাত্র ৬১ বলে ৬ চার, ১ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের ঝড়ে (টানা ১ চার ও ৩ ছক্কা) নাঈম হাসানের বলে আসে ২৫ রান। এতেই ৬ উইকেটে ২৭৮ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় আবাহনী। আবু হায়দার ও মেহেদী হাসান দুটি করে উইকেট নেন। জবাবে মাত্র ৬৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। অমিত মজুমদার ৬৪ ও মুমিনুল হক ৪৬ রান করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভারে ২০৫ রানেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ। সানজামুল ইসলাম ৪টি, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। ৭৩ রানে জয় পায় আবাহনী। স্কোর ॥ আবাহনী ইনিংস ॥ ২৭৮/৬; ৫০ ওভার (বিহারী ১০৯, মিঠুন ৭২*, সাইফ ৩০, মোসাদ্দেক ২৩*; হায়দার ২/৪৫, মেহেদী ২/৪৯)। গাজী গ্রুপ ইনিংস ॥ ২০৫/১০; ৪৩ ওভার (অমিত ৬৪, মুমিনুল ৪৬, জাকের ২৯*; সানজামুল ৪/৫০, মিরাজ ২/২৮, মাশরাফি ২/৩০)। ফল ॥ আবাহনী ৭৩ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ হানুমা বিহারী (আবাহনী)। দোলেশ্বর-খেলাঘর ম্যাচ ॥ রবিউল ইসলাম রবি, অমিত মজুমদার ও অশোক মেনারিয়ার অর্ধশতকের পরও শেষদিকে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় খেলাঘরের ইনিংস বেশি বড় হয়নি। এই তিন অর্ধশতকে ৮ উইকেটে ২৫৮ রান করতে সক্ষম হয় তারা। আরাফাত সানি ৫ উইকেট শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে ১০৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল দোলেশ্বর। কিন্তু শেষদিকে শরীফুল্লাহ, ইকবাল আব্দুল্লার দৃঢ়তা ও ফরহাদ রেজার অপরাজিত অর্ধশতকে ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় দোলেশ্বর। ফরহাদ মাত্র ৩৭ বলে ২ চার, ৭ ছক্কায় ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ৩ উইকেটে জয় পায় দোলেশ্বর। স্কোর ॥ খেলাঘর ইনিংস ॥ ২৫৮/৮; ৫০ ওভার (রবিউল ৬২, মেনারিয়া ৫৪, অমিত ৫০, মহিদুল ২৪; আরাফাত ৫/৪৫, রেজা ২/৫৬)। দোলেশ্বর ইনিংস ॥ ২৫৯/৭; ৪৮.১ ওভার (রেজা ৬৮*, ইকবাল ৩৫, শরীফুল্লাহ ৩০; সাদ্দাম ৩/৪০, হাসান ২/৫৭)। ফল ॥ দোলেশ্বর ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ফরহাদ রেজা (প্রাইম দোলেশ্বর)। শেখ জামাল-রূপগঞ্জ ম্যাচ ॥ টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রূপগঞ্জ। এদিন মুশফিকুর রহীম নামেন দলটির হয়ে। শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি তাদের। খুব বড় ইনিংস কেউ খেলতে না পারলেও মাঝারি রানের অবদানে ভূমিকা রাখে লড়াকু সংগ্রহ গড়ার ক্ষেত্রে। তবে শুধু অধিনায়ক নাঈম ইসলাম অর্ধশতক পেয়েছেন (৫১)। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৬০ রান সংগ্রহ করে তারা। রবিউল হক ৫ উইকেট শিকার করেন। জবাবে দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ১৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন উন্মুক্ত চাঁদ ও রাকিন আহমেদ। রাকিন ৫২ রানে সাজঘরে ফেরার পর উন্মুক্তের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে আরও ৬০ রান যোগ করেন তানবীর হায়দার। উন্মুক্ত ১৩৩ বলে ২০ চারে ১২৭ রানে সাজঘরে ফিরলেও তানবীর ৫২ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ১২ বল হাতে রেখে (৪৮ ওভারে) ৩ উইকেটে ২৬২ রান তুলে সুপার লীগে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে শুরু করে শেখ জামাল। স্কোর ॥ রূপগঞ্জ ইনিংস ॥ ২৬০/৯; ৫০ ওভার (নাঈম ৫১, তুষার ৪৮, রসুল ৪৪, নাইম ৪৩; রবিউল ৫/৩৩, তানবীর ২/৪৮)। শেখ জামাল ইনিংস ॥ ২৬২/৩; ৪৮ ওভার (উন্মুক্ত ১২৭, তানবীর ৬৬*, রাকিন ৫২; রাসেল ২/৫৩)। ফল ॥ শেখ জামাল ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ উন্মুক্ত চাঁদ (শেখ জামাল)।
×