ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৫ মার্চ ২০১৮

যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’

আজ পঁচিশে মার্চ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৭১-এর এই দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অনুযায়ী বাঙালী নিধনে ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। এখনও পাকিস্তান মনে করে সেদিন তারা সঠিক কাজটি করেছিল। পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ : মিথস্ এক্সপ্লোডেড’ শিরোনামে একটি বই লিখেছে। যে বইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দোষারোপ করা হয়েছে এই বলে যে, পঁচিশে মার্চের গণহত্যার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দায়ী। তারাই নিরীহ-নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভার কথা। সেই অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম প্রধান অতিথি। সেখানে শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন এই দিনটিকে কেন আমরা ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করি না সে প্রশ্ন তুলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। সেদিনের সভায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনসহ দু’জন বিদেশী উপস্থিত ছিলেন। সেদিন তারা এই দিনটির যে চিত্র তুলে ধরেছিলেন তাতে আমি বিব্রত ও লজ্জিত হয়েছি এই ভেবে যে, কেন আমরা এই দিনটিকে এতদিন ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করিনি। আমি অকপটে স্বীকার করি পঁচিশে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেয়া উচিত ছিল। বহুবিধ কারণে এটি সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। সভাস্থলে জুনায়েদ আহমেদ লিখিত বইটির পাতা উল্টে যখন দেখছিলাম তখন বিস্মিত হয়েছি এই ভেবে যে, কিভাবে মিথ্যাচার করা হয়েছে! বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ’৭১-এর গণহত্যার যেসব ছবি মুদ্রিত হয়েছিল সেসব ছবি বইটিতে সঙ্কুলিত হয়েছে এবং প্রতিটি ছবির নিচে লেখা হয়েছে এসব হত্যাকান্ড মুক্তিযোদ্ধাদের সৃষ্ট। বইটিতে আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের এসব মিথ্যাচার দেখে আমার মন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সেদিনই জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগদান করে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টি উত্থাপন করি এবং উক্ত বই থেকে উদ্ধৃত করে বক্তৃতায় বলি পঁচিশে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হোক। সেদিন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন এবং একটি দিন নির্ধারণ করে আলোচনার জন্য প্রস্তাব করলে তা গৃহীত হয়। মাননীয় স্পীকার ১১ মার্চ শনিবার আলোচনার দিন নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দিনে পঁচিশে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ প্রস্তাবের ওপর ৫৬ জন এমপি দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতার পূর্বে পিনপতন নীরবতার মধ্যে গণহত্যার ১৮ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। নৃশংসভাবে খুন হয়ে যাওয়া নারী-পুরুষ-শিশুর লাশ দেখে জাতীয় সংসদে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পাকিস্তানসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে দীর্ঘ ২৫ মিনিট আবেগাপ্লুত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরও উন্নত হচ্ছে। কোন অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করব না।’ অতঃপর সর্বসম্মতক্রমে রাষ্ট্রীয়ভাবে পঁচিশে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত মহান জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। পাকিস্তান ’৭১-এর গণহত্যাকে ভিন্নখাতে চালিত করার জন্য যে অপকর্ম করে থাকে দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, এজন্য আমাদের দেশের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দায়ী, বিশেষ করে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যেদিন তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেছেন, ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে তার প্রশ্ন আছে- সেদিন থেকে পাকিস্তান এসব লেখাপত্র প্রকাশ করতে সাহস পেয়েছে। অথচ ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ যে শহীদ হয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ বহন করছে তৎকালে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলো। অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা হেরাল্ড ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুসারে ২৫ মার্চ রাতে শুধু ঢাকা শহরেই ১ লাখ লোককে হত্যা করেছিল পাকবাহিনী। মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন ’৭১ সালে। তিনি পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যা চালাবার অভিযোগ করেন। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে বিশ শতকের পাঁচটি ভয়ঙ্কর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের ড্যান কগিন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক, একজন পাকিস্তানী ক্যাপ্টেনকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘We can kill aone for aûthing. We are accountable to no one.’ বিশ্বখ্যাত এই পত্রিকাটির একটি সম্পাদকীয় মন্তব্য ছিল, ‘It is the most incredible, calculated thing since the days of the Nayis in Poland.’ আন্তর্জাতিক মহলের মতে ’৭১-এ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘তিন মিলিয়ন’ বা ত্রিশ লাখ বাঙালীকে হত্যা করেছে। এই সংখ্যার সমর্থন রয়েছে Encyclopedia Americana Ges National Geographic Magayine-এ। এসব রিপোর্টে লেখা আছে, বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তান বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডে নাজি বাহিনীর বর্বরতার চাইতেও ভয়াবহ। এই গণহত্যা সম্পর্কে পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলী তার ডায়রিতে লিখেছেন, -paint the green of East Pakistan red’ অর্থাৎ তিনি বাংলার সবুজ মাঠকে লাল করে দেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হেরাল্ড ট্রিবিউন ’৭১-এর জুন ১ তারিখে লিখেছে, ‘পাকিস্তানের গণহত্যা থেকে রেহাই পেতে লাখ লাখ উদ্বাস্তু মুসলমান এবং অন্যরা স্রোতের মতো ভারতে চলে আসছে।’ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর একমাস পর ২৬ এপ্রিল নিউজউইক লিখেছে, ‘ইসলামাবাদ হাইকমান্ডের নির্দেশে সৈন্যরা পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক এবং নেতৃত্ব প্রদানে সম্ভাবনাময় এমন সব লোককে পাইকারি হারে হত্যা করছে।’ রবার্ট পেইন তার ‘Massacre’ গ্রন্থে ইয়াহিয়া খানকে উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘Kill three million of them and the rest will eat out of our hands.’ ’৮১তে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘Among the genocides of human history, the highest number of people killed in lower span of time is in Bangladesh in 1971. An average of 6000 (six thousand) to 12000 (twelve thousand) people were killed every single day. …This is the highest daily average in the history of genocides…’ সুতরাং বেগম খালেদা জিয়া বা তার দোসররা যতই ’৭১-এর গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বিতর্কিত করে অস্বীকার করার চেষ্টা করুক না কেন তাতে কোন লাভ হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশে গণহত্যা তদন্তে পাকিস্তানে যে ‘হামুদুর রহমান কমিশন’ গঠিত হয়েছিল সেই কমিশন তাদের রিপোর্ট বাংলাদেশে গণহত্যার কথা স্বীকার করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলেছে। বিলম্বে হলেও আমরা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পঁচিশে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে প্রতিবছর পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মার্চের ২৫ থেকে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত কালপর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালী নিধনে ৯ মাসব্যাপী বর্বর গণহত্যা পরিচালনা করে। ‘অপরাশেন সার্চলাইট’-এর নীলনকশায় ঢাকার ৪টি স্থান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য ছিল। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এবং তৎকালীন পিলখানার ইপিআর (বর্তমান বিজিবি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দসহ ইকবাল হল (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলের অনেক ছাত্রকে হত্যা করা হয়। ঢাকার এই ৪টি স্থান ছাড়াও রাজশাহী, যশোর, খুলনা, রংপুর, সৈয়দপুর, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম ছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর আওতাভুক্ত এলাকা। পঁচিশে মার্চ বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘কালরাত’ হিসেবে আগে থেকেই চিহ্নিত। ’৭১-এর পঁচিশে মার্চ দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। মনে পড়ে বাইশে মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রাক্তন বাঙালী সৈনিকদের সঙ্গে বৈঠকে কর্নেল ওসমানী সাহেব বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ডু ইউ থিংক দ্যাট টুমরো উইল বি এ ক্রুসিয়াল ডে?’ বঙ্গবন্ধু জবাবে বলেন, ‘নো, আই থিংক, ইট উইল বি টুয়েন্টি ফিফথ্।’ তখন ওসমানী সাহেব পুনরায় তীক্ষ্ন স্বরে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘কাল তো তেইশে মার্চ। পাকিস্তান দিবস। সে উপলক্ষে ওরা কী কিছু করতে চাইবে না?’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ওরা যে কোন মুহূর্তে যে কোন কিছু করতে পারে। তার জন্য কোন দিবসের প্রয়োজন হয় না। আসলে আমরা যতটা এগিয়ে গিয়েছি এবং সেইসঙ্গে শঙ্কাও বোধ করছি। সে কারণে ওরাও কম শঙ্কিত নয়। ওরা জানে এডভার্স কিছু করার অর্থই সব শেষ করে দেয়া।’ কী নিখুঁত হিসাব বঙ্গবন্ধুর। হিসাব করেই তিনি বলেছিলেন পঁচিশে মার্চেই পাকিস্তানীরা ক্র্যাকডাউন করবে। পঁচিশে মার্চের রাতে ঢাকা নগরীর নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বর পাকবাহিনী ট্যাংক ও ভারি অস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়ে। কামানের গোলা, মর্টারের শেল আর মেশিনগানের ভয়াল গর্জনে রাত ১২টার পর পুরো নগরীটাই জাহান্নামে পরিণত হয়। চারদিকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের মধ্য দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী শুরু করে ইতিহাসের পৈশাচিক হত্যাকান্ড। শুরু হয় বাঙালী নিধনে গণহত্যা এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় অর্জন হওয়া পর্যন্ত ৩০ লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এ বছর থেকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পঁচিশে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে। এর ফলে তরুণ প্রজন্মের চেতনায় স্বাধীনতার সত্যিকারের চিত্র ফুটে উঠবে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বুকে ধারণ করে প্রতিটি মানুষ বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রামে গর্বের সঙ্গে শামিল হবে। বঙ্গবন্ধু যেমন ধাপে ধাপে কর্মসূচী গ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও তদ্রুপ জাতির পিতার আদর্শকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে জনহিতকর ঐতিহাসিক সব কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে এগিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’। আমরাও মনে করি, আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার শক্তি কারুর নেই। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন; কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। সেই কাজটিই দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করে চলেছেন। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালীর জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস উর্ধে তুলে ধরার মাধ্যমে, লাখো শহীদের পবিত্র স্মৃতিকে চেতনায় ধারণ করে এবং আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে যেসব মিথ্যাচার করা হয়েছে তার কবর রচনা করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নীত হবে এক অনন্য উচ্চতায়-যেমনটা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের কালপর্বে! লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য, বাণিজ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
×